বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০১৬

আমি নিঃশ্বাস ফেলতে পারি না,
আমি ঘুমাতে পারি না,
তোমার প্রেমে ডুবে গিয়ে শেষ নিঃশ্বাসে বলি
আমাকে দু’ফোঁটা অশ্রু দাও।
আমি বার বার ওগুলো ছুয়ে ছুয়ে দেখব।
আজ আমার এই অন্ধ প্রেমে
তোমার কিছুই চাওয়ার নেই, জানি
আমার জন্য কখনো দু’ফোঁটা চোখের জল হবে?
আমি সিক্ত হব।
কিছুটা অশ্রু,
কিছুটা হাসি,
কিছুটা চুলের গন্ধ,
কিছুটা ঠোঁটের রঙের খোঁজে
জেগে জেগে আকাশের বুকে কান পেতে তোমার শব্দ শুনি।
আমার জন্য কখনো দু’ফোঁটা চোখের জল হবে?
আমি সজিব হব।
বৃষ্টির জ্বর হয়েছে
তাই মধ্য আষাঁড়েও অশ্রুপাত ক্ষীন
কি যে জ্বালা.....................
ভালবাসা নেই
এমন হয়না
সে থাকে কখনো
ছেঁড়া ছেঁড়া আনন্দ হয়ে
কখনো দুঃখ হয়ে
হতাশা হয়ে
বা দু চোখ ভরা
আশা হয়ে
ভালবাসা থাকে
ভালবাসাই তো জীবন

বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬

দূরে থেকে কাছে যায়,
কাছে থেকে আরও কাছে আসি
তোমার নিঃশ্বাসের বাতাস শুনে শুনে
যৌবনের শিকড়ে ঢেলে দিই আরও কিছু রং
কামনার রং, বাসনার রং,
তুমি স্তব্ধ, তুমি অবাক,
ইচ্ছাতে তুমি নিরুপায়,
আনন্দের ক্লান্তির রাঙ্গানো দু’চোখ
ফের চোখ তুলে কিছু ভালোবাসা বিনিময়,
রঙের ভিখারী হয়ে কাটিয়ে দিলাম সারাটা দিন।
সেদিন তুমি লাল শাড়ি, লাল টিপ পড়ে এসেছিলে,
ইচ্ছে হচ্ছিলো সূর্যোদয়ের লাল আভাটুকু বদলে দিই-
বহুক্ষণ মুখোমুখি দুজনে,
কয়েকবার তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে
মনে হচ্ছিলো কাজল কালো চোখের এই কালো টুকু
অন্য কোথাও না থাকলে ভালো হত।
তোমার দৃষ্টির রং, তোমার কৃষ্টির রং,
তোমার বিশ্বাসের রং, তোমার নিঃশ্বাসের রং,
ব্লাউজের নীচে কিছু মসৃণতার রং,
খুব কাছে থেকে মুক্তাকাশে রং ধনু দেখার মত।
তবু তর্কাতীত প্রসঙ্গের মত
পথ আলো করে আছে
শহুরে মনন
নির্জনতা গাছ...
দিন জানে, বেলা শেষ
সময় জানে, যেতে হবে
আকাশ জানে, মেঘ হবে
মেঘ জানে, বৃষ্টি নামবে,
বৃষ্টি জানে, তুমি আমি ভিজব
কেউ যেন আজ আমাদের তাড়া না দেয়,
কতক্ষণ ধরে বসে তুমি আমি জীবনের জন্য,
খুব আস্তে, ফিসফিস করে নিজেকে বলি
সব রং না দেখে তোমাকে আজ ছাড়ছি না।

সব রং না মেখে তোমাকে আজ যেতে দিচ্ছি না।

মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬

নীলকণ্ঠ পাখী হতে চেয়েছিলাম
একদিনের জন্য হয়েও ছিলাম
সেদিন তুমি ছিলে আমার অন্তর আত্মায়
আজ সব শেষ, শুধু আমি আছি আমার চিতায়
চিতার আগুন কোন দিন নেভেনা
চর্ম চক্ষুঃ দেখতে পায়না
যদি দেখতে পেতো, কেউ কখন চিতা সাজাতোনা
অনেক কিছু না দেখাই ভালো,
যা তুমি বুঝবেনা।
গোপন ইচ্ছে... তোমায় ছুঁলেই
নষ্ট আমি আমার মতন।
একলা আকাশ মেঘ জমানো
বৃষ্টি এলে রাখবো কোথায় ?
একনলা প্রেম বারুদ ঘষে
হচ্ছে গরম, বুকের তাপে
ঘেন্না ধরা জীবন-সময়
পালটে দেবেই নষ্ট সময়।
বুক ছুঁয়েছি, শরীর ঘন
উঠলে কেঁপে গভীর স্রোতে
তোমায় যদি আঁকড়ে ধরি
বলবে আমায় নষ্ট লোকে।
এখানে অন্তহীন নক্ষত্রের আলো ঠিকরে পড়ে
কী দারুণ প্লাবনে ভেসে যায় কুপকুপে আঁধার!
ভেসে যায় সকল সময়ের হিসেবনিকেশ।
রীতিহীন শব্দ কিম্বা বাক্যের মত শুভ্র উল্লোলে!
মাথার ওপর রুপালী চাঁদের অস্পষ্ট কায়া,
নিবিড় আঁধারে একাকী দেবদারু শহর আমার!
এখানেই ঘুমিয়ে আছে কোনো আদুরীর স্বপ্ন,
অথবা কোনো এক জয়ার নামহীন দীর্ঘশ্বাস।
হৃদপ্রদেশে বয়ে যাওয়া জলঝিরি নদী,
মাকড়সার জালের মতন জড়িয়ে আমায়!
আমি ফিরে যাই সবুজ ঘাসের বিছানায়।
স্নায়ুর মাঝে সময়ের অদ্ভুত স্পন্দন!
আমি ফিরে যাই আলোর বলয়ে,
গাংচিল আকাশে সোনাঝরা রোদ্দুরে।
তুমি দূরে চলে গেলে মেঘেরা পালায় সারি সারি
তুমি ফেরালে মুখ দেবো মেঘেদের সাথে আড়ি।
বনতুলসির মতো কেন রুক্ষ মাটিতে ফেলো শ্বাস
চৈত্র রোদ্দুরে পোড়ে এখানে তোমার বসন্ত বারোমাস
পৃথিবীর সব হাওয়া স্নানে নামে গঙ্গার জলে
পাখিরা আনন্দে মাতে তা দেখি আমি অবাক নয়নৈ
বরর্ষার বৃস্টি হয়ে ঝরে যায় তোমার বাড়ীর আঙ্গিনায়
অসহায়ের মত রোমন্থন করি তোমার সৃত্মি গুলো হায়।
সূর্য নেই,চন্দ্র নেই
দিন-রাত্রি নেই,
অনন্ত কালো অগ্নিময়তা
বেদনার ক্ষূধার্ত ঈগল
ডানা মেলে আছে,
শূণ্যতার নীল মেঘ ছুঁয়ে।

নিঃসঙ্গতার নীরব দহনে
আকণ্ঠ ডুবে আছি,
বিষণ্নতার জ্বলন্ত নরকে
স্তব্ধতার বুকে মুখ রেখে
গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত,
দুঃখতলানির শেষ বিন্দু আমি।
তুমি আজ আলোকিত
অন্য কোন গ্রহে,
স্বপ্নের সৌর-মন্ডলে
তুমি আজ সত্যি সত্যি
স্বপ্ন-মরিচিকা,
তষ্ণা দগ্ধ অন্তরে।
অলৌকিক দিক্ ভ্রমতা
আমাকে দিয়েছে,
পেয়ালা ভর্তি অন্ধকার।
নরম থেকে শক্ত হয়ে উঠলে ধীরে ধীরে,
আগুনে প্রবেশ করে ছড়িয়ে দিয়েছ ঘি।
জ্বলে ওঠা ওই আগুনেই জন্ম নিয়েছে ‘বেজন্মা’
এখন নিশ্চিন্তে রাত্রিটুকু পার করে আলোয় ফিরলেই
নিজেকে উচ্চকিত করা যাবে,
একান্ত গোপন বেলেল্লাপনায়
সঙ্গী এখন সবাই,
উপর থেকে নীচ, না কি নীচ থেকে উপর
কোন পথে হাঁটবো এখন ?
আপাতত দেহের উষ্ণতা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা বেশি । গতকাল ঝড় ও আজ বৃষ্টি হয়ে মেঘবালিকার সঙ্গে অনেকটা সময় কাটাবার পরিণাম।
যদিও এতে মেঘবালিকার দোষ ধরি না...
যখন চারপাশটা একসাথে ছুটছে
ক্রমিক সংখ্যাগুলো শোভন নৈঃশব্দ থেকে
আবিষ্কার করছে সময়, সময়হীনতার কথা...
সময়হীনতা আদতে কিছু হতভম্ব নির্মেদ মুহূর্ত তোমার
সময়হীনতা আদতে করতললব্ধ অন্যমনস্কতা
নির্জনতা
অথবা তুমিহীন প্রসঙ্গ
বা কিছু কথার বুদ অবয়ব
যতোটা ছুঁয়ে যায়
সময়কে
সময়হীনতায়...
যার যার মুহূর্ত কথায় বয়ে যাচ্ছে সময় প্রবাহ আবহমান
তবু ভাগফল আর ভাগশেষময় আত্মজীবনীর মত
স্বপ্রতিভ সময়বিন্যাসে আমি আমরা
বয়ে যাচ্ছি নিয়তি তাড়িত সময়ের খাদে সময়হীন...
জেগে উঠি
উঠলেই মনে হয় জনান্তিকে একলা সময়
দাঁড়িয়ে থাকে গাছতলায়।
পথ হাঁটা, বয়ে চলা নদীর মতই।
গাছে থেকে যে ঝরে যাওয়া পাতাটা কুড়িয়ে নিলাম,
শুকোয় না, পচে যায় নিজস্ব আঙ্গিকে।
পাতায় পাতায় জালি কাটে তারই শিরা-উপশিরা,
অনিশ্চিত বিঘ্নতা বয়ে যাবার আগেই
ভেসে এল হড়পাই।
গুনগুন করে গাইতে গাইতে যে মানুষটা এগিয়ে গিয়েছিল
প্রলোভনের হাতছানি সরিয়ে,
সে আজ মঞ্চের ধারে অন্ধকারে গাঁজা বানায়।
আমি তার সঙ্গী হয়ে জেনেছি
স্বল্পতায় নির্লিপ্ত হলে জীবন বয়ে যাবে মরা খাতে।
জ্যামিতিক বেগে নেমে আসবে ত্রিভুজের ভূমে।
পৃথিবী ঘুরছে
নিজস্বতার অমোঘ শৈলীতে--
সবাই বলছে ওটা
তোমার অক্ষম অনুকরণ;
তুমি হলে প্রথাহীন আলোকবর্ষ
নিকট আর সুদূরের অলক্ষ্য ধারাপাত
যত হিসেব থেকে
বেরিয়ে আসছে কৃষ্ণগহ্বর, আত্মগান;
যা আদতে শব্দের বৃষ্টিমুখ
ভিজতেই তার আলো বেরিয়ে পড়ছে
সময় থেকে সময়ান্তরে
তোমার হৃদয়গাঁথায়...
অকৃত্রিম ভালোবাসা যাদের মধ্যে দু'হাতে বিলিয়েছি,
তাদের অনেকেই বুকের ব্যথার খবরটা রাখে না...
আজও মেঘ হল বৃষ্টি হল
জন্ম নিলে তুমি
হে অবাঙমানস...
সার সার বলাকার পাখার ঝাপটে
জন্ম নিল অন্তরিক্ষ
অনন্ত আবহ তোমার...

একটা জন্মঘোর ছিল নাকি সেই থেকে
এক আজন্ম অবকাশ ছিল নাকি সেই থেকে
আলো থেকে অন্ধকার ছিল নাকি নিবন্ধ
তোমার অপলক...
এত বিলাচ্ছি তোমায়
আমার মধ্যে
সাধ্য কই
ফেরাবো নিজেকে...
যার যার মুহূর্ত কথায় বয়ে যাচ্ছে সময় প্রবাহ আবহমান
তবু ভাগফল আর ভাগশেষময় আত্মজীবনীর মত
স্বপ্রতিভ সময়বিন্যাসে আমি আমরা
বয়ে যাচ্ছি নিয়তি তাড়িত সময়ের খাদে সময়হীন...
কোথাও যাবো না আর
জলরাশি অতলান্ত, প্রান্তর জুড়ে বালি উবু উবু
ঝাউবনে সূর্য ঝরে যাওয়া
ফেরাও প্রেম, বৃষ্টিহীন কদম-ছায়া
অকাতরে বাড়ানো সে হাত
যেটুকু ভিজেছে কান্নায়
মেঘের হাপুস জলে ধুয়ে
নিয়েছে ফিরিয়ে মুখ—
যেও না স্বপ্নময় !
একদিন আমি পরজন্মের কথা ভাবতাম
আজ জানি জন্মান্তরেও কখনো আমি
বাঁধতে পারবো না কোনো বাসা, তোমার
বুকের গভীরে...
কাল রাতে পাশবালিশে এক নীল প্রজাপতি
হঠাৎ ডানা মেলেছিল
জুন-এর সেই দুপুর রোদ, জোছনা কে
বলেছিল,
ফিরে এলাম আমি, এবার তুমি এসো -
চিবুকের তিল থেকে অতলে ডুব দিয়েছিলাম আমি
এ জন্মেই স্বপ্নে তোমাকে - পাপ সাগরের নীল
ঢেউয়ে ভাসিয়ে নিয়ে
কান্না কে দিয়েছি ছুটি...
আমার এ ব্যাথা নিয়ে ভাবছো মিছে
এ ব্যাথা আমায় ব্যাথিত করেনি...
যে ব্যাথায় বুকের গভীরে ঝড় ওঠে
উপড়ে নিয়ে যায় তোমার হাসির শিকড়
সে ব্যাথার যদি খোঁজ নিতে আজ
আমি আরও অনেক ব্যাথা বইতে পারতাম।
আমার জন্ম তোমার জন্য নয়
গোটা গোটা অক্ষরে বিধাতা লি খেছিল সে কথা।
একটু একটু করে ছায়াপথ স্ফীত হচ্ছে
তারাদের মাঝে দীর্ঘ পরিসর, রাতের আকাশে
একা থেকে একা চাঁদ ...
রাত নামতে নামতে আলপথে ভিজে পায়
তোমাকে খুঁজছে...
তোমার একান্তের চাওয়া কলঙ্ক দিয়ে
অন্য কোনো গ্যালাক্সিতে যাবে সে -
যেখানে দিন এর আলোয় জোছনায় ভাসাবে সে।

আমি উজানে চলি, বারণ না শুনে আমি তোমাকেই
আমার এই জন্ম দিলাম...
বিনিময়ে বিধাতা আবার লিখেছে এক সত্য
আমার একমাত্র এবং শেষ যন্ত্রণা তুমি
আজীবন আকাশের রঙ লাল...
সেই ক্ষরিত রক্তের ছিঁটে
রাতদিন শুধু অপটু হাতে লিখে চলে এক নাম
অকল্যানের ছায়া কাঁপে
স্তব্ধ চোখের তারায়,
দুঃস্বপ্নের রাতে
শ্বাসরুদ্ধ জীবন।
জলোচ্ছ্বাস রক্ত কণিকায়
তৃষ্ণা এবং স্তব্ধতায়,
পাশাপাশি দুজন
তবু অনন্ত মৌনতা।
দুঃস্বপ্নের নিকষ কালো
আধাঁরে নিমজ্জিত,
স্বপ্নের বলাকারা
মরে পড়ে আছে।
শিমুল তুলোর মত
উড়ে যাওয়া মুখ,
রঙ ধনু হয়
বিরহের আকাশে।
বূকের ভেতর দুঃখ মাখা
এক গুচ্ছ পাতা,
অবাক উঁকি দেয়
অস্ফুট বিষ্ময়ে।।
রাক্তাক্ত পায়ের চিহ্নে
পথের দূরত্ব লিখা,
আশ্চর্য্য বোধের
তলানিতে বর্তমান।
দূরন্ত ঝড়ে ছেঁড়া
ভালোবাসার মানচিত্র,
জোড়া দিই
কৃষ্ণ গহ্বর রাত্রে।।
জীবনের স্পষ্ট আলোয় নীলিমার কোল
পাখির ডানায় ওড়ে রাত্রির ঘুম।
মনের শিলালিপিতে অদ্ভুত কারুকার্য,
এমন সময় জীবনে আর আসেনি!
অঙ্কহারা সময় জোয়ার-ভাটার মত
বীণার তারে ওঠে সোহাগী ঝঙ্কার!
আশা-নিরাশার অতল পারাবারে,
এমন খেয়ালী মেজাজ আর ভাসেনি!!
চোখ ঝলসানো আলো ক্লান্তির পথে
স্নায়ুর স্পন্দন টুকরো স্মৃতি ঘিরে।
জীবন জুড়ে সাদা-কালো মানুষের ভিড়,
এত করুণ কঙ্কাল মানুষ আর দেখিনি!
বৃষ্টি,
আমাকে ভিজিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিও না...
আমি অশ্রুস্রোতেও স্নান করেছি...
আমি কি চেয়েছি সাতটি তারা, ছাতিমপাতা,
পটদীপ গান .... চাইনি কিছুই.....তবু ,
কেউ আসে ..
রেখে যায় কিছু অভিমানি খাতা...
আমি সীমানা পেরিয়ে যাবো
মেঘ যদি রেখে যায় কোন ইশারা।
প্রহরী - কাঁটাতার - রাত্রিকে ফাঁকি দিয়ে
একমুঠো উষ্ণ নরম আলো নিয়ে রেখে আসবো
তোমার কাঁপা ঠোঁটে...
তুমি ভিজবে আমার ভাবনায়, এইটুকু আশা নিয়ে
পথ চলায় ক্লান্তি আসেনি আজও...
হয় তুমি নয় আমি
চৌকাঠে পা রেখে ফিরে যেতে যেতে
পিছু ফিরবো
পাগল হাওয়ার ঝোঁকায় দ্বারে এসে দাঁড়াবে তুমি
মেঘ উড়িয়ে আমি পৌছে দেবো
ভেজবার ঠিকানা ...
ঝরঝর এই একঘেয়ে শব্দের সীমানা পেরিয়ে এসো
খোলা বুক পেতে
আমি রই অপলক চেয়ে, ইশারা পেলে
কাঁটাতার - প্রহরী - রাত্রিকে ফাঁকি দিয়ে
উষ্ণতা মাখবো ...
সীমানা পেরিয়ে যাবো ...
কোন আকাশে ফাগুন নাচে
বিকেল শেষে মেঘের দেশে?
উড়তে থাকা ব্যথার ঘুড়ি,
কোন মেঘেতে যাচ্ছে ভেসে!
কোন গিরিপথ ঘুমিয়ে আছে
পাহাড়প্রমাণ নীরব চোখে!
নীল দরিয়ার ফেনিল জলে,
কোন কয়েদি ভাসছে শোকে?
কোন নগরীর অবাক বাঁচন
চিতার আগুন বুকে চেপে!
সাদা-কালো বিষাদ মানুষ
কোন মিছিলে উঠছে কেঁপে?
আর কোনো জন্ম নেই আমার
আর কোনো চাওয়া নেই আমার
শুধু ব্যাথার সমব্যাথী হ'তে চেয়োনা-
মিথ্যে যদি সব
তবে আমি মিথ্যেকে ভালবাসি -
আর বারবার শুধু এইটুকু মিথ্যের জন্য
আমি পরজন্মেও বিশ্বাস করতে শিখেছি ।
বৃষ্টি শব্দটার. মধ্যেই কেমন একটা ভিজে ভিজে ,স্যাঁতস্যাঁতে ভাব আছে। খুব গরমে মাতামাতি বা প্রচন্ড. শীতের কৌতুহলটুকু বাদ দিলে , বৃষ্টি বাকিটা সময় বেশ বিরক্তিকর । এই বিরক্তি ভাবটা আরো বেড়ে যায় বৃষ্টির নিজের সময়ে । তখন ছাতা, রেইন কোট , স্যান্ডাক জুতো ইত্যাদি ইত্যাদি বিক্রি হতে থাকে হুড়মুড়িয়ে। এমনকি যারা কখনো খবরে কোনো আগ্রহ বোধ করেন না , তারাও পূবা'ভাসের খোঁজ রাখেন এবং প্রয়োজন মতো সতক' হন ।
অথচ বৃষ্টি নামে। আপন নিয়মে নামে। আমাদের যাবতীয় হিসেব নিকেশের তোয়াক্কা না করেই নামে। যখন নামে একলা নামে না। গুমরে ওঠা এক আকাশের হাজার হাজার. মুক্তি হয়ে নামে। মাটির চির প্রতিশ্রুতি হয়ে নামে। এত নামলেও বৃষ্টির পতন নেই। বরং সে কখনো গান, কখনো কবিতা, কখনো বা এক চিলতে বারান্দায় অকারণ মন খারাপ হয়ে ওঠে।
বৃষ্টিতে আমরা সকলেই কম বেশি মুগ্ধ হই। বৃষ্টি কখনো মুগ্ধ হয় কিনা ,খুব. জানতে ইচ্ছে করে......
খুব কাছ থেকে দেখা
দূর থেকেও
গ্রাম সীমানায় জেগে আছে
অন্যমনস্ক গাছের সারি
তোমার বৃত্ত পরিবৃত্ত;
ঘুরে দেখেছি---
কেন্দ্র বরাবর তোমার আলোছায়া
কারুকাজ ব্যাসার্ধে সময়ের ঢেউ
বাহারী বৈভব মন্ময় সমুদ্রের লবন ও লাবন্য;
সব পুড়ছে---
নদীর জল পাহাড়ের প্যারামাউন্ট নৈঃশব্দ
ম্যাগনিফাইং তছনছ অনবদ্য পতঙ্গবন সব সবকিছু...
ঝড়ের মত
বৃষ্টিরা এল না তত
কেবল জানলার বাইরে
একা একা ঝরল
শূন্যতারা ভেসে গেল
সৌম্যতা পথ আলোছায়া
সময়ের ঘোরটোপ.
খেলছে দিন খেলছে রাত...
মন খেলছে মাঠটা তাই ক্যানভাস...
গোল আদতে সুসম ধারণা
দিগন্ত ঘিরে আছে অন্তর্বোধক নৈঃশব্দ আমার...
অনন্ত বিন্দুবোধ শূন্যতায়
ভেসে যাচ্ছে সময়ের সৌম্য গঠন,
তুমি...
দ্যাখো সময় ছুটছে তোমার অপার্থিব আলোছায়ায়...
আষাঢ়, কোথা হতে আজ পেলি ছাড়া।
মাঠের শেষে শ্যামল বেশে ক্ষণেক দাঁড়া॥
জয়ধ্বজা ওই-যে তোমার গগন জুড়ে।
পুব হতে কোন্ পশ্চিমেতে যায় যে উড়ে,
গুরু গুরু ভেরী কারে দেয় যে সাড়া॥
নাচের নেশা লাগল তালের পাতায় পাতায়,
হাওয়ার দোলায় দোলায় শালের বনকে মাতায়।
আকাশ হতে আকাশে কার ছুটোছুটি,
বনে বনে মেঘের ছায়ায় লুটোপুটি -
ভরা নদীর ঢেউয়ে ঢেউয়ে কে দেয় নাড়া॥