রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

জানি, হাত দু’টো তুমি আর ধরবে না,
তোমার কথার এক চুলও তুমি নড়বে না।
পাগল স্রোতে ভাসছি আমি,
ভেঙ্গে নদীর কূল,
আর কখনো ভাঙ্গবে না,
তোমার মনের ভুল।

আবার যদি হাত দু’টো একটু ধর,
দিনটাকে টেনে টুনে করে দিব বড়।
সূর্যটাকে থামিয়ে দিব
নীল আকাশের পথে,
মেঘগুলোকে বসিয়ে দিব
উল্টো কোন রথে।
আবার যদি হাত দু’টো একটু ধর,
উঠবে নড়ে চড়ে যত আছে জড়।
বাতাসটাকে বলব আমি
উড়াবে তোমার চুল,
আকাশেতে ভাসিয়ে দিব
খোঁপার যত ফুল।
এখন হয়ত ঝড় উঠবে,
অনিবার্য বাতায়নে ভেঙ্গে যাবে মৌনতা,
ইচ্ছা অনিচ্ছার দোলায়
সমূদ্র ভেঙ্গে জোয়ারের প্লাবনে পূর্ণতা।
আমি কেন বার বার হয়ে উঠছি দুঃখের উপকুলবাসী,
কেন ছিন্ন ভিন্ন করে দেয় সবকিছু দস্যি কালবৈশাখী।
আঁধারের চাদরে ঢাকা নির্ঘুম রাতের নিশ্বাস,
নিরবতায় চারপাশে নিঃসঙ্গ আঁধারের বিশ্বাস।
মলিন হয়ে তার নীল বদন,
বিভীষিকার অস্তিত্বে স্বর্ণালী যৌবন।
ফেরারী ভাবনাগুলোর স্মৃতির আক্ষেপ,
পূর্ণিমা অবেলায় অমাবস্যার জোনাকি নিক্ষেপ।
উচ্ছ্বাসিত দুঃখদের ভালবাসার প্রত্যাখ্যান,
ছন্দহারা জীবনে অপ্রাপ্তির উপাখ্যান।

শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

আমায় পাবে জোনাক আলোয়
রাত যদি হয় ভালোয় ভালোয়,
সবুজ বুকে জোনাক মেখে,
রাঙ্গা মুখে রাত্রি শেষে,
ভোরের আলোর কাটুক মেঘ
সুখের হাওয়া পাবে বেগ।
পাবে আমায় দীর্ঘশ্বাসে,
সুখী আমি অন্তিম নিঃশ্বাসে।
ভাবছ তুমি মুক্তি পেলে,
রেখে আমায় দূরে ঠেলে,
কাঁদছ কেন অঝোর ধারায়?
বৃষ্টি গাঁয়ে কিসের মায়া্‌য়,
নির্ঘুম রাতে খুঁজছ আমায়।
পাওয়া না পাওয়ার হিসাব ছাড়িয়ে
কেবল ভালোবাসার জন্যে এমন
আকুতি জীবনে দেখিনি কোন দিন,
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রমিকের আসন তাই তোমায় দিলাম।
জন্মান্ধ এই আমাকে বিশ্বাসী প্রেমের
ভুবন তুমিই প্রথম দেখালে,
তোমার প্রেমের আলোয় প্রথম
আলোকিত হল আমার আঁধার ভুবন।
তোমার ভালোবাসার কাছে আজ
পরাজিত আমার সকল অহংকার,
তোমাতে সব সমর্পণ করে আজ আমি
তোমার শ্যাম রক্তে পোষা হলুদ পাখি।
তোমার ভালোবাসার প্রকাশে
সংকুচিত হয়ে যায়
আমার ভালোবাসার আকাশ,
এভাবে কি কেউ ভালোবাসে?
তোমাকে তোমারমতো করে
ভালোবাসতে পারিনি এখনও,
এই অক্ষমতা আমাকে পুড়ায়
তুমি আমায় হারিয়ে দিয়েছ!
জানি এই হার আমাকে
চিরকাল মেনে নিতে হবে,
তুমি জানোনা জীবনে কোনদিন
আমি কোথাও হারি নি।
বড় দেখতে ইচ্ছা করে
কি দিয়ে গড়া তোমার হৃদয়,
কি করে ভালোবাসা এতোটা নিঁখাদ
এতোটা আলোকিত তোমার ভেতর।

শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

অজানা সব নিঃশ্বাসে, তোমার বিশ্বাসে,
লিখে লিখে এখনো পাঠিয়ে দিই
তোমার অজানা ঠিকানায়।
ন্যায্য দাবী বল, কিংবা অন্যায্য দাবী,
যা’ই বল না কেন,
ভালোবাসার লোভে আমার এই অপ্রতিভ মন।
সঙ্গী হয়ে সাথে আছে,
প্রতিদিনের প্রতীক্ষা,
তোমার সব স্মৃতি,
দীর্ঘশ্বাস।
অবরুদ্ধ যৌবন আক্ষেপ করে,
উত্তাল হয়ে কখন ঘূর্ণির মত ছোবল নেবে।
বুক পকেটে নিয়ে ঘুরছি,
প্রথম চিঠির অন্তর্বেদনা।
তোমাকে ছাড়া বাঁচতে হবে,
জীবনটা কঠিন মনে হয়
বেঁচে থাকাটা মনে হয় আরও কঠিন।
যখন আমার অফুরন্ত সময় ছিল
তখন ভালোবাসার এই দুটি হাত ছিলনা,
শুধু চোরাবালিতে ডুবে যাওয়া আর
মৃত্যুর কালো হাতছানি ছিল।
এখন আমার সময় নেই
ভালোবাসার দুটি হাত আছে।

চাওয়া পাওয়া আর হারানোর বৃত্তে
এ জীবনে সময়ই কেবল
পাওয়া না পাওয়ার দ্বন্দ্বে
আশা নিরাশার দোলায়
আমাকে অবুঝের মতো
কাঁদিয়ে গেলো!!
যখন আমার অফুরন্ত সময় ছিল
তখন কোথাও সবুজের দ্রাঘিমা ছিলনা,
গ্রীষ্মের প্রখর খরতাপ আর
পোড়া মাটির গন্ধ ছিল।
এখন আমার সময় নেই
সবুজের দ্রাঘিমা আছে।
যখন আমার অফুরন্ত সময় ছিল
তখন এমন যৌবনা নদী ছিলনা,
তপ্ত হাওয়া ধূধূ বালুচর আর
শুকনোপাতা মরাকীট ছিল।
এখন আমার সময় নেই
যৌবনা নদী আছে।
যখন আমার অফুরন্ত সময় ছিল
তখন কোথাও বসন্ত ছিলনা,
হীম ঝড়ের দাপাদাপি আর
বরফের চাদরে সব ঢাকা ছিল।
এখন আমার সময় নেই
অথচ বসন্ত আছে।
যখন আমার অফুরন্ত সময় ছিল
তখন বাগানে ফুল ছিলনা,
বিষবৃক্ষ কাঁটালতা আর
আগাছা পরগাছার কাল ছিল।
এখন আমার সময় নেই
বাগানে ফুল আছে।

বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

স্রোতে বহমান কোন নদীর অববাহিকায়,
পরাজিত ভালোবাসার একটুকু বাঁচার আশায়,
বেনামী তীরের অবৈধ প্রণয়ে,
আশাহত আশার নিহত সময়ে,
তোমার মানচিত্রের চিত্র,
ঘষা মাজায় ব্যস্ত অচেনা মিত্র,
সযতনে বুনে যায় গভীর ইন্দ্রজাল
গগন হৃদয় কখনো খোঁজে না সুন্দর আগামীকাল।
ভুলে যেতে যেতে বার বার মনে পড়ে যায়,
একটুকু ছোঁয়ার দায়।
তোমার মানচিত্র
বড়ই বিচিত্র!
বসত গড়েছি তবুও বাস্তুহারা আমি,
শিকড় গড়েছি ছিন্নমুল নামী।

মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

সবাই যখন তালে থাকে
উল্টো আমি মাতাল,
জোকের মত আঁকড়ে তোমায়
আকাশ থেকে পাতাল।
কার পথ কেমন তবে
চাইনা আমি বুঝতে,
উল্টো আমি তোমার প্রেমে
চাইনা কাউকে খুঁজতে।
তোমার আমার প্রেম দেখে
সভ্য হল সবাই,
আমি হলাম উল্টো তার
সভ্যতা দিলাম জবাই।
জোছনা আলোয় পৃথিবীটা
যখন থাকে ঘুমে,
আমার দু’চোখে লোভ বাড়ে
তোমার ঠোঁটে চুমে।
ইচ্ছে করে তোমার কাঁধে
হাতটা রেখে চলি,
আদিম রসের গল্প যত,
শিল্প করে বলি।
গল্প শুনে বল কেন?
বুড়ো কালের ভীমরতি,
আমার যৌবন আগের মতই
এখনো পাই গতি।
ভাবছো নিজে আমার চাঁদে
চরকা কাটা বুড়ি,
মুখের সাজে বুকের ভাঁজে
বয়স এখনো কুড়ি।
সন্ধ্যা রাতে চুলে বেনি
ঠোঁটে মেখে লাল,
আজো তোমার হয়নি মলিন
টোলটা পড়া গাল।
রাত গভীরে তোমায় ধরে
হাত করে নিষ পিষ,
আজো তোমায় একলা পেলে
ঠোঁটে দিতাম Kiss।

সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

পাঁচ আঙ্গুলে কালো চুলে
পরিয়ে দিলাম বেলি,
সরল বুকে আদিম সুখে
পাঁচ আঙ্গুলে খেলি।

পাঁচ আঙ্গুলের ফাঁক ফোঁকর
বলতে পার? কেন?
আমার পাঁচে তোমার পাঁচ
আঁকড়ে ধরে যেন।

শুনবে আমার পাঁচ আঙ্গুলের
কিছু কথা অল্প,পাঁচ আঙ্গুলের
ফাঁক ফোঁকর এক একটি গল্প।

পাঁচ আঙ্গুলে ছুঁয়ে দেখি
নরম তোমার বাঁক,অন্য পাঁচে
ঘুচিয়ে দিলাম আঙ্গুলের যত ফাঁক।
ঘোর বর্ষণের আতিথেয়তায়,
দূর্যোগ নেমে আসুক আমার,
আমি হব তোমার
গোপন শিবিরের গোপন অতিথি।
আকাশে ঝুলে আছে অবেলার শ্রাবন,
আজ হবে কঠিন নিম্নচাপ,
বাঁধ ভাঙ্গা সুনামিতে লন্ড ভণ্ড হবে ভাসমান সংসার,
আমি সমূদ্র গিলে খাব,
হব মরু দেশের শরনার্থী,
শিবিরে দাঁড়িয়ে তোমার থেকে নেব ত্রান।
নীল আকাশের বৃষ্টিতে শুদ্ধি হওয়ার যত গান,
শ্রাবন মেঘের অশ্রু জলে মুছে ফেল অভিমান।
এক পশলা বৃষ্টি নামুক তোমার হৃদয় অন্দরে,
তোমার আমার তরী ভীরুক জীবন সংসার বন্দরে।
আমার সকল সকাল বিকাল দীর্ঘশ্বাসে তুমি,
অশ্রু গুলো আড়াল করে অবচেতন ভুমি।
হয়তো অগোচরে করে বিন্দু বিন্দু জল জমা,
বিন্দু থেকে সিন্ধু হলে পাবো কি তবে ক্ষমা?

শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

অস্পষ্ট ভ্রষ্ট স্মৃতি,
আঁধারের আঁতুড় ঘরে,
উৎসর্গ করে সুদিন।
লুকিয়ে লুকিয়ে আর কত কাল?
অবসাদে নিভে যায় গোপন আলো।
আমার কত স্মৃতি, কতটা পথ ভ্রষ্ট?
এভাবে করেছি আমি কতকাল,
ইচ্ছেমত সময়গুলো নষ্ট।
তোমার ভালোবাসা আগলে রাখতে
তীব্র যন্ত্রণায় কাতর কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ।
নিঃসঙ্গতার সযতনে জেগে থাকার সাধ,
আত্নঘাতী রক্তকণিকা দেখেনা কখনো মুক্ত আকাশ।
সময়ের পতনে পাথরের ক্ষয়,
রাক্ষসী ধুলি ঝড়ের কবলে অবলা মরুভুমিতে,
ঝরে যাওয়া কিছু কাঁটার মাঝে নিঃশেষের ভয়।
মরু আর মেরুর ভাষা কি কখনো এক হয়?
আকাশের বিধ্বস্ত কিছু মেঘের আড়ালে
সূর্যের কিছু বিধ্বস্ত কিছু আলোর নিরব বিচ্ছুরন,
মরুপ্রান্থরে বেড়ে উঠা লোভী ফনিমনসা,
গিলে খায় কিছু জল, কিছু আলো।

বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

তবু মধ্যরাতে কষ্টের সিঁড়ি
ভেঙ্গে একে একে পৌঁছে যাই
তোমার নিঃশ্বাস অবধি।
তোমার প্রতি এ অবাধ্য ভালোবাসা
আমাকে নগ্ন লজ্জাহীন করে
কামনার সাগরে ভাসায়।
আজ ভয়ঙ্কর দ্বিধান্বিত আমার পৃথিবী
নীরব অগ্নিস্রোত বয়ে যায়
সমস্ত শিরা উপশিরায়,
অদৃশ্য ঝড়ের মত্ততায়
ক্ষীণ ঝাউয়ের শাখারমতো লণ্ডভণ্ড সব।
তোমাকে কাছে পাবার জন্য
মন খুব উন্মুক্ত হয়ে থাকে
জানি তোমাকে খুব আপন করে
পাবো একদিন সেই প্রতীক্ষায়।
রাত এলে চাঁদ হাসে
তোমার হাতে হাত,
কিছুই আমার হয়না বলা,
ব্যর্থ পূর্ণিমা রাত।
সকাল দুপুর সন্ধ্যা রাতে
তাকিয়ে তোমার চোখ,
নীরবতায় আমার প্রেম
ভুলে নির্বাক শোক।
অনেক কথা বলতে চেয়েছি
হয়নি কিছুই বলা,
তোমার চোখে তাকিয়ে ছিলাম
কাটলো সারাবেলা।
সকালের কাছে চেয়েছিলাম
একটু খানি রোদ,
মুখ ফিরিয়ে চেয়ে নিল
গত রাত্রির শোধ।
সকাল ঘনিয়ে দুপুর এলো
রোদ মেলেনা তবু,
ব্যস্ত শহর ঘুমায় অবেলায়
চোখ মেলেনা প্রভু।
সন্ধ্যা এলো নীল আকাশে
সাথে লালের আভা,
তোমার আমার ভিসুভিয়াসে
সুপ্ত রাতের লাভা।

মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ঘোমটা খুলে আকাশ দেখ,
মনের মেঘে স্বপ্ন আঁক,
দুঃখ নয় আর একতিল,
হয় যদি হয় দু’জনের মিল।
দুঃখের দলে সুখের ছলে,
নদীর তলে স্বচ্ছ জলে,
জল ভেঙ্গে দাও ডুব,
আলোর পুজায় জ্বালাও ধুপ।
প্রানের টানে কর উজার
দুঃখের যত বন বাদার,
প্রেমের টানে ভিজাও মন
আঁচলে ঢাক রাত্রি আঁধার।
পাথরে গড়া হৃদয় নিয়ে,
আর কতকাল জীবন যাপন,
আর কতকাল চন্দ্র প্রহর
প্রানের সুরে হিয়ার কাঁপন।
স্রোতহীন কোন নদীর বুকে,
কাটছে দিন পাথর সুখে,
নিরুদ্দেশ আজ স্বচ্ছ জল,
তোমার পানে নামল ঢল।
তোমার সুখে প্রানের অসুখ
পাথর দিয়ে রাখছ ঢেকে,
সূর্য কান্নায় কোমল আলোয়,
কাটছে দিন শিশির দেখে।
অস্পৃশ্য নিশিকন্যার ছোঁয়ার আহ্বান ,
প্রতীক্ষার ললাটে কঠিন অবসান,
প্রেম হলে হৃদয় মাঠ হবে উত্তাল
বর্ণিল আলোতে একাকী আকাশ,
বর্ণিল আঁধারে একাকী পাতাল।
নীল সিঁড়ি পাতিয়ে রেখেছি সুউচ্চ গিরিতে
তোমার প্রতীক্ষার অবসান কোন তিথিতে?
তোমার প্রতীক্ষায় প্রতীক্ষারা,
প্রতীক্ষার প্রহর গুনে পার করেছি মাস বছর।
দিন আর রাতের মিলনে
কখনো ভোর, কখনো সন্ধ্যা নামে।
কখনো আলো, কখনো আঁধারে,
যৌবনের রং বয়সে বাড়ে।
কখনো স্বপ্নে যৌবনের আয়োজনে,
যৌবন আর তোমার নিদারুণ বিভাজনে,
তোমার স্পর্শে তৃষ্ণার অবাক জলপান
ফেরারি আমার যৌবনের পালা গান।
মাঝে মাঝে তোমার প্রেমের
অনির্বাণ অসীম চিতায়,
ঝাঁপ দেয়া পতঙ্গ হতে ইচ্ছে করে।
মাঝে মাঝে ঝর্ণা আর বনভূমির দূরত্ব
প্রেমের সত্য প্রকাশে,
একরেখায় মিলিয়ে দিতে ইচ্ছা করে।
মাঝে মাঝে ভালো থাকার ইচ্ছেগুলি
নিদারুণ অপুষ্টিতে ভোগে,
অকারণ ভুল বুঝাবুঝি কষ্টের বাহুল্যে।
মাঝে মাঝে কেবল কষ্ট জেগে থাকে
যতো চাই ভুলে যাবো,
দুঃখের বৃত্তে ততোই যোগ হয় দুঃখের সহোদর।
মাঝে মাঝে কোন রাতের
উচ্ছিষ্ট খাবারের মতো
বাসি প্লেটে উন্মুক্ত পড়ে থাকি।
মাঝে মাঝে তবুও
তোমার ভালোবাসার আকাশে,
পূর্ণিমার চাঁদ হতে ইচ্ছে করে।
মাঝে মাঝে তোমার অহংকারের ডালপালা
ছুঁয়েও দেখেনা আমার
কষ্টের অভিমানী নীলমেঘ।
মাঝে মাঝে ঘুম থেকে জেগে
সবকিছু তোমায় উৎসর্গ করে,
নিঃস্ব হতে ইচ্ছা করে।

সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

স্মৃতির বিভ্রান্ত প্রতারনায় জীবন ফ্যাকাশে,
আমার প্রতিবিম্ব অচেনা তোমার আকাশে।
যে পথে শুধু ক্ষরণ,করেছ রপ্ত
দূষণের তীব্রতায় স্মৃতিরা অভিশপ্ত।
আর নয় কোন তীব্র প্রতীক্ষার প্রহর,
মুক্ত করো এই চির চেনা স্মৃতির বহর।
আবার মেঘ আসছে,আসুক
আবার বৃষ্টি নামছে, নামুক।
আসুক এই সন্ধায় যত ঝড়,
লন্ড ভণ্ড হোক পাতানো খেলাঘর।
তোমার নামে বৃষ্টি আজ আমার হৃদ জুড়ে
নিক্ষিপ্ত জ্যোৎস্নার আলো জমে আস্তাখুঁড়ে।
রোজ রোজ বাইরে যত রাত্রি যাপন,
বিবর্ণ ভালোবাসার খোঁজে নিঃসঙ্গতা আপন ।
তোমার ভালবাসার পাশে স্মৃতি আজ মৃতপ্রায়।
চেনা প্রশ্বাসের উষ্ণতা হাতড়ে বেড়ায়।
সংঘাতে সংঘর্ষে স্মৃতির বিভ্রান্ত চারণ,
মিথ্যাশ্রিত শরীরের সত্যের বারন।

শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

মর্মে মর্মে জ্বেলেছি আলো,
পুবের আকাশে যখন মেঘ কালো,
বৃষ্টিগুলো তোমায় কি বলে?
সবকিছু শোধ নেব সুদে আসলে।
চিনতে পারনি আজো বৃষ্টির জল,
ভুলে গেছো গত বর্ষার ছল।
ভুল করে ছুঁয়েছিলে ঝড়ো বাতাস,
কালো মেঘের ভিড়ে তোমার আকাশ।
সব কালো মেঘ দিলাম সরিয়ে,
বৃষ্টি নামাবো আজ নুপুর পরিয়ে।
আকাশে যত আলোর তোলপাড়,
বেলা শেষে চাঁদকে দিও কিছু ধার।
আমার বৃষ্টিতে আছে কিছু রিমঝিম ছন্দ,
তোমার মেঘে আছে ভালোবাসার গন্ধ।
আমার বৃষ্টি যখন ঝরে মুষল ধারে,
তোমার আকাশে তখন মেঘ বাড়ে।
মেঘের আড়ালে শূণ্যতা ডানা মেলে,
মেঘে মেঘে ঘর্ষণে আগুন জ্বেলে,
মাঘে আর মেঘে আজ কত আপন,
অঝোর ধারায় আজ নদীতে প্লাবন।
পরবাসীনি তোমার স্পর্শ ডানায়,
মেঘ চলে আসুক আমার ঠিকানায়।
ভুল করে কভু অনিদ্রিত চোখে,
আহত আমি আজ দিনের শোকে।

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

তোমার চোখের জল আমাকে বিভ্রান্ত করে
আমাকে ভেবে তোমার কান্নায়,
আমি তোমাকে বলার সাহস হারিয়ে ফেলি
এ সহচর্য ফুরালো বলে!
কি করে বলি এতো রূঢ় সত্য তোমাকে
তুমি কষ্ট পাবে বলে নিখুঁত অভিনয়ে,
তোমার সঙ্গকে উপভোগ্য
করে তুলি সব ভুলে।
আমার আজকের এই উত্তরণ তার
পেছনেও আছে রহস্যাবৃত এক উপাখ্যান,
যার বেশ কিছুটা তুমি জানো
বাকীটা বলার সময় এখনো আসেনি।
অবৈধ মুদ্রার মতো অচল আমাকে
নিয়ে এতোটা কাল আমি,
প্রাণ গুঁজে দিয়েছিলাম কষ্টের ভেতর
হঠাৎ করেই তুমি আমার নিশিজাগা সাথী হলে।
আমার কবিতার শরীরে কেন
এতো দুঃখের অলংকার ,
কেন সুখের আটপৌরে শাড়ীতে
ঢাকতে পারিনি কবিতার শরীর!
তোমার প্রশ্নে স্মৃতি হয়ে যাওয়া
প্রাক মুহূর্তগুলি মনে পড়লো,
স্নায়ুর অস্থির ঘন কালো মেঘে
আবার বৃষ্টি এলো শ্রাবণের অঝোর ধারায়।
এ প্রশ্নের কি জবাব দেব তোমাকে
তুমি আমাকে যতটা দেখেছো,
তার চেয়েও সুদূর কোন অতীতে
আমি প্রগাঢ় দুঃখের আগ্নেয়গিরি ছিলাম।
জীর্ণ শরীরে গোপন অসুখেরমতো
পাল্লা দিয়ে বাড়ে
দুঃখের চারাগাছ।
আর দুঃখটাকে উপড়ে ফেলতে গেলেই
বাতাসহীন হয়ে যায় ফুসফুস
মনে হয় এই বুঝি মরণ।
নির্লজ্জ প্রতিযোগীতায়
বুকের উর্বর ভূমি থেকে
ফুসফুসে গেথে যায় শিকড়।
আমি দুঃখকে ছেড়ে যেতে চাই
দুঃখ আমায় ছাড়েনা,
গোপন প্রেমিকেরমতো বেঁধে রাখে।
জীবনের শুরু থেকেই
সেই যে পিছু নিয়েছে, তারপর
একটা মুহূর্ত আমায় ছাড়েনি।
আমি তাদের সরাতে গিয়ে
বারবার ব্যর্থ হই
পরম মমতায় খুঁজি এপিঠ-ওপিঠ।
দুঃখের উল্টো পিঠেও
দুঃখই জেগে থাকে
চৈত্রাগুনে পুড়ে যাওয়া মাঠেরমতো।
আমার উদ্বাস্তু জীবনে
দুঃখ এসেছে দীর্ঘ দিনের,
কাংখিত সন্তানেরমতো।
যুগল চাঁদের হাসি নিয়ে
আজ নীরব বারান্দায়
অবিরাম খেলা করে।
আর নয় কোন বয়ে বেড়ানো নিরব যাতনা
আমিই তোমার সাথে সব সময়ে
এইটুকু দিতে পারি সান্তনা।
অচেনা পথে একাকী দাঁড়িয়ে,
ভাবছো দিন রাত গুলোর ক্ষত তুমি একাই সারাবে,
ব্যথার সবটুকু নিয়ে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ একাই থামাবে?
আগ্রাসী কষ্ট বুকে নিয়ে তাড়াবে পুঞ্জিভূত সকল অন্ধকার,
কেন একাকী বইবে তুমি সব ব্যথার ভার।
নিজের প্রতি তোমার এতই অবিচার কেন?
নিজেকে তুমি কি ভাবো? আপন?
সবটুকু দুঃখ কি তোমার একার?
ভেবেছ কি একা একা কাটিয়ে দিবে সারাটি জীবন।
আজ বড়ই অচেনা তুমি।
সব ব্যথা যদি বুকেই রাখো,
পাথরের গাঁয়ে কেন আমার ছবি আঁক?
কাঁদায় মাটি আলোতে যে দেহ গড়ে
অভিমানে কি তা নড়ে চড়ে,
বিনষ্ট জীবন বলে নেই কোন কিছু,
কঠিন বাধা যদিও তার পিছু।
এটাই জীবন, তার উপর সব ভার,
নিজের প্রতি করোনা এত অবিচার।
বিশ্বাস করো আমি বুঝতে পারিনি
অকারণ অভিমানী মেঘে মেঘে এতোটা
ভারী হয়েছে তোমার মনের আকাশ।
তোমার শিশুসুলভ অবুঝ অভিমান
স্তম্ভিত করে দিলো আমার বেখেয়ালিপনা
সমস্ত বোধের আকাশ।
তোমার যেমন কেউ থাকেনা পাশে
আমারও তেমন অরক্ষিত জীবনের উপকূল
জলেও জলোচ্ছ্বাসে কুঞ্জ ভেসে যায়।
বিক্ষিপ্ত সময় পার করছি
দীর্ঘশ্বাসের শব্দে উলট পালট সব
আমি ভালো নেই ক’দিন ধরেই।
অদৃশ্য নিয়তি নিষ্ঠুর হাতে
বার বার কেটে দিচ্ছে
জীবনের গুনটানা সুতো।
তোমার ভয়ঙ্কর আভিমানে
আমার আজন্ম বেখেয়ালিপনার আকাশে
কাল মহাসেনের তান্ডব ছিলো।
অভিমান প্রাবল্যে আমার প্রতি
তোমার ভালোবাসার প্রাবল্যকেই
উলঙ্গ করে দিলে তুমি।
অথচ আমার বুকে কোন শিল্প নেই
নেই কোন রবিশস্যের উপস্থিতি
খরা দগ্ধ বিরাণ এক প্রান্তর।
কিছুক্ষণ খোলা প্রান্তর...
খোলা ডোর...প্রত্যাশা দিন শুরু ।
এই তো একটু আগেই চাঁদের আলোয়
ধুয়ে যাচ্ছিল পৃথিবী।
আকাশ হারায় চাঁদ মেঘেদের দেশে।
না পড়া বইয়ের পাতার মত
শুরু হতে যাচ্ছে আরেকটি দিন।
গতকালের পাতাটি হারিয়ে গিয়েছে
কৃষ্ণগহ্বরের বেশে ফিরবে না...
ক্ষণিকের স্বপ্ন শেষ হবে একদিন।
বহু দুর.....ছুটে চলা
ঐ সীমানা পেয়িরে হাজারও ক্রোশ দুরে
ভাসমান ঠিকানা দুয়ারে দাড়িয়ে
তোমাদের সন্ধানে....
আসমান থেকে হুকুম এলেই
চির বিদায়ের ঘন্টা বাজবে
দুয়ারে দাড়িয়ে তোমাদের আজ
ভাসমান ঠিকানা....
জীবনের কাছে ফের সমর্পিত হই
অবহেলা অভিমান ছাপিয়ে
ভালোবাসার ডাস্টারে মুছি জীবনের গ্লানি।
পৃথিবীর শেষ প্রান্তের
শেষ অগ্নিশিখা হয়ে
শেষবারেরমতো জ্বলে উঠি।
অমাবস্যার আঁধারের কাছে
হঠাৎ যৌবন ছোঁয়া কিশোরী
হয়ে যায় গরল বিশ্বাসী প্রেমিকা।
স্মৃতির খাদের ক্লেদে
ডুবে যেতে যেতে অপসৃত
নীল দংশনে দংশিত ভালোবাসা।
যন্ত্রণার গভীর গহীন কাঁটাঝোপে
পথ ভুলে কাঁটা বিঁধে কাতরায়
ভালোবাসার সবুজ ফালগুনী।
স্বপ্নের সার্বভৌম আকাশে
উড়ে বেড়ায় রাক্ষুসে বাজপাখি
নিচে পড়ে রক্তাক্ত ছায়া।
ফুরিয়ে যাবার কেন্দ্র বিন্দু থেকে
উঠে আসে প্রেমের দেবতা
শুরু হয় আবার পথ চলা।
বুঝেনা কখনো লাল নীল সবুজ
বুঝেনা সে কভু হৃদয়ের ছোঁয়া,
সব রং, রং নয়
কিছু রং শুধু ধোঁয়া।
নীল দিগন্তে উড়ে উড়ে যায় রংধনু,
জলকনা-আলো একান্ত আপন সৃষ্টি,
বিস্তীর্ণ আকাশে তার রূপ ঝরে,
সরল চোখে পৃথিবীর দিকে তার দৃষ্টি।
নির্ভয়ে সুউচ্চতায় বসত গড়ে।
যত কাছে আসুক, যত ব্যবধানে
হাত ছুঁয়ে ছিলাম কোন প্রতিদানে,
ভুল করে করি, করি জেনে শুনে
কেন ছুঁয়ে ছিলাম? কিভাবে?
যা করেছিলাম অতি গোপনে।
বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে যাক সাত রং,
শুধু থেকে যাক কিছুটা সবুজ,
পুষে রেখে সব ব্যথার নীল,
সূর্যের লাল আভা এখনো অবুঝ।
স্থবিরতা আর ব্যর্থতার অন্ধকারে
সারা রাত ডুবে থাকি,
এভাবেই প্রতিটি রাত
প্রবাহিত হয় নিষ্ফল আর্তনাদে।
নিশীথে ফোটা ভালোবাসার
গুচ্ছ গুচ্ছ ভীতু স্বপ্নেরা,
আকন্ঠ ডুবে থাকে
যন্ত্রণার হীম সাদা বরফের নীচে।
মধ্যরাতে ঘুমের গভীরে
অশরীরী আত্মার গন্ধ পাই,
সমুদ্রের ভয়ঙ্কর আর্তনাদ শুনি
মরে যাওয়া নদীরমতো।
নিসর্গ প্রকৃতি চরাচরে
জীবনের সব ব্যর্থ চাওয়া,
উল্টো হয়ে ঝুলে থাকে
রক্ত চুষা বাদুরেরমতো।
দূর থেকে ভেসে আসা
অচেনা পাখির রাত জাগা কান্না,
পারদেরমতো নিঃসঙ্গ ভারী হাওয়া
পায়চারী করে আমাকে ঘিরে।
না পাওয়ার কষ্ট বুকের গভীরে
ছোবলে ছোবলে রক্তাক্ত করে,
কুরে কুরে খায়
প্রতিটি প্রহরে প্রহরে।
চাইলেই আকাশ থেকে ছিঁড়ে এনে দেবে রুপালি চাঁদ,
নক্ষত্রের আলো বোতল ভর্তি করে ছিপি দিয়ে আটকাবে।
সোনালী রোদ্দুরকে করে দিবে আরও আলোকিত।
ভাবনার আকাশে সে বিশাল,
সে আমার ভালবাসা। সে আমার ভালবাসা।
সে আমার ভালবাসা।
কোথায় ছিলাম? জানিনা
সরলরেখা কিংবা বক্ররেখার মত এই জীবনে নয়।
সহজ, সরল, স্বাভাবিক কোন জীবন ছিল?
তাও জানি না।
অজানা কোনো প্রবাহমান ভালবাসা থেকে এসে,
আকস্মাৎ বদলে দিলো আমার জীবন।
অতিন্দ্রীয় মায়াস্পর্শে
মায়াবী হাতের ছোঁয়ায়,
অনাবিল প্রশান্তি আমার অস্তিত্বে,
চিরচেনা হয়ে গেলাম এই ধরাতলের কাছে।
যত দুরে চলে যায়,
তাঁর স্পর্শ,
বলা না বলা কত গল্প, কবিতায় সে,
মহাকাশের চেয়েও তার বিশালতা
মহাসমুদ্রের চেয়েও তার গভীরতা,
সপ্নবিলাসী মন আমার দিগন্ত ছোঁবে,
সেই আমার সঙ্গী হবে,.......
দেশের বুকে রক্তের ছোপে,
বেড়ে উঠছে লোভী আগাছা,
স্বপ্নের ক্ষণ বেড়ে বেড়ে মৃত্যুর মিছিলে
বাড়ে আরও কিছু মৃত্যু।
প্রবল বাঁধভাঙ্গা স্বপ্নে মৃত্যুর মিছিল,
মৃত্যুরা হেঁটে চলে নগ্ন পায়ে,
পীচঢালা পথে রক্তের স্রোত,
হাঁটি হাঁটি পায়ে ছুটোছুটি মৃত্যুর শৈশব, কৈশর, যৌবন।
দূর্লভ নেশা, দুরন্ত প্রতাপ,
প্রান ঝরে নিঃশেষ হয়ে যাক মানবতা,
মৃত্যু মিছিলে বাড়ুক আরও কিছু মৃত্যু।
রাতের পর রাত যে স্বপ্নে শুধু রক্ত দেখে,
দিনের পর দিন সে বন্য হতে থাকে।
বিতর্কিত নষ্টামীর পালা গায় দিন রাত,
মিছিলে, মিটিংএ।
এখানেও সামাজিক বৈষম্য আর শোষণ,
পুঁজিবাদের উৎসব,
ক্ষমতা লোভীর চাতুরতা,
ক্ষমতার লোভে চাপা পড়ছে মানুষ,
প্রান বিসর্জন দিচ্ছে স্বপ্ন।
রাজকীয় ভোজে তাঁর সামনে কঙ্কালের তৈরী থালা বাসন।
মৃত্যু বিহঙ্গ ডানামেলে রক্ত বর্ণ বিড়ম্বনায়,
তার স্বেচ্ছাচারী স্বাধীনতার অসম সংবিধানের পাতা।
বেওয়ারিশ আজ রেসকোর্সের ময়দান,
শাপলা, শাহবাগ পাল্টে দিয়ে রচনায় নতুন অভিধান।
স্বপ্নের বিড়ম্বনাতে স্বাধীনতার চাবি,
নিশুতি রাতে অমাবস্যার এই কোন দশা?
অতন্দ্র প্রহরী তুমি মানচিত্রের প্রতি ইঞ্চিতে,
বকধার্মিক শাসকের কবলে ধর্ম ব্যবসায়ীর স্বপ্ন।

উৎসর্গ ......প্রায়াত সাংবাদিক আলতাফ মাহবুবকে
তার একাকিনী হেঁটে যাওয়া
রিনিঝিনি বাজিয়ে নূপুর
উদাসী পথের বাঁকে,
কুয়াশার শীতের সিগ্ধ মায়ায়
কত কথা বলা হয়ে যায়
না বলা অনেক কথার ফাঁকে!

একাকী, আনমনে খুঁজে বেড়াই
পাতাঝরা উদাসী বিকেলগুলো
বিষণ্ণ প্রহর, সাঁজের লালিমায় ঢাকা,
মেঠোপথের অচেনা আঁধারে, মনে পড়ে
স্মৃতি জাগানিয়া সে পথ ছিল
সোনালী স্বপ্নে আঁকা!
রংধনু বিকেল, ধবল মেঘের ভেলা
ছুটে চলে ইছামতি-মধুমতি
বেলা অবেলায় অবিরাম কলকল,
গোধূলি সন্ধ্যায় মনে ভাসে
কাজল কালো আঁখি
লিলুয়া বাতাস, অলকানন্দা জল!
চেনাপথ ধরে হেঁটে যাই,
বেলা শেষের নির্জনতায় ঘেরা
হিজল-শিমুলের ছায়ে,
ব্যাকূল নয়ন থমকে দাঁড়ায়
চপল ছন্দে ছুটে চলা
ঘুঙুর বাঁধা পায়ে।
নির্জনতার সুরে
ঘুমন্ত রাত্রির জৌলুশে,
হাসনাহেনার তীব্র আকুল গন্ধের ভালোবাসার পরশ,
এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আকাশ,
নিঃশ্বাসের গন্ধে তুমি,
দৃষ্টির সীমানায় তুমি,
চিবুকের ঘামে তুমি,
কবিতার চরনে তুমি,
মূল্যহীন জীবনের অস্পষ্ট ভাষায় তুমি,
যদি থাক, পাশে আজীবন তুমি।
নক্ষত্রবীথিকার উম্মাদীয় আলোতে
আঁধারের রূপ মোহনীয় দুর্লভ হয়,
কখন?
যখন তুমি পাশে থাক।
আঁধারের ভাঁজে ভাঁজে,
জোনাকির ঝি ঝি সুরে,
রাতের কিছু স্নিগ্ধতা গায়ে মেখে,
তোমার হাটার ছন্দে
প্রকৃতি ফিরে পায় তাঁর হারানো যৌবন।
কষ্টের ধুলো আর রিক্ততার অন্ধকারে
নিঃসঙ্গতার পৃথিবী রহস্যেই আবৃত থাকে।
জানিনা কিসের কুহক আমায় ঘোরায় প্রতি রাতে
বিভ্রান্তি প্রভুভক্ত কুকুরের মতো চাটে
ভালোবাসার শরীর।
আজকাল প্রায়ই মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়
এক অলৌকিক ছায়া টোকা দেয় বন্ধ দরজায়।
আমি ব্যস্ত হাতে দরজা খুলি
মুহুর্তে সে মিলিয়ে যায় ঝড়ের বেগে।
ঘুমে আচ্ছন্ন স্তব্ধ নীরব পৃথিবী
ঝিঁঝিঁর ডাক চাপা পড়ে কষ্টের নীচে।
যে আঁধারে তোমার শ্বেত কঙ্কন দেখা যায়,
তাঁকে কি আঁধার বলা ঠিক হবে?
তোমার গ্রীবা ছুঁয়ে আমায় উষ্ণতা দিয়ে
গ্রহণ-আঁধার কাটিয়ে রাহুকবল হতে মুক্তি পাবে
তোমার আমার ভালোবাসা।
একাকীত্বের কাছে পরাজিত হব না তুমি আমি,
পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকি,
তোমার আমার ভালবাসা হলে
ভাষাহীন চোখে তাকিয়ে দু’জন,
প্রলয়ের ঠিক আগ মুহূর্তে হলেও হাত ছুঁয়ে দেখব।
শৃংখল ভেঙ্গে পরিয়ে দিব শ্বেত কঙ্কন,
নীলাম্বরী শাড়ীতে ঢেকে দিব তোমার শ্বেত শুভ্র দেহ,
সংকটময় নিকষ রাত্রিতে চিনে নিব তোমার গ্রীবা।
কুয়াশাহীন সচ্ছ প্রভাতে
অন্ধদ্বীপের কোন শস্যহীন প্রান্তর পেরিয়ে
বেলা অবেলার অবলা কোন কুমারী
মূমুর্ষ সূর্যের পানে হাত বাড়িয়ে রয়,
একটুকু আলোর আশায়।
পৃথিবীর করোটি ভেদ করে
কিছু আলোকিত আঁধার,
বিধাতা পাঠিয়ে দেয় তোমার ঠিকানায়।
আগুন হয়ে পারিনি কিন্তু বিশ্বাস হয়ে
তোমার ভালোবাসার আকাশকে ছোঁব
ঐ শিশিরস্নাত আকাশের বর্ণীল রঙধনু হবোই আমি।
আমি তোমাকে চাই তৃষ্ণার্ত চাতকেরমতো চাই
মনে রেখ এই চাওয়া এক দিন প্রসারিত হবে
বিশাল আকাশচুম্বী সীমাহীন স্বপ্নেরমতো।
আমি জানি এই বুকে কতোটা ধারণ করেছি তোমায়
আমি অপেক্ষা করবো অপেক্ষার পাথরে
ভালোবাসার ফুল না ফোটা পর্যন্ত।
অবরুদ্ধ প্রাচীন দুয়ার খুলে লোভের ঘৃণ্য কালো ধোঁয়া
অতিক্রম করে নিরীহ নীলিমা আর ভালোবাসার
সস্নিগ্ধ নিসর্গে আমি ঠিক পৌঁছে যাবো একদিন।
রাতের জোছনায় ভিজে আমি
তোমার পরশ খুঁজে বেড়াই,
ওই নীল জোনাকির কানে কানে
না বলা কথা বলে যাই,
রয়েছো দূরে ....তবুও মিশে
এ মনেরই গহীনে
আধো আধো রাতের ছায়ায়
আলতো আলতো সপ্ন মায়ায়
মন শুধু
তোমাকেই চাই .....................
কি হবে এত লিখে?
আমার শুদ্ধ প্রেমে ইচ্ছে হলেই কি লিখতে পারি,
তারপরও লিখি
যদি তোমায় হাতে তুলে দিতে পারি,
অল্প কিছু সুখ,
জীবন নামের এক ক্ষণস্থায়ী সংসার ।
তোমার কষ্টটুকু যদি নিতে না পারি,
জীবনের প্রতিটি অলিতে গলিতে পদদলীত হচ্ছে
তোমার অস্তিত্ব।
কেঁদে কেঁদে উঠে আমার ক্ষুদ্র বিবেক,
তোমার জন্য,
বিলাসিতা ছেড়েছে তোমার অপরিপক্ক কঁচি হাত ।
আমার অসহায় নির্লজ্জ স্বপ্নগুলো,
নিঃশ্বাসে আড়ি পাতে।
চারদিকে এত জল্পনা কল্পনা চাপা উত্তেজনা
কোন আনন্দ ধ্বনি কিংবা কবিতার ভাষা নয় |
নিজেকেই ধিক্কার দিই
কিছুটা কষ্টও নিতে না পারি।
নিরবতায় কাটে কিছু নষ্ট সময়,
সময়ের নির্মম বাস্তবতায় নেমে আসে শব্দহীন স্তব্ধতা,
আহত ঘড়ির কাঁটা খুঁড়ে খুঁড়ে চলে,
ভাষা হারিয়ে গেছে কিছু নষ্ট গদ্যে,
দূষিত রুমাল দিয়ে পদ্যের ছন্দ মুছে,
আমার অক্ষমতা তোমার অশ্রু নামায়।
চৈত্রাগুনে পোড়া দগ্ধ ভূমিতে চিরচেনা মুখ খুঁজি
তৃষ্ণার্ত চাতকেরমতো,
জীবনের বিপরীতে না পাওয়ার হাহাকার
মৃত্যুমাখা ডুবন্ত সময়ে শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে
আজও স্বপ্ন কাতর আমি।
ভালোবাসার দীর্ঘ অদর্শণেও
তোমার উপস্থিতি টের পাই বুকের অলিন্দে,
বুক ছুঁয়ে আছো সারাবেলা গোপন সুখেরমতো
এই অসুখ জীবনের মর্মঘাতী সত্যের প্রকৃতি।
মৃত্যুরমতো ভয়ানক কালো সময়ে
দিন রাত নিজেকে খুঁজে বেড়াই তোমায়
ক্রুদ্ধ ঢেউয়ের নৃশংস ঝড়ে।
অসভ্যতার জন্মে তোমাদের ঢাকঢোল,
সভ্যতার মৃত্যুতে তোমাদের উল্লাস,
ধ্বংসের খেলায় মাতাল,
পায়ের নীচে পবিত্র মাটি পিষে,
সভ্যতার দেহ থেতলে দিয়েছে মাটির সাথে,
বেঁচে আছ পৃথিবী নামের কোন ভিন গ্রহে।
আজ কি তোমরা সবাই মানুষ?
তাহলে তোমাদের চোখে জল কই?
একদিন তোমাদের চোখে জল ছিল,
ছিল বিবেকের দীপ্তশিখা,
মানবতাবোধের উপাখ্যানে ছিলে তোমরা প্রধান চরিত্র।
শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মানুষের রক্ত প্রবাহিত হত,
তখন তোমাদের রক্তের বর্ণ ছিল লাল।
ধরণীর নরম বুকে অপরাধবোধ বলে একটা শব্দ ছিল।
একদিন তোমরা সবাই ছিলে সৈনিক,
বেঁচে থাকার কিংবা বাচিয়ে রাখার প্রানপন চেষ্টা ছিল,
ছিল পরিশ্রান্ত শরীর ,বিষণ্ণ মন।
বসন্তের সৌরভে এখন অবিবেকের আনাগোনা,
রক্ত পিপাসুর তান্ডবে দাউ দাউ জ্বলে মানবতা,
সভ্যতার অস্তিত্বের সৎকার শ্মশানে,
ছাই ভস্ম বিলীন হয় তাজা রক্তের স্রোতে।
একদিন তোমাদের চোখে সুন্দর স্বপ্ন ছিল,
জীবন বিলিয়ে মানুষের তরে,
তোমরা ছিলে মানুষদের মত দেখতে ,
বিপদে আপদে উপকারী মানুষ রুপে।
ক্ষয়ে ক্ষয়ে মানবতার মৃত্যুতে
তোমরা আর বিশুদ্ধ হবে কবে।
অদম্য ইচ্ছে গুলো এবং
অসীম আবেগকে গলা টিপে
হত্যা করেছি প্রতিক্ষার
প্রহর গুনতে গুনতেই।
প্রতীক্ষা আজ আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।
কিভাবে চোখের অশ্রু লুকিয়ে
মুখে হাসি ফোঁটাতে হয়,
সে আসবেনা জেনেও কিভাবে
অপেক্ষা করতে হয় এসবই পারি আমি।
কিভাবে বুকের রক্তক্ষরণ লুকিয়ে
হাসি মুখে জনে জনে বলতে হয়
"আমি ভালো আছি,খুব ভালো"
এসবই শিখিয়েছে প্রতিক্ষার প্রহর।
আজ তুমি-আমি এত কাছাকাছি
তবুও তোমাকে ছুঁয়ে দেখার
ইচ্ছেটাও আমি দমন করতে
শিখেছি এই প্রতীক্ষার কাছেই।
অথচ তুমি প্রতিদিন নির্মোহ চলে যাও
তোমার শূন্যতার অসীম অন্ধকার
আলিঙ্গন করে পিপাসায় ভেসে যাই
বৃষ্টির মতো চোখের জলের নোনা স্রোতে।
আগুনে ধাবমান পতঙ্গেরমতো
সাঁকোহীন এক দীর্ঘ নদী,
পার হবার ব্যকুল বাসনায়
বার বার ছুটে যাই।
তোমার প্রতিক্ষায় শতবর্ষি
বৃক্ষের মতো আজও
সেই পথের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে
যেখানে ভালোবাসা প্রজাপতির মতো।
ধুলো আর রিক্তদহনে মাখা
আমার আঁধার পৃথিবী
অপূর্ণতায় ঢাকা থাকে
ইন্দ্রিয়ে ঢেউ তুলে মিলায় সব আকুলতা।
সেদিন শেষ বিকেলে,
কে যেন দরজায়,
বার বার করা নাড়ে,
মনে হয়.......
এই বুঝি তুমি এলে।
আকাশ ভরা মেঘ ছিল,
সেদিন শেষ বিকেলে,
ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির উৎসবে,
চারদিকের মৌনতা ভাঙ্গে,
নিঃসঙ্গতার প্রবাহে চেতনার উপহাস,
দমকা হাওয়ায় ভেসে ভেসে
স্মৃতিরা আঁচল খুলে দেয়,
ধূসর পৃথিবীর ধুসর দুখগুলো
বার বার ফিরে আসে,
আপন মনে,
দুঃস্বপ্নের ঘুন পোকাগুলো ক্রমাগত ডেকে যায়,
নিয়তি আবারও উপহাস করে
খিল খিলিয়ে হেসে উঠে।
যুবক ফের পাড়ি জমায়
ফেলে আসা স্মৃতির শহরে।
অনেক পথ পাড়ি দিয়ে,
ভুল করে কোন এক যুবক এসেছিল এই শহরে,
ক্লান্ত শরীরে, বিষণ্ণ বদনে, যুবক এসে থামে
জীবনের অন্য এক দরজায়।
নির্বাসিত নিপীড়িত ঘাত প্রতিঘাতে জর্জরিত আহত যুবকের,
অতীতের পড়ে থাকা স্মৃতিগুলো,
ফেলে আসে ছেড়ে আসা শহরে ।
নতুন জীবনের হাতছানিতে
পথভুলো যুবক পেয়েছিল
ভালোবাসা নামের অলৌকিক এক পথ।
পুরনো সব সম্পর্ক চুকে দিয়ে
মিলনের স্বপ্নে বিভোর
যুবকের নতুন মূল্যহীন জীবন।
যুবক পেল সঙ্গী,
যে অপেক্ষায় থাকে ভালোবাসার ডালা সাজিয়ে।
যুবক গাঁয়ে মেখে নেয় তাঁর কিছু পরশ।
যুবক ফুল গুনে,
যুবক পাপড়ি গুনে,
যুবক তারা গুনে,
যুবক মেঘ গুনে,
যুবক দিন গুনে, গুনে সকাল বিকাল সন্ধ্যা।
যুবক স্বপ্ন বুনে,
আকাশের মাতাল মেঘগুলো বিজলী দিয়ে যায়।
যুবকের স্বপ্নে মায়াবী শিহরণ,
স্বপ্নকামী মনে সঙ্গী তাঁর স্বপ্ন বাসরে।
ইচ্ছে করে জোনাক পোকার মালা
গলায় পড়ে,
বাসর গড়ি লতা পাতার ছাউনি ঘেরা
ছোট্ট ঘরে।
ইচ্ছে গুলো স্বপ্নের মতো ময়ূর
হয়ে পেখম তুলুক,
রাত্রি বেলায় স্বপ্ন গুলো আঁকড়ে ধরে
গড়ে তুলি ভালবাসার ছোট্ট নিবাস।
ভালবাসার ছোট্ট বসত গড়ে তুলিস,
ছাউনি ভেদে রাত্রি হলে জ্যোৎস্না
যেন চুইয়ে পড়ে।
ইচ্ছে করে নীল আকাশে
ছোট্ট ঘুড়ি হয়ে উড়ে বেড়াই,
নাটাই থাকুক তোর হাতে
দিক বিদিক ছুটে ছুটে ক্লান্ত হয়ে
সন্ধ্যে হলে আসবো ফিরে তোর
ভালবাসার ছোট্ট ঘরে।
মুখোমুখি থাকবো বসে নিয়ন আলোয়
হাতটি রেখে তোরই হাতে।
ইচ্ছে হলে এলো চুলে বিলি কাটিস,
চাঁদের আলো লজ্জা পেয়ে মুখ লুকিয়ে
ঝাপসা হবে।
চোখের পাতা তিরতিরিয়ে কাঁপতে থাকবে,
ঠোঁটের ছোঁয়ায় রাঙ্গিয়ে দিবি
আলতো করে অধর চুমিয়ে।
অনুকরণ নয়, অনুসরণ নয়, নিজেকে খুঁজুন, নিজেকে জানুন, নিজের পথে চলুন॥ ”
_______মোহিত অনু_____
অফিসের কাজের- প্রেসারে, যখন জড়সড় আমি একেবারে
এসো মুখগুঁজবো তোমার বুকের পাজরে আমি আছি ।
অভিমানে আর আবদারে, একান্ত কোনো আদরে
আর ঘুম ভাঙ্গা প্রতিটি প্রহরে আমি আছি ।
আমি আছি দুরে থেকেও কাছাকাছি ।
আমি আছি,আমি আছি
তোমার মিষ্টি হাসির আড়ালে
এদিক ওদিক আনমনে তাকালে
আর টোল পরা বা দিকের গালে
আমি আছি আমি আছি...।।
তোমার চঞ্চল চোখের কাজলে
ওই সুগন্ধি এলোমেলো চুলে
আর ম্যাচকরা কানের দুলে আমি আছি
আমি আছি তোমার খুব কাছাকাছি
পরিপাটি শাড়ির আঁচলে কুচির ভাজগুলো এলোমেলো হলে
যদি বাতাস ঘুর্নিপাক খেলে আমি আছি ।
মাষকারা খুঁজে না পেলে, লিপ লাইনারটা হারালে
দুলের পুশগুলো পালিয়ে বেড়ালে আমি আছি ....
আমি আছি তোমার খুব কাছাকাছি ...
ঘামে ভেজা গরম দুপুরে, তোমার নরম পায়ের নুপুরে
আর অথৈ ভুলের সাগরে আমি আছি
নালিশে ভরা বালিশে, তোমার দু-হাতের নেইল পলিশে
দুঃস্বপ্নের রাত গুলো শেষে আমি আছি ।
প্রতিটি মানুষ ভালবাসাকে লালন পালন করে
তার মনের মসজিদ, মন্দির ও গির্জাতে,
আমি এই প্রেমের গোপন জায়গাটা
জানতে চাই, শুনতে চাই যৌথ পৃথিবীর গল্প
সমগ্র পৃথিবীটা একটি প্রেমের বাগান
যেখানে ভালবাসার জন্ম হয় শূন্য থেকে
আর ছড়িয়ে পরে দুর দূরান্তে।
যেনতেন ভাবে নয়, ভালবাসার বিদ্যাকে
অর্জন করতে হয় অনেক সাধনা করে,
অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে মানুষ
হতে পারে একজন সুযোগ্য প্রেমিক।
প্রেমিক আর প্রেমিকার সম্পর্ক হয় সিমবায়োসিস,
একে অপরকে বুঝতে হয়, জানতে হয়।
তবুও কিছু প্রেমে থাকে দুর্বোধ্য নীরবতা
কিছু অদ্ভুত ধরনের লুকোচুরি,
এখানে একজন অনেক কথাই বলে যান
আর অপর জন থাকেন একদম নিশ্চুপ।
এই প্রেমের ক্ষেত্রে, 'আমি' আর 'তুমি'
শব্দ দুটি একদম উহ্য পরে থাকে।
সাধারণত, এই সম্পর্কগুলো হয় কলমের
কালির মতন, যেটার দাগ সহজে মুছে না;
আর মুছলেও তার ছাপ রয়ে যায় সর্বত্র।
ইচ্ছে হয়, তোমাকে নিয়ে নীল
আকাশে উড়ে বেড়াই
হেঁটে বেড়াই অচেনা গ্রাম্য পথে।
ইচ্ছের ঝুড়িতে বাঁধা পরে,
তোমাকে নিয়ে নদীর জলে খেলা
করার সঁখ, তোমাকে নিয়ে বৃষ্টিতে
ভেঁজার সঁখ অনেক দিনের,

বৃষ্টির জল গুলো হাতের মুঠোয়
নিয়ে দেখবার সঁখ! তা কি তুমি কাছে
থাকার মূহুর্ত গুলোকে মনে আটকে
রাখতে পারবে?
নাকি জলের মতই ঝরে পড়বে অঝর
ধারায়!
ইচ্ছে হয়, তোমাকে নিয়ে জ্যোৎস্না
স্নান করব নিশ্চুপ রাতে
রাতের পথে হেঁটে বেড়াবো তোমার
হাতটি ধরে।
রাতের মিষ্টি প্রহর গুলোকে অনুভব
করব নিজের মাঝে!
আজ সত্যি তোমাকে খুব
বলতে ইচ্ছে করছে,,
ভালোবাসি তোমায় আমি,
তোমার থেকেও
অনেক অনেক অনেক
বেশি!
ভোরের সাথে বিদগ্ধ অনুভূতিগুলোর আলিঙ্গনে
স্বপ্নকামি যুবকটি পরাজিত হয়ে,
সমাজ বিবর্জিত আজ,
একা একা বসে আনমনে
দেখে আকাশের নীল রং।
মনে নেই,
সেই শেষ কবে দেখা হয়েছিলো?
এক বর্ষার সন্ধ্যায়।
ছায়াকে সঙ্গী করে,
রাতের উল্কা,
একাকী ছুটে চলে।
যেখানে শুধু আঁধার আর আঁধার।
ভিজিয়েছিল ভালোবাসার সীমাহীন আবেগে
ভালবাসার আবেদন, আয়োজন,
জোৎস্না দিয়ে মালা গেতে,
চাঁদের পিঠে বাসরের ডালা নিয়ে,
অপেক্ষায় ছিল।