মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০১৬

কোন রাতে নিশিজাগা পাখির ডাকে
আনমনা ঘর ছাড়া দৃষ্টিকে পাঠাই
বহুদূর নহ্মত্রের ওপারে যেখানে
তোমার স্মৃতি আজও কথা বলে।
কোন রাতে আকাশের চাঁদটাকে
তোমার মুখ ভেবে আবার জেগে উঠি
ভালোবাসার শিকারী মাছরাঙা
স্মৃতির জলায় তড়িৎ ডুব দেয়।
কোন রাতে শূন্যতাকে পুঁজি করে
সব ভুলে তোমাতেই উপগত হই
ভালোবাসা শেষ পর্যন্ত
শিকড়েই ফিরে যায়!
কোন রাতে অপসৃত অতীতের টানে
পিপাসার্ত স্বপ্ন ভালোবাসাহীনতায়
হৃদয়ের শ্যামল প্রান্তর পুড়ে ছাই করে
কষ্টগুলি আলো হয়ে জ্বলে।
কোন রাতে পারদের মতো ভারী হাওয়া
অনল তৃষ্ণায় পুড়া দেহকে
কষ্ট আর যন্ত্রনার হীম গহ্বরে
সারাক্ষণ ডুবিয়ে রাখে।
কোন রাতে অজস্র নিশাচরের
বিরহী কান্নায় বাতাস ভরে যায়
অস্তিত্বে ছায়া ফেলে দুঃখের স্মৃতি
কষ্টের থমথমে নীলমেঘ।
জীবনের নাট্যমঞ্চে সব কিছু ভুলে
প্রসাধনে নীরব ক্ষত তুলির আঁচড়ে ঢেকে
নিজেকে পরিপাটি করে সাজাতে শিখেছি,
শিখেছি নিখুঁত অভিনয়ে সারতে
জীবনের প্রাত্যহিক পাঠ।
এক দিন বড় বেশী দেশী কাঁচেরমতো ছিলাম
আজ ভাঙ্গা কাঁচ জোড়া দিতে শিখেছি,
শিখেছি নিজের অঙ্গচ্ছেদের প্রতিস্থাপন,
বাঁচার তাগিদে খসে পড়া টিকটিকির লেজেরমতো
শিখেছি পুনরায় জন্ম নেয়া।
একদিন বড়বেশী অবলা ছিলাম
কত কিছুই জানতামনা,
আজ সব কিছু ভুলে সুখি মানুষ হয়ে
বেঁচে থাকতে শিখেছি,
শিখেছি সব হারিয়ে ভালো থাকা!
অসীম আকাশের বুকে
দূর-দূরান্তের মেঘেদেরমতো
সব কিছু পেছনে ফেলে
অবিচল চলে যাওয়া শিখেছি,
শিখেছি একা চাঁদেরমতো জেগে থাকা!
হঠাৎ ফলবতী হয়ে উঠা
দীর্ঘ দিনের অপেক্ষমান নিষ্ফল বৃক্ষের
ফল চেয়ে ঝরে যাওয়া বোলেরমতো,
অবেলায় খসে পড়তে শিখেছি,
শিখেছি অবলীলায় ধুলায় মিশে যেতে!
জীবনের উত্তাল সমুদ্রে পথ ভুল করে
হাল ছেঁড়া নাবিকেরমতো,
ভুল জলে ডুবে যেতে যেতে
অক্ষত ভেসে উঠতে শিখেছি,
শিখেছি উল্টো জলে সাঁতার কেটে জীবন ভাসাতে।
একদিন কবি ফিরিয়ে দেয় তার প্রেম,
তবে ফিরে পাইনা তার হারানো সব,
শূন্য খাঁচা বুকে নিয়ে
জীবন যৌবন কাব্য দিয়ে
অবাক প্রেমে
কবি আজ একাকী।

একদা এক নির্বাক কবি
প্রেম করতে করতে করতে
হারিয়েছিল তার কাব্য,
নীল আকাশের নীল আঁখি,
শান্ত নদী, শান্ত জল,
সবুজ ডানার পাখী,