শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭

মোহিত অনু // Moheit Anu

মোহিত অনু  // Moheit Anu

==================
তিতাস বিধৈাত ভূখন্ডে জন্ম্ নিয়েছে বাংলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতির ক্ষেত্রের অমূল্য সম্পদ সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ,মনমেহন সাধক অদ্বৈত মল্লবর্মণ,শচীন দেববর্মন কবি আল মাহমুদ সহ আরো অনেক বিশ্বখ্যাত জ্ঞ‍ানী গুনি ব্যক্তিত্ব আর সেই মাটিতেই জন্ম হয় মোহিত অনুর স্বভাবত কারনেই সেই মাটির শোধা গন্ধ ও বিশ্বখ্যাতদের প্রভাব পড়বে তার মন মানসিকতার উপর এটাই স্বাভাবিক।(ত্রিপুরা) বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগড় থানার রতনপুর গ্রামের এক উচু সভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন এ.টি.এম.এ.মোহিত অনু,পিতা মৃত এ.কে.এম.এ.মতিন ছিলেন সরকারী কর্মকর্ত্তা মাতা মোহছেনা বেগম একজন সুগৃহীনি ও সার্থক জননী দুই সন্তানের জনক তিনি(১) রেজাউল করিম শিশির ও (২) মেহবুব করিম শৈশব। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে মোহিত অনু হলো সবার বড়, পরিবারের সবাই দেশের বাহিরে বিভিন্ন দেশে স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন।
ছোট বেলা থেকেই মোহিত ছিল সংস্কৃতি ও শিল্পমনা যা তার এলাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠান স্কূল ম্যাগাজিন ও তখনকার বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বিদ্যমান।বড় হয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্বুদ্ধ হন কারন তার বাড়ীর পাশেই ছিল তখনকার সময়ে সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র সুটিংয়ের স্থান রোজ গার্ডেন (বেঙ্গল মোশান ষ্টুডিও) সেই থেকেই সাংস্কৃতির জগতে পথ চলা। চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে মোহিত অনুর আছে বহুমুখী প্রতিভা, চিত্র গ্রহণ, শিল্প নির্দেশনা, সম্পাদনা, চিত্রনাট্য রচনা, চরিত্রায়ান, সঙ্গীত পরিচালনা,চিত্রকর,ও
গ্রাফিক নকশাবিদ সহ নিজ কাজে বেশ পারদর্শী। চলচ্চিত্র নির্মাণের বাইরে তিনি একাধারে কল্পকাহিনী ,কবিতা, ছোট গল্পের লেখক। তিনি কাজ করেছেন বাংলাদেশ টেলিভিশনে কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারনে সেই কাজ ছেড়ে দেন. মুক্ত চিন্তায় স্বাধীন ভাবে কাজ করতে স্বাছন্দ বোধ করেন তাই যোগ দিয়েছিলেন এন.বি.সি. নিউজ ও ন্যাশনাল জিওগ্রাফীর মত বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনচেতা মানুষ কোন এক জায়গাতে স্থির থাকতে পারে না, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক প্রামান্য চিত্র র্নিমাতা হিসাবে অনেক বছর ধরে কাজ করে আসছেন।চিত্র র্নিমাতা হিসাবে প্রথম আত্তপ্রকাশ ঘটে “ভাড়াটে বাড়ী ও পরিচয়“ ছবির মাধ্যমে। এযুগে এসে তিনি বাংলাদেশে প্রথম ডিজিটাল ছবি র্নিমান করেন “বিকি আমার বিকি“ (একটি সত্য ঘটনা অবল্মনে) ও বানিজ্যিক ছবি “ভালবাসার বন্ধন”। ”জীবন সীমান্তে” ছবির জন্য পেয়েছেন অনেক প্রশংসা, টেলিভিশনে প্রচারিত তার উল্লেখযোগ্য নাটক গুলো হলো না বলা কথা, নীলাতংক, হৃদয়ে তুমি,আদু ভাইয়ের বিয়ে,ভয়ংকর রাত,এ বাড়ীর ফুফু আম্মা ও বাড়ীর আব্বাজান,রাহু মুক্তি ও বোকা বাবা সহ আরো অনেক নাটক ও “প্রেমের ধুসর রং” এর মত অনেক স্বল্পদৈর্ঘ ছবি। আর লেখক হিসাবে আত্তপ্রকাশ ঘটে “দক্ষিনা মলয়” এর মাধ্যমে। বিবর্ণ চেতনা,নিশীথে নির্জনে.হৃদয়ে তুমি, তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ। ২০১৭ তে বাংলাদেশ ও ভারতের যৈাথ প্রকাশনায় অমর একুশে বইমেলা ১৭ ও আন্তজার্তিক কলকাতা বই মেলা ১৭ প্রকাশিত হয়েছে তারঁ পন্চম কাব্য গ্রন্থ “উম্মনা ঢেউ”।বহু গুনে গুনানিত্ব এই মানুষটি একেবারেই প্রচার বিমুখ, নিরবে নিভৃতে কাজ করে যান কোন রকম প্রচারে দারুন অনীহা এটাই তার একটি বৈশিষ্ট। তিনিই প্রথম বালাদেশে স্যাটেলাইট ক্যাবল টিভি (ডিস) ও পি.এ.বি.এক্স ব্যবসা আরম্ভ করেন,আর এই ব্যাবসার সরকারী নীতিমালা কমিটির অন্যতম সদস্য। সদা-ষ্পষ্টভাষী বন্ধুত্বপরায়ন ও উদারমানা এই মানুষটির সাথে যার একবার পরিচয় হয়েছে সে কখনোই তার মনের আঙ্গিনার বাহিরে যেতে পারবেনা যত দুরেই থাকুক মোহিতের কথা মনে পড়বেই,এমনি মায়াজালের বন্ধনে বেধেঁ রাখে মানুষটি। বর্ণময় কর্মজীবনে তিনি বহু জাতীয় ও অার্ন্তজাতিক পুরস্কার পেয়েছেন।

শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

তুমি কি সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়,
আমি তোমার সম্পর্কে কি ভাবি সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।

শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৬

কতরাত ভেবে রাখি, আজকের ভেবে
রাখা কালকের কাগজে উঠবে ফুটে
হায় আমার কবিতা কোথায় ?
দিনের আলোতে সে মুখ লুকায়
কোনদিন তাকে আর পাব না ফিরে।
কতরাত জেগে জেগে গড়ে তুলি
অপরূপ কবিতার দেহলতা
বর্ণিল সাজসজ্জা অলঙ্কার রূপের বাহার
সরু তার কটিদেশ, উন্নত নাসা
কোমল কপোল রেশমের মতো ঠোঁট
যক্ষ কবিতার শরীর কেবলই যায়
হারিয়ে অতল বিস্মৃতির ভিতর।
দিনরাত আমার অসংখ্য কবিতা
হারিয়ে যায়, জনারণ্যে অথবা
নিভৃতে স্বপনে।
বুকের ভিতরের জ্বলে উঠা আলো
হয়তো নিভে যাবে ভালবাসাহীন
কার্বন ডাই অক্সাইডের দাপটে।
হয়তো আমার ভীরু মানসিকতা
আমাকে বঞ্চিত করলো
তোমার সুখের ছোঁয়া পেতে।
অতপর...ক্লান্তহীন সামনে চলা পৃথিবীর রথে
প্রতিনিয়ত যুদ্ধরত হতভাগ্য জীবনের সাথে
নিয়তির নিষ্ঠুর বিষাক্ত ছোবল জ্বালা ধরায় বুকে
সূর্যের কোমল আলোয় দূর কুয়াশার ফাঁকে
তাকে দেখি...অস্পষ্ট আল্পনায় ভালবাসার সাঁঝে
ক্ষত-বিক্ষত আমি ছুটে চলি অফুরন্ত দিগন্তের মাঝে
হঠাৎ উধাও...ললাটে সূর্য শ্রান্ত নদীর জলে
গোধূলী রঙের শাড়ী পরে মেশো রাতের অন্ধকারে
ষোড়শী যৌবন, ছটফটে মন আমায় করে তাড়া
ভালবাসা যার চোখে দেখিনি তারই আহ্বানে
চলেছি ছুটে অজানা পথে অচিন খেয়া পাণে
থমকে গেছি ক্ষুধার্ত মন স্বপ্ন আছে চোখে
তোমার লুকনো আঁচলের প্রতিটি ভাঁজে
লুন্ঠিত হৃদয়ের সংখ্যাতত্বে অনীহা আমার..
তোমার দীঘল চোখের কাঁজলের গভীরে
দেখেছি নিস্পাপ প্রেমের মৃত্যু অগণিতবার। তোমার নিটোল দেহের ছন্দে মন্দাক্রান্তার আহ্বান
রক্তকোষে মাদকতা, অজানা শিহরণ, অবিরাম স্বগতোক্তি-
তোমার স্ফুরিত অধরের রক্তিমতায় জয়ের অদম্য স্পৃহা
চুম্বন - দংশনে রক্ত পিপাসু ইচ্ছের হুটোপুটি ।
আমার শব্দতো তোমার কর্ণকুহর ভেদ করার কথা নয়!
তোমার দৃষ্টিসীমা থেকে যোজন যোজন দূরে থাকা এই আমার
বেদনার নীলচে আলোকরশ্মিটা তোমার কর্ণিয়া ভেদ করে
রেটিনার কোন্ কোষেওতো পৌছানোর কথা নয়!
আমিতো তোমার আখিঁতে ঢেলে দেইনি
দু'ফোঁটা লোনা জল!
তবে কি করে বুঝলে প্রিয়তমা?
তবে কি তোমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়কে ছুঁয়েছে আমার দীর্ঘশ্বাস ?
তাই কি আমার জন্যে পাঠিয়ে দিলে এক আঁজলা প্রেম ?
আমিতো তোমার করতলে গুঁজে দেইনি
বিরহী শ্লোকের একটুকরো পংক্তি!
আমিতো বাতাসে ছড়িয়ে দেইনি
পুষ্পিত কষ্টের ঝাঁঝাল ঘ্রাণ!
যা কিনা বাষ্পিত হয়ে প্রবেশ করবে তোমার হৃদরন্ধ্রে।
হৃদয়ে থেকে থেকে স্মৃতিদের মৌন মিছিল আজ বড়ই ক্লান্ত।