শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০১৬

পৃথিবীর অগণন মৃত্যুরাশি চিনে নিয়ে
ফিরে আসে নীড়ে ।
আর তুমি ?
সূর্যকে চেন তুমি ?
জানো মেঘহীন শ্রাবণীর উৎস ?
অথবা রক্তকমল কেন কৃষ্ণচূড়া নয় ?
কখনও ছুয়েছ অদৃশ্য কুহেলিকা নরম দুহাতে ?
গোপনে গোপনে কত পাপ করেছে সঞ্চয়,
এই মহান পৃথিবীতে; চেয়েছো জানতে ?
চাওনি ;.... তুমি;.... কখনও;....
আমায় জেনে নিয়ে, সমস্ত জানার আকাঙক্ষা
ফেলেছ হারায়ে তুমি....।
আমারে নিয়েছ চিনে , এই ভেবে-
সমগ্র বিশ্ব চেনা ....
হয়েছে তোমার ;
এ এক সহজ বিস্ময়!
তবু যখন আবার ভোর হয়
ভাবো তুমি; “রাত্রি হলেই ভালো”
রাতের তিমিরে যখন প্রেম জ্বালে তার নিজস্ব আলো
সে আলোয়
পৃথিবীর কেউ কারো মুখ চিনে নিতে পারে না।
সে তবু চিনে লয়,
তার অভীষ্ট হৃদয়।
অসীম নিস্তব্ধতার মাঝে
জেগে ওঠে
প্রেমের অলৌকিক ভাষা।
সে ভাষায় ঘুমে বিভোর পৃথিবীর কয়না কথা কেউ
কেবল নিঃসঙ্গ নীল নদীর পবিত্র ঢেউ
একা পথ চলে।
আর;
তার তীরে বসে আমার অশরীরী আত্না
তারা গুনে ধ্রুব আকাশের ।
রাতভর হিমে যন্ত্রণানীল সেতারে
আর কত বাঁধবি রাগিনী আলাপ...!
কান্না গোপনের রাত কম্বলে আর -
কত ঢাকবি চোখ মনসা পাতার কাজলে !!!
তাকিয়ে দ্যাখ্ - শূণ্যবাদের কাগজে
নক্সা কাটছে দেউলিয়া মন।...
বিরহের আর্তনাদে সুর বুনছে
দশমিক শূন্যবাদ !!!

আর কত রাত্রি পুড়িয়ে
ভোর শীতের লেপ-বালিশে
ধার করবি ওম্ উষ্ণতা !!!
তাকিয়ে দ্যাখ্- রাতশিশির এখনও গল্প বলে
সংগোপনে রাতের কানে কানে ;
রাতভোরে কোকিল উঠলে ডেকে,
শুকতারা খুঁজে আনি
বিপন্ন নয়নে...
তুই তোরই থাক... আমি হই সাজিমাটি ;
রাত ভোর হয়ে যাক...
আয় খেলি -
শূন্য হৃদয়ের লুটোপুটি !!!
আগের মতোই ভরাট চোখের ছায়া দেখিস-
তোর লাল চেলির ভাবনায় ?
নাকি ঢেকে রেখে নিঃস্বতা -
খুঁজিস নিজেকে ঘুমহীন কল্পনায় ?
ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামের আত্মজীবনী ‘ উইংস অব ফায়ার ’ অসাধারণ, অনবদ্য – যেন অকল্পনীয় এক রুপকথা। বইটি থেকে আমার ভালো লাগা কিছু প্রিয় উক্তি প্রকাশ করলাম
# আমি কখনো সন্দেহ করিনি যে আমাদের মসজিদের প্রার্থনা যেখানে পৌঁছায়, সেই একই গন্তব্যে পৌঁছায় মন্দিরের প্রার্থনাও।
# একজন খারাপ ছাত্র একজন দক্ষ শিক্ষকের কাছ থেকে যা শিখতে পারে তার চেয়ে একজন ভালো ছাত্র একজন খারাপ শিক্ষকের কাছ থেকে অনেক বেশী শিখতে পারে ।
# আমি আবিষ্কার করলাম সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বেশী বিক্রি হয়ে যায় সিগারেট ও বিড়ি। অবাক হয়ে ভাবতাম, গরিব মানুষেরা তাদের কঠোর পরিশ্রমে উপার্জিত অর্থ এভাবে ধোঁয়া গিলে উড়িয়ে দেয় কেন।
# আমি ভাবি, কেন কিছু মানুষ মনে করে বিজ্ঞান মানুষকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায় খোদার কাছ থেকে ? আমি এটাকে যেভাবে দেখি তাহলো, বিজ্ঞানের পথ সর্বদা হৃদয়ের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। আমার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান হচ্ছে আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধি ও আত্ম-উপলব্ধির পথ।
# যে অন্যদের জানে সে শিক্ষিত, কিন্তু জ্ঞানী হল সেই ব্যক্তি যে নিজেকে জানে। জ্ঞান ছাড়া শিক্ষা কোন কাজে আসেনা।
# আমি জানতাম সামনের দিনগুলো আরও সংকটময় হবে। প্রশ্ন ছিল যার উত্তর দিতে হবে এবং কর্মপরিকল্পনা যা প্রস্তুত করতে হবে।
# বিজয়ী হওয়ার সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে বিজয়ী হওয়ার দরকার নেই মনে করা। তুমি যখন স্বাভাবিক আর সন্দেহমুক্ত থাকবে, তখনই তুমি ভালো ফলাফল করতে পারবে।
# আমরা শুধু সাফল্যের উপরেই গড়ি না, আমরা ব্যর্থতার উপরেও গড়ি।
# একজন উদ্যমী ও একজন বিভ্রান্ত মানুষের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, তাদের অভিজ্ঞতাকে তাদের মন যেভাবে ব্যবহার করে তার মধ্যে পার্থক্য।
# দ্রুত কিন্তু কৃত্রিম আনন্দের পেছনে না ছুটে বরং নিখাদ সাফল্য অর্জনের জন্য আরও বেশি নিবেদিত প্রাণ হও।
# আমি এ কথা বলব না যে আমার জীবন অন্য কারো জন্য রোল মডেল হতে পারে। কিন্তু আমার নিয়তি যেভাবে গড়ে উঠেছে তাতে গরিব শিশুরা হয়তো বা একটু সান্ত্বনা পেতে পারে।
# প্রশংসা করতে হবে প্রকাশ্যে কিন্তু সমালোচনা ব্যক্তিগতভাবে।
# আমরা প্রত্যেকেই ভেতরে ঐশ্বরিক আগুন নিয়ে জন্মায়। আমাদের চেষ্টা করা উচিত এই আগুনে ডানা যুক্ত করার এবং এর মঙ্গলময়তার আলোয় জগত পূর্ণ করা।
আবুল পাকির জয়নুল আবেদিন আবদুল কালাম ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং দেশের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী। তিনিই ভারতে প্রথম পারমানবিক বোমা বহনযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ করেন। তার জন্ম ১৯৩১ সালে, ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমে। তিনি ছিলেন চেন্নাইয়ের আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ে টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটাল ট্রান্সফরমেশনের অধ্যাপক। তিনি অগ্নি, পৃথ্বী, আকাশ, ত্রিশুল ও নাগ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তৈরি করেন যা ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির দিক থেকে ভারতকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করে।
ওহে পূণ্যতোয়া ...
চল্
ভড়ং ছেড়ে
দুদণ্ড প্রকাশ্যে ভালোবাসি
একা থাকা তো স্বর্গেও কষ্টের..........
রাত দিন,সপ্তাহ মাস বছর,
সূর্যাস্তের ক্ষণিক সময় নেওয়া
জ্যোৎস্নার বাগানে জোনাকির আত্মহত্যা,
চাঁদের জীবন নক্ষত্র বিতাড়িত করে,
সারারাত নির্ঘুম চোখ মেলে রয়েছি প্রতীক্ষায়।
ভোর হতেই আবার কীট পতঙ্গ, ভীমরুলের দল,
আবার শুরু করে।
প্রতীক্ষায় যায়...........
বাড়ে কীট পতঙ্গ, ভীমরুলের আনাগোনা।
বাড়ে প্রতীক্ষা।
ভালোবাসা মুক্তি পায় না।
ধুকে ধুকে ক্ষয় হয় তাঁর শ্বাসনালী,
নিষ্প্রাণ হয় ভালোবাসা।
আমার ভালোবাসার চারিপাশে
কীট পতঙ্গরা ডানা ঝাপটায়,
ভীমরুল ঘোরে পালে পালে,
বাগানের হাত থেকে ফসকে যায় ফুল।
প্রত্যেকটা মধুর সম্পর্ক নষ্ট হয়
তৃতীয় ব্যক্তির আগমনে। দু জনের
কানাকানি কথার মধ্যে অন্য কেউ
এসে হানাহানি করলে হৃদয় নিয়ে
আসলেই টানাটানি লেগে যায়।
কাল রাতে পরী বলল তুমি ঘুমাচ্ছ?
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কি স্বপ্ন দেখছ?
আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলছে
ওদিকে দেখ সব ফুল হারিয়ে যাচ্ছে
আমি বললাম ফুল আবার হারিয়ে যায় নাকি?
পরী বলল যায় বইকি, এখন যে সব চকমকি
ফুল বোধহয় আর একটাও থাকবেনা
হল্লা রানীর জানে সব, তবু কিছু করেনা
নারী কি বৃক্ষ কোনো
না কোমল শিলা,
নারী কি চৈত্রের চিতা
নিমীলিত নীলা।
নারী কি নদীর মতো
নারী কি পুতুল,
নারী কি নীড়ের নাম
টবে ভুল ফুল।
...............
চোখের জল আজ মিশিয়ে দিলাম বৃষ্টিতে।
কাঁদতে পারি অঝোর ধারায়,
বৃক্ষমূলে কিম্বা ডগায়।
বৃষ্টি আমায় ভুলিয়ে দে ওই কথার কাঁটা,
বুক ফাটা যে অগ্নি ঝরে,
আদিম ইচ্ছে গুমরে মরে,
একলা চোখের জোয়ার ভাটায়
মিলিয়ে দে প্রাণ ভাসা আমায়।
বৃষ্টি রে তুই ঝরঝরিয়ে কাঁদা আমায়।
আজকে এমন বৃষ্টি ভিজে যে বুকে মুখ
লুকাতে চাই অন্য স্বাদে
সেই বুকে আজ পাথর আঁটা,
জংলা স্রোতে বৃষ্টি রে তুই
ভাসিয়ে দে সব সেখান হতে।
সময় সুপ্রসন্ন ফুলের মত
ছড়িয়ে দিচ্ছে পাপড়ি, বিস্তার
যতোটা জন্ম নিচ্ছে মুহূর্ত
এক টুসকি জলবন্ধ খাম
মন্ময় ক্যানভাস...
কোণে জমে থাকা দুই ফোটা জল নিয়ে,
তারায় তারায় খচিত আকাশ
বিলিয়ে দেয় নিরবতা দিগন্তের শেষ প্রান্তেও,
শুধু জেগে থাকে সঙ্গিহীন আমার
এই নির্বাক কবিতা...!!!
স্মৃতির মেঠোপথ ধরে মন আজ ফিরে চায়
জানা অজানায় খুঁজে মরে সেই বিসর্জিত প্রেম,
সবশেষে কাব্যের ব্যাঞ্জনায় এসে
মাথা কুড়ে মরে শব্দের দুহাত ধরে অনন্ত!
ঘুমহারা রাতের বিষণ্ণতায় চেয়ে থাকে
অভিমানী নির্বাক দুচোখ
সেই সবুজের সীমানায়-
কুঞ্জবনে ছায়াবীথির শীতল ছায়ে
অবচেতনে মন এসে থমকে দাঁড়ায়,
এ নয় কোনো আবেগের আকুলতা
নয় কোনো ক্ষণিকের ব্যাকুলতা
শুধু হৃদয়ের অন্তরীক্ষে জেগে ওঠা
হারিয়ে যাওয়া এক টুকরো ভালোবাসার
অহেতুক উষ্ণ অভিবাদন!
শেষবার সেই শ্রাবনের কোনো এক রাতে
দেখা হয়েছিলো এই দুজনাতে,

মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০১৬

না হয় ভুলেই গেলে আমায় তুমি
অবহেলে এক বিষন্ন দিনের শেষে।
না হয় বিদায় নিলে সহজ সুখের হাসি হেসে।
না হয় আমায় ডেকো কোনো এক শ্রাবনী পূর্ণিমাতে
যদি আনমনে একলা থাকো।
না হয় কবিতা লিখো ভুলে যাওয়া নামে ডেকো
যদি ভোরের রৌদ্রের খুব কাছাকাছি থাকো।
স্মৃতিবোধ বলছে
আমার থেকে হারিয়ে যাব আমি...
আমাকে পেরিয়ে যে পথ
তার চারদিকে কাঁটা তারের দিগন্ত
তোমার বিছানো
মানস সরোবর...
আমি আনন্দ খুঁজি নিরালায় ,দুঃখ খুঁজি ভিড়ে,
আমি ভূবন ঘুরে শান্তি পাই আপন জীর্ণ নীড়ে ।
আমার সকাল কাটে রাতের আশায়, রাতের স্বপ্ন ভোর,
আমার না হয় দেখা নতুন দিন ,কুয়াশায় চরাচর ।
আমার জানার মাঝেও অজানা দেখায় রক্ত চোখ,
আমার জ্ঞানের থেকে অজ্ঞানতা মাথায় চাপায় রোখ ।
আমার আপন থেকে পরের কথা বাজায় মনে বিন,
আমি জাগার থেকে ঘুমের ভেতর আপনাতে লিন ।
আমার যা আছে তা থাকে পড়ে, যা নেই তা খুঁজি,
আমি আয়ের থেকেও ওড়াই বেশি সকল কষ্ট পুঁজি ।
আমার কি যেন নেই দিনরাত মনে বেঁধায় কাঁটা,
আমার সুখের ঘরে দুঃখ নোটিস আজন্ম সাঁটা ।।

সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬

তুই চাইলে হাঁটতে পারি,
দুরের অচিন পথ
তুই চাইলেই জাগতে পারি,
গহিন গোপন রাত!!
ওই পথেরই সীমায় হারায়,
তোর ও মুখের হাসি।।
তাই তো আজও পথ চেয়ে রই,
ও মুখ ভালবাসি।।
তুই চাইলেই হতে পারি,
ছোট্ট সে নীল পাখী
তুই চাইলেই কান্না ভুলে;
তোকেই দেখে আখীঁ !!
তোমার গন্ধ শুকে কাটিয়ে দিতে পারি সুদীর্ঘ রাত
বিশুদ্ধতায় পাড়ি দিতে পারি সুদীর্ঘ পথ।
আর অপেক্ষা নয়,
আকাশ কাঁদছে আজ সব অশ্রু দিয়ে,
এই বরষায়।
তোমার সমস্ত শরীরে উছলে পড়া
অবাধ্য জোয়ারের বিচিত্রতায়
সূর্য কাঁপছে, নীল আকাশ কাঁদছে।
চাঁদ ফেটে জানিয়ে দিচ্ছে পূর্ণিমার অস্তিত্ব;
জ্যোৎস্নার লাগামহীন জোয়ারে
ভেসে যাচ্ছে প্রকৃতি।
আর আমার শুন্য বুকে শ্বাসের ঘাটতি।
নীলাভ আকাশ ফেটে অঝোর ধারায় ঝরছে
নীল বাতাসের জঞ্জাল দূরে সরিয়ে,
গুনে গুনে শ্বাস নিচ্ছে খরা পীড়িত হাওড় বিল
হৃদয়টা আমার আস্তে আস্তে হয়ে যাচ্ছে মলিন।
প্লাবন জলোচ্ছ্বাসে
অশান্ত ঢেউয়েরা ফণা তুলে,
শ্রাবনের সবুজ পাতার ক্রন্দন,
মেতে আছে সবে অশান্ত খেলায়,
অন্তবিহীন পথ পাড়ি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।
আমি, শেষ গোধূলি বেলায়।
স্বপ্নের বিষাক্ত রঙে মিথ্যেরা গড়ে,
নরকের যাতনাময় প্রাসাদ,
ছিঁটকে পড়া জীবনে কিসের আস্বাদ?
অন্তহীন পথ শেষে দাঁড়িয়ে আছি
ভুল শুধরে নিলে আর কি থাকে বিবাদ?
ফিরে এসো, ফিরে এসো
না হয় সাথে নাও,
দুই হাত বাড়িয়ে আছি অনন্তকাল,
ফিরে এসো, তুমি ফিরে এসো,
অপেক্ষায় আমি,
প্রথম গোধূলি থেকে শেষ সকাল।
কখনও আচ্ছাদনে,কখনও নির্লজ ভিজিয়ে,
কোনও নির্জনতার বা ব্যস্ততার ভীড়ে।
ভেজা শরীরে কন কনে ঠান্ডায়
তোমার উষ্ণতা পেতে আরও বৃষ্টি
ঝড়ুক অন্তরে বাহিরে ভীতরে....।
আকাশ থেকে প্রবল ঝড়া বৃষ্টি মনে
করিয়ে দেয়...শৈশব....কৈশর ও যৌবন
এই স্মৃতি গুলোকে উৎসকে দেয় বার্ধক্যে ।
এবং এই স্মৃতি করে যৌবন কে ঘিরে বেশী।
মনে মনে বলি, প্রজাপতি,
তোমার আত্মজীবনী আমি মুখস্থ করতে চাই।
শুনেই, এই প্রায় ...
আমি এই ফাগুনকে কথা দিয়েছি,
আমি বসন্তের ফুল সকলকে মান্য করে শপথ করেছি,
তোমার জন্যই ভালোবাসা সব বুকের মধ্যে জমিয়ে রেখেছি।
বুকের মধ্যে ...
তবে চণ্ডালিকার চেয়ে আরেকটু ভিন্নভাবে সাজাতে চাই তোমাকে,
সুধার চেয়ে আরেক রকম সুধা।
শুধু তোমাকে ...

শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৬

তুমি সরল, কি তুমি গরল,
তুমি সুখী, কি তুমি দুঃখী,
বেদনার পরবাসে, নির্বাসনে আমি।
হাওয়ায় ভাসে বিমূর্ত সকাল,
শ্মশানে ছাই হয় সুখের রাত্রি,
কিভাবে আকার দিই?
ঘষা মাজা করে যতই বিশুদ্ধ করি,
খসে পরে শুধু কিছু খড়।
যা কিছু আকারে ভুল ছিল,
চন্দবিন্দু, মাত্রা, কমা দিয়ে
ঘষা মাজা করে শুধরে নিতে গিয়ে,
স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণের যোগ সাজেশে,
তোমার প্রতিমা হতে খসে পড়েছে কিছু খড়।
প্রতিমার ব্যথা,
আমার কথা,
আমার আশা,
প্রতিমার পিপাসা,
দিন রাত্রি সময়ের প্রবাহে
কখনো কখনো নিদারুন দাবদাহে,
কাদামাটি শুকনো হয়ে
ফাটলের অবকাশে,
শ্রাবনের আকাশে..............
সামনে পেছনে সময় বন্ধনী
মাঝ বরাবর সুদূরতম অন্যমনস্কতা...
আলো থেকে অন্ধকার
খেলছে পথ, পথকথা...
আছো ভালো সুখের আলো,
তোমার ঘরটা জুড়ে।
আসেনি ফাগুন তুষের আগুন,
আমার মনটা পুড়ে।
নামি বাড়ী দামী গাড়ী,
স্বামী-সন্তান-সুখ।
জগৎপিতা- বৃদ্ধবনিতা,
তোমালাগি উন্মুখ।
প্রশ্ন করি না তাই বলে কি,
প্রশ্ন নেইতো কোন।
তোমার স্বভাব না দেয়া জবাব,
তবুও একটু শুনো।
আসনি ঘরে জিদের ঘোরে,
গড়েছো নতুন বাস।
তোমার কারণে প্রেমের তাড়নে,
আমার এ সর্বনাশ।

শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬

ধরে নাও এই মুহূর্তে জন্মালাম
একমাত্র আত্মার সঙ্গেই স্পর্শ পেয়েছি।
চিন্‌চিন্‌ করে উঠেছে বুকের ভিতর।
একটা ব্যথা... একটা আনন্দ...
আর একটা নিতান্তই অনুভব।
একলা একটা মানুষ একা একাই বড় হয়ে উঠল
ভিতরে ভিতরে।

ধরে নাও আত্মাটা নেই এখন,
একটা দেহ, একটু প্রাণ,
আর একটু নির্ভেজাল অঙ্ক।
যোগ দিতে দিতে বেড়ে যাচ্ছে কালির খরচ,
আর পাওনাটা বড় হয়ে উঠছে।
ধরে নাও এখন না আছে প্রাণ, না আছে দেহ
তাহলে যা রইল, ঠিক সেইটুকু নিয়ে
ভালবাসতে পারলে আমি মানুষ হব।
ধরে নাও আমি হব মানুষ তখন।
রোজ বোঝাই, তবু বোঝাই বাড়ে মন থেকে মনে
তোমার ভালোলাগা সাজ, সাজই থেকে যায় অন্যমনে
ভালোবাসা বড় অদ্ভুত, বাঁচেও না আবার মরেও না
ভালোবাসার মানুষটা চলে যায়, ভালোবাসা যায়না
একটি রাতের দুটি জোনাকির মিলনই একমাত্র সম্বল আমার
তুমি যে তুমিই এই ভেবেই স্বপ্ন দেখব রাতে, সকালে মুখোমুখি বাস্তবের
অনু পরমাণু দিয়ে শরীর, মন ও কি তাই?
মনে হয়না তাই বুঝি আমার মন আমারই কথা শোনেনা
আর কোনদিন বলবোনা আমার কাছে এসো
আর কোনদিন বলবোনা আমায় ভালোবাসো
আমার কথা আলাদা, তোমাকে ভুলতে পারিনা
কোনদিনই বলতে পারবনা, তোমায় ভালবাসবোনা

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১৬

আমি নেই এইটুকু জেনে খুশি থেকো
আসলে আগামী দিনে বজ্রপাত আর বৃষ্টি
একসঙ্গেই হানা দেবে আকাশে আমার...
ছুরি দিয়ে কুপিয়ে 'বিশ্বাস' বদলানো যায় না ...
প্রমাণ বা যুক্তি ছাড়াই কোনও 'বিশ্বাস'-কে বদলাতে ...
প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ... সংস্কারের আধারে কু-শিক্ষার মগজধোলাই লাগে,
পরিস্থিতির স্বীকার হওয়া দুর্বল চিত্তদের
এক এক করে ক্রমান্বয়ে গোষ্ঠীভুক্ত করে আজকের এই অবস্থা !!!
প্রেম নেই তবু প্রেমের কান্না মরেনি
তুমি নেই তবু তোমাকে পাওয়ার বাসনার সোনা ঝরেনি
এই সর্পিল জীবনের পথে আলগোছে ছুঁয়ে যাওয়া
তুমি যেন কোন চৈত্র রাতের দূর সমুদ্র হাওয়া!
তুমি নেই তবু একটি বিপুল বিস্ময় আছে মনে-
হঠাৎ কখনো পাখি ডেকে যায় বনে,
হঠাৎ কখনো বাতার পাশে হেনার গন্ধ জাগে;
হঠাৎ কখনো দুঃস্বহ অনুরাগে
একটি ব্যকুল গান রেখে যাও সেখানে
আমার গানের শ্রান্ত পাখিরা নীড় খুঁজে ফেরে যেখানে।
কোনো কোনো দিন বৈশাখী মেঘ, দোলা দিয়ে যাও তুমি,
কেঁপে ওঠে ঘন অমাবশ্যায় নির্জন বনভূমি।
সাড়া দাও তুমি গহন অন্ধকারে,
চেনা পৃথিবীর দিগন্ত রেখা ঘুঁচে যায় বারেবারে।
জাগে শুধু সেই অন্ধকারের গহনে
কুঁড়ির গন্ধ অন্ধ আবেগে অনাদি কালের দহনে।
তোমার পাখার সুর জেগে ওঠে রূপালি নদীর তীরে
আমার পায়ের চিহ্ন তখন রাতের পাহাড় ঘিরে,
ছুঁয়ে যেতে চায় তোমার আকাশ আলগোছে ভালবেসে।
হঠাৎ কখনো পথ ঢেলে দাও তোমার কৃষ্ণ কেশে!
যারে পেতে চাই নিজের ছায়ায় ঢাকা সে
শ্রাবনী মেঘ তবু রেখে যায় ঝড়ের ইশারা আকাশে।
সেই বৈশাখী মেঘের আবেগে আষাঢ়ের আঙিনাতে
যদি কোনদিন বন্যা নামায় এমনি ঝড়ের রাতে-
এই আশা নিয়ে প্রেমের কান্না জাগে,
দিনের পৃথিবী ঘুমালে তখন স্বপ্নের দোলা লাগে।
রাতের অন্ধকার এখন আমার ছবি আঁকার ক্যানভাস ।
তোমার চোখের আলো আমার রঙ ।
একদিন তোমাকে যে ছুঁয়েছি সেই আঙুল আমার তুলি এখন ।
আমি তোমার ঘুমের ছবি আঁকছি ।
তুমি নিলীন হয়ে শুয়ে আছো এখন আমার ছবির ভেতরে ।
এই ঘুম থেকে তোমাকে আমি জাগবো না ।
অস্থির পৃথিবী থেকে তুলে এনে ভালবাসার দু’হাতে
তোমাকে এখন আমার স্থিরতার পটে স্থাপন করে চলেছি ।
পৃথিবীর সব রূপসীরা আমার পাশে দাড়িয়ে দেখছে তোমাকে,
আমি তাদের ঈর্ষা দিচ্ছি কেননা তারা স্থিরতা পায়নি ।

আমি একটু পরেই শুয়ে পড়বো তোমার পাশে-
তারপর একটু করে প্রান্তর ভরে উঠবে ঘাষে ।
কালের গ্রহণ লাগা চাঁদ তখন বেরিয়ে এসে
আমাদের দু’জনেরই ছবি আঁকবে-
যে দেখবে সে দেখবে ।
তোমাকে ভাসাব বলে আনাগোনা এই,
দিগন্তে যে মেঘের কালো চুল,
সেই দিশাতেই আমার এ পথ চলা
হোক যদি হয় আন্তরিক এ ভুল।
একটা সময় বর্ষা রাতে ভাসে
একটা সময় বর্শায় কাটে রাত
একটা সময় মনের মধ্যে বাস
একটা সময় শুধুই ধারাপাত।
দিগন্তে তার বুকের ফোটা ফুল
হারিয়ে না যায় সেটাই যদি বোঝ,
আজকে তবে অশান্ত নীল ধারায়
মধ্যে নিজের জীবনটাকে খুঁজো।
আমাকে তুই রাখবি ধরে পাখি ?
দিগন্ত নীল উজাড় করে ঢাল,
স্বপ্ন-ছায়া ভুল যদি হয় হোক
হারিয়ে যাক সান্ধ্য-স্রোতের কাল।
একলা আগুন এই দিয়েছি ঢেলে
তরল বলে ভাবিস অবহেলে,
সু-কান্ত তার দেখেই গেছিস গলে
মরলি পাখি, মরলি রে সব ফেলে।
আপন ঘরের ভিতর পানে দেখ
যাচ্ছে নিভে প্রদীপ, অন্ধকার।
এই সময়ে আপন ডানা মেলে
মাঝ আকাশে তৃষ্ণার এক আঁধার।
জানিস পাখি, আমার এক মন
আজ হারালো, ভিষন আপনজন
আপনি হারাই আপন ধুষর বুক
সেইখানে আজ বাঁধ-ভাঙা এক সুখ।
ডুবেছে দুর্দশার আঁধারে, ডেকেছে বৈষম্যের চাদরে,
বৈষম্যতার বাঁধভাঙা বিলাপে চাদর হারায় তাঁর অস্তিত্ব।
যাযাবরের সাথে সমঝোতা!
বিবেকহীন বর্বরতা, সমতার দুর্বলতা,
কষ্ট বিলাসে, ভোগ তালাশে, ভাসছে রুক্ষ জীবন,
নিরাপদে ধ্যানমগ্ন হয়ে, কষ্ট নেয় তাঁর পদ্মাসন।
ইচ্ছের আকাশে আজ আর্তনাদের বজ্রকম্পন,
উঁই পোকার মত জীবন নিয়ে,
কেটে চলেছি দরজা, জানালা, বই, খাতা, পেন্সিল।
চাঁদের পৃষ্ট ধূসর হয়ে যায়,
ধীরে ধীরে সরে যায় পৃথিবী থেকে আরো সূদুরে।
অন্ধকার ভেদ করে আগুন,
উষ্ণতা নামবে অঝোর ধারায়
কষ্ট হবে, খুব কষ্ট হবে।
স্বপ্নের কষ্ট পীড়নে হৃদয়ের চোখে জল,
জীবনটা ধীরে ধীরে রুক্ষ হচ্ছে।
অন্ধকার হয়ে এল।
ভেজা স্বপ্নেরা পথ হারাবেই এবার
সঙ্গে হাতভরা আলো, বেদম সময়।
একবার একলা হয়ে দেখি
ওরা চলে যায়, নিরুদ্দেশে,
আমাকে আর গান শোনায় না,
নাচ দেখায় না।
আমিও এক দুঃসময়ে
স্বপ্নের তরী বাইতে বাইতে
গুনগুন গাইতে গাইতে,
আনমনে পাড়ি দিই
বুকের ভিতর
নিজেরই বুকের ভিতর।
মুখ ও কথার ব্যবধানে সংকটে সমাজ, সংকটে জাতী?
অনেক দূরে চলে এসেছি।
পুষিয়ে রাখা অবাঞ্ছিত বিবেক, মানবতা
যুগ যুগ ধরে এলকোহলের গ্লাসে বন্ধি।
এই সভ্য সমাজে,রাজনীতির কোলাহলে।
প্রতিক্ষণেই মুখে যত বলি সন্ধির প্রলাপ,
সভ্য মনের ভিতর জমা রেখে হাজারো পাপ।
অবিশ্বাসীদের বিশ্বাস করে
ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রাঙিয়ে দিয়ে
লালা গালিচা বানিয়েছি সভ্যদের জন্য।
তাদের মুখ ও কথায় দেখি তাদেরই সব অবদান ।
মনের অভিসন্ধি বুঝতে বুঝতে আর কত বিবেক খুন করব?
হে সভ্য সমাজ, তোমাকে বুঝতে পারিনি,
বুঝি না, কোন কালে বুঝব? তা জানি না।
কতটুকু হিসেবের পর পাওয়ার দুঃখ বেদনা পরিমাপ করা যায়?
অন্তর জ্বালিয়ে পুড়ে ছাই হলে কি
শুদ্ধ হয়?
ফুলের সৌরভের ছোঁয়া লাগেনি বলে কি
বিমর্ষ হয়ে যাবে জীবন?
গ্রহণ কালের দুবৃত্ত সময়গুলো সব কিছু নষ্ট করে দিয়ে
বিষাক্ত নোংরামিগুলো সমাজের সভ্য শ্রেণীতে আসন পেতে বসেছে।
সভ্যতার চাদরে ডেকে রেখেছে প্রতারনার তরতাজা দেহ।
নতজানু বিবেকের পা চুষে চুষে
লুকোচুরি খেলে যায় সভ্য সমাজ।
হৃদয় ছুঁয়েছি তবু হাত ছুঁতে পারিনি ....
ভাবি যদি সরে গিয়ে কর অবহেলা .....
তোমায় দেখেছি কত তবু দেখা হয়নি ....
এখনো ঘোষ বাড়ীর মোড়ে লুকোচুরি খেলা ..
একদিন শেষ হয়ে যাবে সব ,
শেষ হবে লোক ঠকানোর উত্সব ,
যা তুমি ভাবছো আজ অসম্ভব -
সেটাই হবে ।।
প্রতিটি মানুষের জীবনে কষ্ট আছে, শুধু তা প্রকাশ করার
পদ্ধতি ভিন্ন, নির্বোধরা প্রকাশ করে চোখের জল
দিয়ে, আর বুদ্ধিমানরা প্রকাশ করে মৃদু হাঁসি দিয়ে।
নদীর ঢেউয়ের মত কাঁপছে তোমার অধর
আমি বাজপাখি হতে চাই
একছুটে আনবো সেই পিঞ্জর , রক্তমাখা ঠোঁট
বুলিয়ে দেব তোমার কাঁপনধরা অধরে
তারপর ইতিহাস হয়ে বেঁচে থাকব আদি – অন্তহীন ।
পাহারের স্তন দেখছ? উচ্চাভিলাষী
আমি সেই স্তন ছুঁয়ে তোমায় পাবার অভিলাষে
মাকড়শার মত বুনবো লাল টুকটুকে বেনারসী
অতি স্পর্শকাতর যে স্থান সেখানে থাকবে তোমার স্পর্শ
ভালবাসতে – বাসতে আমি হব রাতজাগা ক্লান্ত চাঁদ
আর তুমি হবে ভোরের তাজা ফুটন্ত ফুল ।
একলা বসে ঘরের কোণে
কী ভাবি যে আপন-মনে,
সজল হাওয়া যূথীর বনে
কী কথা যায় কয়ে।
বাঁধনহারা বৃষ্টিধারা
ঝরছে রয়ে রয়ে''...

আষাঢ়সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল,
গেল রে দিন বয়ে।
বাঁধনহারা বৃষ্টিধারা
ঝরছে রয়ে রয়ে।
সেদিন যদিও ছিল শ্রাবণ মাস
তবুও ঝরেনি আকাশ
শুধু ঝরেছিল মম আঁখি
তোমার চিবুকে, মনে কি পড়ে আজ?
হোক না ব্যথা
তবুও তো সঙ্গে আছে
তার মতো করে ভালোবাসছে...
তপ্ত মনে কিসের ইশারা
খন্দকপাল বোঝেনা বিষের ধারা
অতৃপ্ত মনের ছায়া শরীরের রোমকূপে
গরুন্মতী কে কি কখন দেখা যায় হৃদমাঝে
তমোরাশি যার ললাট লিখন
গরল পাত্রে চুমুক অনিবার্য কারন
কুসুম কমলে বিস্ফোরণ তরঙ্গতাড়িত
ছবি তবু কথা বলে, আমি আবেগতাড়িত
চোখের কোনে মেঘ মল্লারের ধ্বনি
আমি কাঁদিনা, চোখ বলে আমি যে শুধুই নির্বাক
রুবী তে আমো
______________
যদি এমন হোতো
রাতজাগা কোন এক পাখির হাতে
পেতাম তোমার চিঠি...
সম্বোধনে কাঁপা হাতে লেখা আমার নাম
চকিতে চোখ যেত শেষ লাইনে
যেখানে তুমি লিখতে
ইতি – অনুরাগিণী।

সত্যি যদি এমন কোন চিঠি পাই কোনোদিন
হৃদয়ের উইলে লিখে যাবো তোমার নাম ।
যদিও জানি আমি, সাদা কালো এই
হৃদয়ের দাবী জানিয়ে
তুমি কোনদিনও প্রবেট চাইবে না...
ভালো ক’রে উইল-টা পড়লে
দেখবে
বারবার একই কথা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লেখা
রুবী তে আমো - রুবীতে আমো - রুবী তে আমো।
কথা ছিল
আলোর বাগানে এসে
সে দাঁড়াবে নিরালায় ।
আমি যাব,
আর দুজনে
আলো মাখামাখি করবো গায় ।
গেলাম,
গিয়ে দেখি সে কোথায় ?
কোথায় তার কথা ?
তবুও আলো ঝরছে বটে,
লাগছে না গায় তা,
মুখে ধরি দুহাত দিয়ে
আলোর কণার অশোক,
দেখি-
বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি হয়ে -
ভিজিয়ে দিল বুক আমার,
ভিজিয়ে দিল চোখ ।

ফিরছি ঘরে সেই পথে,
যে পথে সে যায়,
দু চারটি কৃষ্ণচূড়া
পড়ল এসে গায় ।
বলি,
“আজ থাক, লাগছেনা রে ভালো”।
“আয় তোকে আদরে দিই ভরে”,
বলেই হেসে কৃষ্ণচূড়া
নিজেকে অঝোরে ঝরাল ।
পাপড়ি পড়ল ঠোটের উপর,
পাপড়ি ছুঁল দেহপট ।
ফুলে ফুলে
কাঁপিয়ে দিল মন আমার,
কাঁপিয়ে দিল ঠোট ।
বাড়ি এলাম,
তুমুল উঠলো ঝড়, এপার ওপার ।
দিলাম খুলে যত
বদ্ধ জানালা, কপাট ।
উড়িয়ে নিয়ে যাক আমার
গুমোট অন্ধকার।
হাওয়া এলো,
লন্ডভন্ড ঘরে-মনে
আমার একি অনাচার!
তবুও কেন যায়না গুমোট ,
কেন আঁধার বিমূখ ?
শুধু উধাও হল শান্তি আমার
উধাও হল সুখ ।।
ইচ্ছে থাকলেই ভালবাসা যায় না,
ইচ্ছে থাকলেই কাছে আসা যায় না,
ইচ্ছে থাকলেই বলে ফেলা যায় না ভালবাসার রঙ কি।
নিজের ছায়ার মধ্যে
আজও তোমাকে খুঁজে পাই
প্ৰেম
এখন বুঝি
যা আগে কোনোদিন বুঝতে পারিনি
আমার অস্তিত্বের অর্ধেকটা আছো তুমি...
গটগট করে হেঁটে গেছি
পিছনে না তাকিয়েই... একসময়
একটা সময়... ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করেছি,
তারপর নিজেকে ধুইয়ে নিয়েছি ঘোলা জলে।
কথা যত ছিলো বাকি
হারানো হৃদয় মাঝে
প্রেমময় মাখামাখি
আকাশের সব গলিময়,
যেটুকু নিজের কথা
উষ্ণতায় বাষ্প হয়ে ওড়ে
গড়ে মিনার মেঘ নির্জনে
জলকুসুম পদ্ম আমার
নিজেকেই চূর্ণ-কীর্ণ করে।
সৃজনভূমি ঘিরে শোক
পাপড়িরা লাবণ্যহারা
উথাল পাথাল হারায়।
তাকেই জাপটে ধরে বলি
প্রিযতমানেষু, হে আমার আত্তারআত্বীয়
পুষে রাখা ভাষা এতকাল
ভেঙে ভেঙে ভাসাবো জলে।
যে জলে ঢেলেছি তর্পিত বারি
ভালবাসার সব মোহ-ধুলো
গ্রহণের চাঁদ শোন,
তাকেই আপন করে চাই।
দু:খ যত ছিলো সমতলে
ছায়া ছায়া তাকেও জড়ালে পাহাড়
যে রাত্রিকে প্রিয় বলে
টেনেছি জোছনা দাঁড়
মানসাই জলে
কী করে ফেরাবো তাকে
হৃদয়ে রেখে এতকাল !
আবেগে পূর্ণ নৌকো
স্মৃতির মিছিলে ভাসে বিষাদের বেলা
দিয়েছো অমৃত জল
নদীঢেউ হে আমার—
রোদ্দুর অমল।
আতঙ্কে স্বজনের বাড়ি
তারস্বরে গলাভাঙে কাক
এবার মরবি নদী—
প্রলয় পেড়েছে জোরে হাঁক
সতর্কিত উপকূল—
ঘনজঙ্গলে ভয়
আতঙ্ক-ঠোঁটে পাখিরাও ছোটে
সম্পর্কে আমাদের কেউ হয় ।
আমি ভিক্ষুক হবো
ভিক্ষা চাইবো দেবে,
এক মুঠো ভিক্ষা?
কোন আনা কড়ি নয়
মুষ্ঠিচাল নয়
এক মুঠো মানবতাশিক্ষা!
দেবে, এক মুঠো
'মানবতা' ভিক্ষা?
চাইবার তো এইটুকুই ছিল।
বসন্ত বাতাসে মৃদু হাওয়ায়
ভাসিয়ে দিয়েছি টুকরো কাগজ।
কুড়িয়ে নিয়েছ।
পুড়িয়ে দিয়েছ।
হারিয়ে গিয়েছি তারই সঙ্গে
অনেক অনেক দূরে
ছাই হয়ে বসে আছি
তেলচিটে নৌকোর গায়ে।
এস ঝরা কৃষ্ণচূড়ার গালচে বানাই,
তুমি বস ঐ প্রান্তে
আমি এ পাশে,
আঙ্গুলে আঙ্গুল রচুক পদাবলী ।
দিনান্তের ক্লেষ কৃষ্ট অঝোর দীর্ঘশ্বাস
একে একে পূর্ণতা পাক
নিটোল শ্বাসে ।

তার পর
সূর্য হলে পার
ষোলকলা চাঁদে হাসুক পশ্চিম আকাশ ,
দিগন্ত ডুবে গেলে গভীর কৌতুহলে
সেই অবকাশ-
তুমি গেয় বসন্ত গুলাল,
আর আমি কবিতা গুলজার ।
দুচোখে এঁকে নিয়ে সোনালি মেঘ
জুই, বেল অথবা রজনীগন্ধার
আবেশে ফিস ফিস যখন
আমাদের চর;
তখনই কোথা কোন বাঁশিওলার বাঁশির সুরে
একটা দুটো করে আশাবরী ধুন
খুশিতে ফুটুক তারা হাসির আকর ।
আর অনাদি অতীত ভিড় ঠেলে ঠেলে
আরো কম দূরত্বে স্বপ্নিল নীল;
চোখ ঠোট চিবুক কিম্বা চেতনায় লীন ,
এভাবেই ভাসি চল আত্মার আত্মণ,
এস এস করি জীবন উদযাপন ।
হয়তো আমি ভেবেছিলাম
তুমি আমার হবে,
তাই তোমাকে ভালোবেসে ছিলাম ।
সেটাই আমার জীবনে
সবচেয়ে বড় ভুল,
কিন্তু,
তোমাকে ভালো না বাসলে,
আমি ভালোবাসার কষ্টটাই
অনুভব করতে পারতাম না ।
তবুও তোমার জীবনকে
অভিশাপ্ত করবো না,
কারণ আমি আজও তোমায় ভালোবাসি...
হারিয়ে ফেলা শব্দগুলো
দেয় উড়িয়ে পথের ধুলো।
এমন বাঁচা ভাল্লাগেনা
ভাল্লাগেনা সময়গুলো।
সৃষ্টিছাড়া বৃষ্টি নামে
রুক্ষতা তাই যায় না থেমে।
একটা গোপন ইচ্ছেডানা
মেলছে পাখি, নেই ঠিকানা...

সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬

পেরিয়ে এসেছি আলোকবর্ষ দূর
তবুও আকাশ একই আছে সেই নীল
মন কোমনের মেঘেদের আনাগোনা
শব্দেরা খোঁজে আজও কবিতায় মিল..

মঙ্গলবার, ১২ জুলাই, ২০১৬

বৃষ্টির কথা থাক, বিরহের কথা বলি।
শুনাই দুজনে বিদ্যাপতির বিষণ্ন পদাবলী,
বর্ষার কথা থাক, বকুলের কথা বলি।
ঝরা বকুলেই ভরে রাখি এই প্রশস্ত অঞ্জলি।
আকাশের কথা থাক, হৃদয়ের কথা শুনি।
যদিও বিরহ তবু মিলনের স্বপ্নজালই বুনি,
অশ্রুর কথা থাক, আবেগের কথা শুনি।
সহস্র রাত কেটে যাক, দূর আকাশের তারা গুনিব।
গরিমার কথা থাক, বিনয়ের পাঠ ধরি।
কলহের কোনো কাজ নেই, কিছু করুণার গান করি।
বিদ্যার কথা থাক, প্রেমের কবিতা পড়ি।
চারদিকে এই জলধারা তবু সৃষ্টির দ্বীপ গড়ি..!


প্রবল প্রতাপান্বিত, প্রত্ন মহিমান্বিত, এ চারণভূমি
স্বপ্ন খন্ডিত, সবুজ নিঃশেষিত কল্প বোধিদ্রূমী
ঠারেঠোরে বারেবারে মায়াঘেরা সংসারে
অপ্রাপ্তির বেদনা অতর্কিতে ঘেরে
জীর্ণ ব্যপিত জীবন ব্যথা
কত কথা! কথকতা
তিক্ততা রিক্ততা
মলিনতা
প্র
শ্ন
চি
হ্ন
দ্বারে
আমারে
স্মৃতির ভীড়ে
তিন ভুবনের পাড়ে !
এবং কখনো কি তোমারে ?
শুকনো গোলাপ পাপড়ি, বিলম্বিত লয়
গুটি গুটি পথ চলে, থমকে দাঁড়িয়েছে সময়
ঝরাপাতা প্রাণ, ধুলিধুসর ! ঘুসঘুসে জ্বর ! ব্যাধি সঞ্চয়
অপাত্রে দান, ঋণ জর্জর ! প্রেম স্বার্থনির্ভর ! আত্মা অবক্ষয়।
সময়ের মূল্যঃ
❀ ১ বছরের মুল্য বুঝতে চান? তাকে
জিজ্ঞেস করুন, যে পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি...
❀ ১ মাসের মুল্য বুঝতে চান? তাকে
জিজ্ঞেস করুন, যে তার বেতন পায়নি...
❀ ১ সাপ্তাহের মুল্য বুঝতে চান?
তাকে জিজ্ঞেস করুন, যে হাসপাতালে ভর্তি ছিল....
❀ ১ দিনের মুল্য বুঝতে চান? তাকে
জিজ্ঞেস করুন, যে রোজা রেখেছিল...
❀ ১ ঘন্টার মুল্য বুঝতে চান? তাকে
জিজ্ঞেস করুন, যে প্রিয়জনের অপেক্ষায় ছিল...
❀ ১ মিনিটের মুল্য বুঝতে চান?
তাকে জিজ্ঞেস করুন, যে ট্রেন মিস করেছিল...
❀ ১ সেকেন্ডের মুল্য বুঝতে চান?
তাকে জিজ্ঞেস করুন, যে এক্সিডেন্টের হাত থেকে
রক্ষা পেল...
*প্রতিটা মুহুর্ত অত্যান্ত মুল্যবান ।
প্রতিটা গতকালই একেকটা ইতিহাস আর
আগামীকালটাঅজানা ।
কিন্তু আজকের দিনটা
আমাদের জন্য উপহার ।
আর একেই বলে বর্তমান...!!
আসুন কেউ সময়ের অপচায় না করে
প্রতিটা
মূহুর্তকে কাজে লাগাই, কারন স্রোত
ও সময়
কোনদিন কারো জন্য অপেক্ষা
করেনি, করছেনা
এবং করবেওনা
তুমি আমাকে আকার দাও
আমি রূপ পাল্টাই।
আমি তোমাকে ভালোবাসা দিই
এই সবকিছুর বিনিময়ে নয়,
নিজের বিনিময়ে।
নিজেকে সপে দিই তোমার পানে, তোমার হাতে।
আমি জানি, তুমি তাঁর চেয়েও উত্তাল হও,
যখন আমার সাথে তুমি প্রকৃতি দেখ।
আমার দু’চোখ নিয়ে গেল তোমার দু’চোখ!
তুমি পথ দেখালে আমি পথিক হই,
তুমি সাহস দিলে আমি বীর হই,
তুমি কাব্য দিলে আমি কবি হই,
তুমি সুর দিলে আমি গায়ক হই,
তুমি ছোঁয়া দিলে আমি জাগ্রত হই,
তুমি আলো দিলে আমি সকাল হই,
তুমি ছায়া দিলে আমি শীতল হই,
তুমি রাত দিলে আমি জোনাকি হই,
সকালে, দুপুর, বিকাল, সন্ধ্যা, রাত্রি
আকাশে থাকুক যত মেঘ,
সাগরের যত থাকুক উত্তাল ঢেউ,
বাতাস যত থাকুক মাতাল,
ভালোবাসার ভালোবাসা পেয়ে,
তুমি যখনই আস ফুলের মতন,
বাতাসে ওড়ায়ে তোমার আঁচল,
কাজল কালো দু’চোখের পাপড়ি মেলে দিয়ে
দীর্ঘ এক নিঃশ্বাসে।
অন্ধকার থাক,
দিনের মতই, ফেরা যাক এইবার।
গোধূলিতে দেখেছি আলোক, নিভু-নিভু ভীরু
জলে ভেজা, বিস্বাদ দুই চোখ।
অন্ধকার নেমে এলো দিনের মতই।
এখনও চোখের কোণে কালিমার দাগ।
সে দাগ অন্য কারো চোখে যদি ছুঁই।
ভরাবে কেমন করে আলো ?
অন্ধকার দু-চোখেই রেখো
দিনের মতন।
চলো, ফেরা যাক এইবার
সমুদ্রের বেলাভূমি ধরে
অনিশ্চিত প্রবাল-সফরে
মূর্তিমান ভোরে
ওই দুই চোখের পাতায়,
হঠাত্‌ রাত্রি নেমে এলে
আবার এক ভোর সন্ধানে।

রবিবার, ১০ জুলাই, ২০১৬

যেদিন কান্না ভেঙ্গে এল
দেওয়াল আমার মাথাটাকে
আপন করে নিল
যেদিন তাকিয়ে ছিলাম
শুকনো আশা নিয়ে
দেওয়াল গুলো নিঝুম ছিল
বোবা, কংক্রিট হয়ে..........
কবিতার পিছনে পিছনে হারিয়ে যাওয়ার হাতছানি।
আমি দৌড়ই, পিছনে পিছনেই...
ছুঁতে পারিনা কোনদিন।
বেহাগী আবেশে খোলা মাঠে কতদিন দৌড়েও
খুঁজে পাইনি হাসনুহানার গন্ধ,
আজ তুমি কত সহজেই
আমাকে সে শব্দের সন্ধান দিলে।
বুকের ভিতর ধকধক করতে করতে
হৃৎপিণ্ডটা চমকে উঠলেই বলতে,
আমাকে এত ভালবাসলে কেন ?
উত্তর দিইনি কোনদিন,
তবে জেনেছি,
কবিতার মত তুমিও অধরা ছিলে।
হারিয়ে যাচ্ছে একলা থাকার সুখ
একলা জীবন বন্ধুতে উন্মুখ।
বন্ধু রে তোর বুকের ভিতর বাস,
একলা এসে উজান ছুঁয়ে যাস।
শুনেছি অপেক্ষার প্রহর নাকি শেষ হয় না
ভোরের অপেক্ষায় রাত যে আর কাটে না
অন্ধকারে জোনাকির আলোয় স্বপ্নের জাল বুনে চলি
ভোরের স্নিগ্ধ আলোতে তোমাকে দেখার অপেক্ষা
শিউলি ফুলের সুরভি মেখে তুমি আসবে
বলাও হয়না, শুধু অপেক্ষায় থাকা.........

পাখির কলতান, নীল আকাশ, সবুজ মাঠ
এইমাত্র উঁকি দেয়া সুর্যের রঙের বাহার
সাদা মেঘের শুভ্র সাজে তুমি আসবে
তুমি আসবে আমার জন্য নতুন ভোর নিয়ে
সময় যেন থেমে গেছে, চারিদিক স্তব্ধ
এই অপেক্ষার কি শেষ নেই.........
কিছু বলা হয়না, ভয় হয়
জীবনও স্তব্ধ, শুধু অপেক্ষায়
তুমি আসবে জীবন নিয়ে
তুমি আসবে তো...........
পলক পালক ছড়াচ্ছে মুহূর্ত বিহারে...
মুহূর্ত সঞ্চয় করছে আবহমান তুমি...
তবু তো জানো তোমাতেই ঝরছে কথকতা...
কথা ছাড়া মাধ্যম নেই আর...
কথার তরঙ্গে ভাসছে সময় সরণ...
কথা শেষে পড়ে আছে রিকথ---
কথাহীন আমিরা...রুবি!!!
জলন্ত অগ্নিকুন্ড মনে করে
মনটাকে নিজেই দুহাতে চেপে ধরেছি
অগ্নিকুন্ড তার ধর্ম বজায় রাখতেই
দাউদাউ করে জ্বলে প্রতিনিয়ত
কবে কোনদিন কিভাবে কেমন করে
মন পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে
তার হিসেব কষেছি হৃদয়ের কষাঘাতে
অগ্নিকুন্ড হেসে হেসে তাতে গ্রহণ লাগিয়ে দিল।
আমি তো সেই অগ্নিকুন্ড রঙা মন কে
আমার কক্ষপথে আবর্তিত করেছি
অগ্নিকুন্ডটা নিস্স্রষ্ঠুরতা দেখিয়ে বলে
" আমি পুরুষ নই নারী নই
আমি মনের দ্বারে আগুন জ্বালি
মন না পোড়ে পোড়ার আনন্দে"।
আমি সেই ভয়ংকর খেলায় মেতে উঠেছি
মনের অভিসন্ধি বুঝতে বুঝতে আর কত বিবেক খুন করব?
হে সভ্য সমাজ, তোমাকে বুঝতে পারিনি,
বুঝি না, কোন কালে বুঝব? তা জানি না।
সভ্যতার চাদরে ডেকে রেখেছে প্রতারনার তরতাজা দেহ।
নতজানু বিবেকের পা চুষে চুষে
লুকোচুরি খেলে যায় সভ্য সমাজ।
মুখ ও কথার ব্যবধানে সংকটে সমাজ, সংকটে জাতী?
অনেক দূরে চলে এসেছি।
পুষিয়ে রাখা অবাঞ্ছিত বিবেক, মানবতা
যুগ যুগ ধরে এলকোহলের গ্লাসে বন্ধি।
এই সভ্য সমাজে,রাজনীতির কোলাহলে।
প্রতিক্ষণেই মুখে যত বলি সন্ধির প্রলাপ,
সভ্য মনের ভিতর জমা রেখে হাজারো পাপ।
অবিশ্বাসীদের বিশ্বাস করে
ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রাঙিয়ে দিয়ে
লালা গালিচা বানিয়েছি সভ্যদের জন্য।
কতটুকু হিসেবের পর পাওয়ার দুঃখ বেদনা পরিমাপ করা যায়?
অন্তর জ্বালিয়ে পুড়ে ছাই হলে কি
শুদ্ধ হয়?
ফুলের সৌরভের ছোঁয়া লাগেনি বলে কি
বিমর্ষ হয়ে যাবে জীবন?
গ্রহণ কালের দুবৃত্ত সময়গুলো সব কিছু নষ্ট করে দিয়ে
বিষাক্ত নোংরামিগুলো সমাজের সভ্য শ্রেণীতে আসন পেতে বসেছে।
সুর ছন্দ কেটে যাওয়া বেফাস মুখগুলো এ রকমই,
গ্লানি দিতে দিতে পেরিয়ে যায় বোধের সীমা...
এবং আশ্চর্যজনকভাবে এ সংখ্যাটা নিরানব্বই শতাংশ...
মেঘ করেছে
আকাশ বরাবর কয়েকটি ঘুড়ি
রূপকথার ছেয়ে আছে গোটা ইন্দ্রপুরী...
তব করুণা ধারায় মোর অমৃত বানী
শিশির সিক্ত আঁখি 'পরে শিশিরের লেখনী
বহু মাত্রিক প্রেমের অভিধানে
নয়নাভিরাম বিম্বের অনুকরণে
সিক্ত শরীর, কণ্ঠে বিষের জ্বালা
মিলনের মাঝে অতিপ্ত, অবহেলা
সর্পিল আলিঙ্গনে আবদ্ধ মায়াবী মিলন
বাকি শুধু একটি বিষাক্ত দংশন

মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০১৬

ফ্লাশব্যাকে সময় গুটিয়ে নিচ্ছিলাম তখন
বিন্দু বিন্দু সময়বোধে ভেসে উঠছিল
তোমার উচ্ছলতাগুলো...

সোমবার, ৪ জুলাই, ২০১৬

'এই যে আছি থাকবো না
আর সময় হলে লুকিয়ে যাবার
তখন কি কেউ দেখতে পাবে
আমার সঙ্গে পথ হারাবে ?
কক্ষনো নয়,
কক্ষনো না আমিতো নই সবার চেনা !'
তোর স্বপ্নে আমি আর আমার স্বপ্নে তুই
শিরা উপশিরায় বাণ ডেকেছে নীরব নাহি রই
মৌচাকে মারিসনা ঢিল অন্ধ হয়ে যাবি
আগুন নিয়ে করিসনা খেলা পেয়েও হারাবি
সবাই তিল থেকে তাল হয় আমি তাল থেকে তিল
জ্যোৎস্না রাতের ফুলশয্যায় মিলন পূর্ণকাল
তাপ উত্তাপ সব শেষ, তৃষ্ণা রইল কেবল
তরল গরলে সুখ, কি আসল কিই বা নকল
কথার কথা কত কথা বলব সে কি আর কথা
পরিপূর্ণ ফুল হতে চাইলাম, হলাম কাঁটার ব্যাথা!
আছ কিম্বা নেই
এই ভাবনার বুদবুদ নিয়ে
জেগে আছে শূন্যতার বুনিয়াদ...
কখনও জলের পাশে দাঁড়িয়ে পড়ছে
স্নানের ঘাট কাগজের নৌকার মত
ভাবনা ডুবজল বৈভব...
আবার কখনও সখনও জলকথারা
জাগিয়ে নিচ্ছে সময় তরঙ্গ
সাতসমুদ্র তের নদী...
তবু কোনো কথার কোনো মাথামুণ্ডু নেই
হাত-পা নেই হৃদয় ছাড়া...
দ্যাখো ঘুমের পাশে জেগে আছে অনির্বাণ
জোসনা জোসনা মানে চার দেওয়ালের
মায়া কুয়াশা দ্যাখা যায় না ওপারের নিঃস্বতাকেও...
যেমনটা বৃষ্টিবিম্বিত শহরে
তোমার মেরুদেশ যেমন করে মেঘের মত বাড়িঘর,
সুদৃশ অন্তরিক্ষ তুমি মানে শহর,
বহুতল অন্যমনস্কতা...
ভাঙতে চেয়েছো নির্মাণ প্লাবনের জলে
মুখ তুলেছি বলে এসেছো বাহুবলে
কতটা সময় রাখা যাবে পৃথিবীর ভার
মননে যুদ্ধ হোক, মুখোমুখি হুঙ্কার।
কত ঘুম এল আর গেল শুধু শেষ হলনা আমার অসমাপ্ত গল্পটা
যাকে শোনাবো বলে ভেবেছিলাম তাকেও ঘরে আনা হল না
আজ আর মনে পড়ে না ঠিক কি ছিল গল্পের বিষয় বা আদৌ ছিল কি না
আমি তো এখন ওই বুড়ো বটগাছটার মত একটা ঝড়ের অপেক্ষায় আছি
একটা ঝড়ই পারে সারা জীবনের অসমাপ্ত গল্পটাকে সমাপ্ত করতে ।
সোনার মূর্তি ভেবে যেখানে যেখানে স্পর্শ করেছি
সহস্র ধারা ঝরনার মত রক্ত - নদী বয়ে গেছে
কত দিন শুধু একা আয়নায় মুখ দেখা শিক্ষিত বেশে
এবার তাকেও দিয়েছি সবুজ রঙা এক খণ্ড মুক্তি ।
বিষবৃক্ষ ঝুলিয়ে রেখেছে গোটা চাঁদকে
লোভাতুর হয়ে জো্যৎস্না পাড়তে পারো
তারপর আর কতটা জীবনের দৈঘ্য বাকি থাকে?
লজ্জাহীন হলে সারা পৃথিবীটাই গোপন সুড়ঙ্গ ।
শিরায় শিরায় সোনার মূর্তির অবিরাম চলাচল
তবু স্তন বৃন্তে মধু লোভীর আদিম নিষ্ঠুরতা
স্বর্ণ কমল প্লেটোনিক পাতে মোড়া প্রেম চেয়েছিল
স্বেচ্ছায় জলে ফেলে দিল তার সোনার মূর্তি, অকালে ।

রবিবার, ৩ জুলাই, ২০১৬

আমি জানি তোমার গর্ভে বিকাশ আমার
আমি-ই তোমার সম্ভ্রম হরণকারী, আমি-ই যুগিয়েছি
তোমার লজ্জা নিবারণের কাপড়...
তুমি একা পূর্ণ হ'তে চাও - হওনা
আমায় দোষারোপ ক'রে সুখী হ'তে চাও হওনা
তুমি আমাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারো ।

তুমি নারী হ'তে চাইছো, এ কেমন চাওয়া
আমি কি তবে পুরুষ হ'তে চাইবো !
চাওয়া - পাওয়ায় যুক্তিহীন হ'চ্ছো না তো !
আমি লজ্জিত নই, আমি পুরুষ...
তুমি কি লজ্জিত হবে প্রকৃতি উপেক্ষা ক'রে...
এসো মানুষ ভাবি নিজেকে
এসো পাল্টাই সমাজ, পাল্টাবে তুমি
পাল্টাবো আমিও...
সমাজ বদল - এর মিছিলে এসো আমার সব
অত্নীয় অনাত্বীয় ও সব বন্ধুস্বজন
মেঘ জমে গেলে
মন থেমে যায়
ঝাঁপিয়ে যখন
বৃষ্টি পড়ে
দমকা হাওয়ায়
ভিজছে সে মন
ভরা নদীর তীরে
মন ভালো হলে
মেঘ জমে যায়
বৃষ্টি পড়ে ঝরে
ভেজা হাওয়ায়
ঘুরে বেড়ায়
উড়ে বেড়ায়
স্মৃতির গলি ধরে

শনিবার, ২ জুলাই, ২০১৬

শুকনো পাতার মর্মর শব্দকে মনে হবে
হারানো ভালোবাসার পদধ্বনি,
বাতাসের শো শো শব্দে হয়ত শুনবে,
ভুলে যাওয়া প্রেমের সুর
বৃষ্টির ছল ছল শব্দে
তোমার আমার প্রথম গান মনে হবে,
মেঘের উল্লাস শুনে কে যেন ডাকছে তোমায়,
তুমি ছটফট করবে, তুমি অশান্ত হবে,
তুমি দিক হারাবে, তুমি কুল হারাবে,
অশান্ত মন নিয়ে দরজার ওপাশে যেও না,
বাইরে কেউ নেই।
চারিদিকে আলোর খেলায়, অন্ধকারের অপেক্ষায়
মধ্যবর্তী বিরতিতে আমার স্মৃতি যদি ঢেকে যায়,
স্বপ্নের ভিতর ভালোবাসার আত্মহত্যা দেখে কেঁপে উঠবে,
বিছানার ডান পাশে হাতরিয়ে অহেতুক আমাকে খুঁজো না,
কিংবা মনের অজান্তে দরজার বাইরে যেওনা,
কেউ নেই।
একদিন ভালোবাসা তোমার দরজাতে কড়া নেড়ে যাবে
তুমি হতবিহবল হয়ে দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে
বাইরে গিয়ে ডানে বামে সামনে উপরে নীচে তাকিয়ে দেখবে
ওখানে কেউ নেই।
আর নীল সাগরের কাছে যেও না,
ওখানে আমি নেই,
ওখানে আমি আর আসব না।
তুমি যা বলেছিলে, তাই তো করেছিলাম
হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা শীতের রাতে
উদোম হয় কুয়াশা কুড়িয়েছিলাম,
তোমার গায়ে মাখব বলে,
ভোরের সূর্য থেকে তাপ এনে তোমাকে দিয়েছিলাম,
তোমাকে উষ্ণ করব বলে,
সৈকতের বিস্তীর্ণ বালি থেকে
শামুক কুড়িয়ে মালা গেথেছিলাম
তোমাকে পড়াব বলে,
নীল সমুদ্র থেকে ঢেউ তুলতে গিয়েছিলাম,
তোমাকে ঢাকব বলে
ঢেউ এর সাথে যুদ্ধ করতে করতে এবার আর ফিরতে পারিনি
সবাই আমাকে তুলে এনেছিল।
ও টুকু পারি নি বলে
ক্ষমা করে দিও আজীবন।