রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৫

অদম্য আকর্ষণে অবিরাম ছুটে চলা
আনাদিকালের তরে; এক ঘোর স্বপ্নযাত্রায়
উদাসী প্রহরে রাত জাগা, হাজারো নক্ষত্রের মত।
গভীর নিশীথে স্বপ্নগুলো বিবর্ণ হয় কখনো,
বুকের ভিতরে জমাটবাধা কষ্টগুলো
গাঢ় নীলাভ হয় শঙ্খনীল বেদনায়।

জেগে ওঠে দুঃখ-বেদনা-বিষন্নতা
নিঃশব্দ প্রহর গুনি চাঁদ ডোবা রাতের অচেনা আঁধারে,
বিস্মৃতির অতল হতে ছুটে আসে দুঃস্বপ্নের ঘুণপোকারা
নিশীথের নিস্তব্ধতায়, নির্ঘুম রাতের প্রহরে
রাত জাগা, একা; চেনা-জানা অনেকের মাঝেও।
স্মৃতির আগল খুলে খুঁজে বেড়াই অস্তিত্বের কঙ্কাল,
জোছনা বিহীন আকাশে মেঘের ছায়ার মত জেগে থাকে
ঘুমহীন ক্লান্ত দু’চোখ, অশরীরি অন্ধকারে;
শঙ্খচীল সময়গুলো জাগতিক চৈতন্য ভুলে
উদভ্রান্ত পথিকের মত ছুটে চলে মহাকালের মহাযাত্রায়
কৃষ্ণপক্ষের অন্ধকার থেকে ভেসে আসে স্বপ্নভঙ্গের আর্তনাদ
অপেক্ষার প্রহরে অধরা আকাশ; কেবলই মায়া!
মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে যায় কদাচিৎ
গভীর নৈঃশব্দে জেগে থাকি, একাকী
নিদ্রাহীন স্বপ্নের মাঝে পুষ্প ছোঁয়া
পুষ্পিত মন নিয়ে খুঁজে ফিরি নিজেকে
দুখি জীবনের মাঝে।
তুমি আছ,
তাই এই বনানী এত ভালো লাগছে আজ
পূর্বে তো কখনও দেখিনি প্রকৃতির এই অপূর্ব সাজ!
তুমি আছ,
তাই আমার সৌন্দর্যের অন্তঃদৃষ্টি ডানা মেলেছে।
সত্যিই কি তুমি কাছে আছ? নাকি আমি আছি স্বপ্নের মাঝে?
স্বপ্ন যদি হয় তাহলে এই ঘুম যেন কখনও না ভাঙ্গে
সত্যি যদি হয় তুমি চিরদিন থেকে আমার সঙ্গে।

তুমি আছ,
তাই এই শালবনকে লাগছে অপূর্ব
সেজেছে অপরূপ সাজে।
শালবনের গাছগুলির ফাঁক দিয়ে আকাশ উঁকি দিয়ে আছে।
যেন তোমার আকাশী রঙের পোশাক দেখছে মুগ্ধ নয়নে
আর হয়তো ভাবছে তার রঙের পোশাক পড়াতে,
তোমাকে প্রতিমা সুন্দর লাগছে।
তুমি আছ,
তাই পাহাড়গুলোকে অদ্ভুত সুন্দর লাগছে।
শিশির ভেজা পাহাড়ের ঘাসগুলো ভিজে চিকচিক করছে
পাহাড় যেন তোমার দিকে তাকিয়ে আছে
সোনালী পাড়ে কালো শাড়ীর কারুকার্যে তোমাকে বেশ মানিয়েছে
আর তোমার চোখের আনন্দের ধারা দেখে হয়তো ভাবছে-
তার বুকের কচি ঘাসগুলোর মত তোমার মায়াবী দুটো চোখ চকচক করাতে
তোমাকে প্রকৃত সুন্দর লাগছে।
রাত্রি নামা চাঁদের বুকে
বিশাল বটের ছাঁয়ে,
ইচ্ছে ডানা থামলো এবার
চললো পায়ে পায়ে।
ইচ্ছে ডানার সাধ হয়েছে
আকাশ বাড়ি ছোঁবে,
রাত্রি জাগা তারার বুকে
চোখটি পেতে শোবে।
সবুজ সুতোয় বুনছে ডানা
যোগ বিয়োগের খেলা,
কাটছে সাঁতার মনের ঘরে
ভাসিয়ে দুঃখের ভেলা।
রোদ বৃষ্টি গায়ে মেখে
শুভ্র ঝড়ের বেশে,
ইচ্ছে ডানা ছুটছে দেখো
নীল আকাশের দেশে।
পাখির ডানায় ভর করেছে
ছোট্ট তারি দেহ,
দুঃথের তরী ভাসছে মনে
দেখছে নাতো কেহ!
আকাশ বাড়ির সব দেয়ালে
মাতাল ফুলের ঘ্রাণ,
অপার দুঃখের জোছনা নিয়ে
ভরলো আমার প্রাণ।
আমি যা ভাবি
তুমি তা ভাবোনি কখনো
এমনকি এখনো পর্যন্ত,
নইলে তোমার আমার ভাবনা
সেই কবেই বাশেঁর বাসুরী ফুঁকে সুমধুর সুর হতো;
না হয় রবি ঠাকুরের প্রিয়ার মতো
মৌনতা সব খেতো-
অথবা আড়মোড়া ভেঙ্গে ভাবনা সব
কলি ছেড়ে গোলাপ হয়ে ফুটতো!

আমি যা ভাবি
তুমি তা ভাবোনি কখনো
এমনকি এখনো পর্যন্ত,
নইলে তোমার আমার ভাবনা
সেই কবেই মিলে মিশে একাকার হয়ে যেতো;
না হয় অবিরাম ধারায় আবেগিত বৃষ্টি ঝরিয়ে
দু হৃদয়ে বন্যা বইয়ে দিতো।
পৃথিবী ঘর ছেড়ে আমারে সে এনেছিল
পৃথিবীর পথে ।
নক্ষত্রের রাতে চুপে বলেছিল
"মানুষ মরে গেলে আত্না অদৃশ্য হয়;
আর প্রেমিক মরলে ‘অন্ধকার’।"
অন্ধকার মৃত্যুঞ্জয়ী।
এক জীবনে আমাদের পাওয়া হয়না কিছুই
তবু যে পায় , সেই জানে
না পাওয়ার ব্যথা !
মানুষ তবু স্বপ্ন নিয়ে বাঁচে
একটি , দুটি আথবা তিনটি স্বপ্ন
এ বুকেও ছিল নদী ঢেউয়ে ছড়ানো
আত্নবিশ্বাসী রোদের মত
যখন মানুষ ছিলাম
যখন জীবন ছিল আমার হাতের মুঠোয়
আসহায় বন্দি;
আমাকে আমার ভিতর হতে
বাহিরে প্রকাশিত করা হল;
সে এক পরিচয় হীন কবি ।
সমস্ত হারিয়ে সেই প্রশ্ন করে;
এই জীবন কেন পাখি কিংবা নদীর নয় ?
এর উত্তর বহুকাল আমি পাইনি
এ আমার আজন্ম আক্ষেপ ।
উচাটন মন ভীষণ রকম
যায়না বোঝা রকম সকম।
আঁধার শেষে আলোর রেখা,
ঝাপসা চোখে যায়না দেখা।
আঁধার আমার একলা নদী
মনের কোলে নিরবধি,
জলের ধারায় পাগলপারা
তোমায় ঘিরে বাঁচা মরা।
রাতের মাঝে ধ্রুবতারা
প্রভাবিত তোমার দ্বারা,
জোছনা আকাশ যায় মিলিয়ে
আদর সোহাগ সব বিলিয়ে।

বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৫

আমি কবি নই,আমি শব্দচাষী
আমি শুধু তোমাকেই ভালোবাসি
আমি যখন তোমার কাছে যাই
হৃদয়ের স্বাভাবিক ভাষা হারাই
আমি তোমাকে মধ্যনামে ডাকি
তুমি আমার প্রেমের নীড়ে দুষ্ট পাখি
আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি
ভাল লাগে তোমার মিষ্টি হাসি
তোমার হল মিথুন আর আমার বৃষ রাশি
থাকবো মোরা দুজনে আমৃত্যু পাশাপাশি।
তোমাকে দেখলে আবেগে বুক কাঁপে
থাকতে পারি না বেশীক্ষণ উচ্চ হৃৎচাপে........
আচ্ছা তুমি বলতে পারো একটা শব্দে-
কখনো কবিতা হয়?
অথবা এক জীবনে সকল স্বপ্ন-পূরণ?
তোমাকে ভালবেসে আমি লোভী হলাম
কামনায় নীল হলাম, স্বপ্নচারী হলাম
অথচ সমাজ আমাদের পায়ে বাধা
বাস্তবতা চোখের সমানে;
তুমি কেবলই-
আমাকে ভুলেতে আমাকেই মনে করো।
সেই রাত থেকে কাল রাত,পৃথিবীর শেষ রাত
ভুলতে পারবে আমাকে যদি ভালবেসে থাকো
তবে কেন রক্তাক্ত হও প্রতি রাতে?
কল্পনার তৃপ্তিটুকু রোধ করোনা…..
ভালবাস এই সত্যটুকু অস্বীকার করোনা।
তাই প্রশ্ন জাগে মনে;
তুমি কি আমাকে ভালবেসে ছিলে
নাকি ভুলতে চেয়েছিলে তোমার অতীত?
বিশ্বাসের কোন মন্ত্র আছে?
আমার কবিতার প্রতিটা শব্দের মাঝে
তুমি তোমাকে খোঁজো, আশ্রয় খোঁজো
তুমি কেবল একটা শব্দই খুঁজে ফেরো।
আমার দুঃখবোধটা শুধু সেখানেই
কখনো বুঝতে চাওনি-
পুরো কবিতা তোমাকে নিয়ে লেখা।
খুশির কল্পনায় মত্ত রঙ্গিন দিনে
মধুর শব্দ চয়নে মগ্ন আমি
তোমাকে নিয়ে লিখছিলাম
সিগ্ধ প্রেমের কবিতা।
অকস্মাৎ তুমি এসে দাঁড়ালে
আমার উদবেল শরীর ঘেঁষে!

তোমার চাঁদ-বদনের প্রাণবন্ত হাসি
বসন্ত আনে আমার ছন্দময় মনের
রোদেল চাতালে!
কী এক নাম না জানা আকর্ষণ
আমাকে টানে তোমার দিকে, আর
এই উদ্দাম আমার মাঝে
নড়ে-চড়ে উঠে
এক প্রকার স্পর্ধা হীন স্পৃহা!
তোমাকে আলিঙ্গন করতে গিয়ে
হঠাৎ সম্বিৎ ফিরে আমার!
মূলত তুমি ছিলেনা আমার পাশে,
তোমার মতো কেউ আসেনি
আমার সামান্য ঘরে।
আমার লাগামহীন খুশির কল্পনা
তোমাকে নিয়ে সৃষ্টি করেছে
স্বপ্নীল প্রেমের কবিতা।
পৃথিবীর অগণন মৃত্যুরাশি চিনে নিয়ে
ফিরে আসে নীড়ে ।
আর তুমি ?
সূর্যকে চেন তুমি ?
জানো মেঘহীন শ্রাবণীর উৎস ?
অথবা রক্তকমল কেন কৃষ্ণচূড়া নয় ?
কখনও ছুয়েছ অদৃশ্য কুহেলিকা নরম দুহাতে ?
গোপনে গোপনে কত পাপ করেছে সঞ্চয়,
এই মহান পৃথিবীতে; চেয়েছো জানতে ?
চাওনি ;.... তুমি;.... কখনও;....
আমায় জেনে নিয়ে, সমস্ত জানার আকাঙক্ষা
ফেলেছ হারায়ে তুমি....।
আমারে নিয়েছ চিনে , এই ভেবে-
সমগ্র বিশ্ব চেনা ....
হয়েছে তোমার ;
এ এক সহজ বিস্ময়!
তবু যখন আবার ভোর হয়
ভাবো তুমি; “রাত্রি হলেই ভালো”
রাতের তিমিরে যখন প্রেম জ্বালে তার নিজস্ব আলো
সে আলোয়
পৃথিবীর কেউ কারো মুখ চিনে নিতে পারে না।
সে তবু চিনে লয়,
তার অভীষ্ট হৃদয়।
অসীম নিস্তব্ধতার মাঝে
জেগে ওঠে
প্রেমের অলৌকিক ভাষা।
সে ভাষায় ঘুমে বিভোর পৃথিবীর কয়না কথা কেউ
কেবল নিঃসঙ্গ নীল নদীর পবিত্র ঢেউ
একা পথ চলে।
আর;
তার তীরে বসে আমার অশরীরী আত্না
তারা গুনে ধ্রুব আকাশের ।

বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৫

শব্দহীন জগতে
রহস্যময় শব্দ সৃষ্টি করে
আমার শরীর ক্লান্ত হলে,
তোমার চোখে যুগল ছবি আঁকি
যতক্ষন .. না .. ভোর আসে
পূর্বাকাশ লাল হতে শুরু করে
যত দূরে সরে যাও তুমি
ততই নিকটে আসো প্রকৃতির খেয়ালে ।
অস্পস্ট তারারা অচেনা ভাষায় কথা কয়
কেউ আর শোনে না তা
আমি শুনি –
মৃত পাতাগুলি শান্তিতে মাটির বুকে ঝরে পরে
অত:পর
একটি তারা হতে অপর একটি তারা
কত আর যেতে পারে দূরে?
একটি জীবন মৃত হয়
জন্ম নেয় নতুন এক হৃদয়
যদিও শরীর ঝরে যায় শীতে
তবু স্বপনেরা কি মৃত হয় ?
কিংবা প্রণয় ???
প্রেমের অলৌকিক ভাষা।
 পৃথিবীর অগণন মৃত্যুরাশি চিনে নিয়ে
ফিরে আসে নীড়ে ।
আর তুমি ?
সূর্যকে চেন তুমি ?
জানো মেঘহীন শ্রাবণীর উৎস ?
অথবা রক্তকমল কেন কৃষ্ণচূড়া নয় ?
কখনও ছুয়েছ অদৃশ্য কুহেলিকা নরম দুহাতে ?
গোপনে গোপনে কত পাপ করেছে সঞ্চয়,
এই মহান পৃথিবীতে; চেয়েছো জানতে ?
চাওনি ;.... তুমি;.... কখনও;....
আমায় জেনে নিয়ে, সমস্ত জানার আকাঙক্ষা
ফেলেছ হারায়ে তুমি....।
আমারে নিয়েছ চিনে , এই ভেবে-
সমগ্র বিশ্ব চেনা ....
হয়েছে তোমার ;
এ এক সহজ বিস্ময়!
তবু যখন আবার ভোর হয়
ভাবো তুমি; “রাত্রি হলেই ভালো”
রাতের তিমিরে যখন প্রেম জ্বালে তার নিজস্ব আলো
সে আলোয়
পৃথিবীর কেউ কারো মুখ চিনে নিতে পারে না।
সে তবু চিনে লয়,
তার অভীষ্ট হৃদয়।
অসীম নিস্তব্ধতার মাঝে
জেগে ওঠে
প্রেমের অলৌকিক ভাষা।
সে ভাষায় ঘুমে বিভোর পৃথিবীর কয়না কথা কেউ
কেবল নিঃসঙ্গ নীল নদীর পবিত্র ঢেউ
একা পথ চলে।
আর;
তার তীরে বসে আমার অশরীরী আত্না
তারা গুনে ধ্রুব আকাশের ।

প্রেমের অলৌকিক ভাষা।

পৃথিবীর অগণন মৃত্যুরাশি চিনে নিয়ে
ফিরে আসে নীড়ে ।
আর তুমি ?
সূর্যকে চেন তুমি ?
জানো মেঘহীন শ্রাবণীর উৎস ?
অথবা রক্তকমল কেন কৃষ্ণচূড়া নয় ?
কখনও ছুয়েছ অদৃশ্য কুহেলিকা নরম দুহাতে ?
গোপনে গোপনে কত পাপ করেছে সঞ্চয়,
এই মহান পৃথিবীতে; চেয়েছো জানতে ?
চাওনি ;.... তুমি;.... কখনও;....
আমায় জেনে নিয়ে, সমস্ত জানার আকাঙক্ষা
ফেলেছ হারায়ে তুমি....।
আমারে নিয়েছ চিনে , এই ভেবে-
সমগ্র বিশ্ব চেনা ....
হয়েছে তোমার ;
এ এক সহজ বিস্ময়!
তবু যখন আবার ভোর হয়
ভাবো তুমি; “রাত্রি হলেই ভালো”
রাতের তিমিরে যখন প্রেম জ্বালে তার নিজস্ব আলো
সে আলোয়
পৃথিবীর কেউ কারো মুখ চিনে নিতে পারে না।
সে তবু চিনে লয়,
তার অভীষ্ট হৃদয়।
অসীম নিস্তব্ধতার মাঝে
জেগে ওঠে
প্রেমের অলৌকিক ভাষা।
সে ভাষায় ঘুমে বিভোর পৃথিবীর কয়না কথা কেউ
কেবল নিঃসঙ্গ নীল নদীর পবিত্র ঢেউ
একা পথ চলে।
আর;
তার তীরে বসে আমার অশরীরী আত্না
তারা গুনে ধ্রুব আকাশের ।

মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৫

জন্ম নেয় নতুন এক হৃদয়

==============
 শব্দহীন জগতে
রহস্যময় শব্দ সৃষ্টি করে
আমার শরীর ক্লান্ত হলে,
তোমার চোখে যুগল ছবি আঁকি
যতক্ষন .. না .. ভোর আসে
পূর্বাকাশ লাল হতে শুরু করে
যত দূরে সরে যাও তুমি
ততই নিকটে আসো প্রকৃতির খেয়ালে ।
অস্পস্ট তারারা অচেনা ভাষায় কথা কয়
কেউ আর শোনে না তা
আমি শুনি –
মৃত পাতাগুলি শান্তিতে মাটির বুকে ঝরে পরে
অত:পর
একটি তারা হতে অপর একটি তারা
কত আর যেতে পারে দূরে?
একটি জীবন মৃত হয়
জন্ম নেয় নতুন এক হৃদয়
যদিও শরীর ঝরে যায় শীতে
তবু স্বপনেরা কি মৃত হয় ?
কিংবা প্রণয় ???

হয়তো মানুষ বলেই..............

=================

একবার নয়, বহুবার প্রেম এসে কড়া নাড়ে আমার মনের দুয়ারে।
হয়তো মানুষ বলেই, ভুল করি।
ভুল করেই আবার ভালবাসি।
হয়ত মানুষ বলেই, আমি আবারো ভালবাসবো।
কেউ একজন গেঁথে থাকবে আমার কবিতার ছন্দে
কিংবা নস্ট কবির নস্ট কাব্য হয়ে বিনা বাজিয়ে যাবে হৃদয়াঙনে।
আমি মানুষ বলেই, কাউকে রেখে দেই সংগোপনে মনের গহীনে বছর বছর ধরে।
জীবনের প্রথম স্পর্শ, প্রথম প্রেম ঘুরে ফিরে হানা দেয় হাজারো সুখের ভিরে।
আমি মানুষ, তাই
সুখেও কাঁদি, দুঃখেও কাঁদি।
পরক্ষনেই ভুলে যাই হাজার বছর পুরনো ব্যাথা।
মৃত্যু শোকে কষ্টিত হৃদয়েও পুষ্প ফুটে কোন এক বসন্তে।
মানুষ বলেই হয়তো,
আমৃত্যু দুঃখ পুশি মনের ভিতর।
মানুষ গুলো হাড়িয়ে যায়, মায়ায় আঁটকে থাকি জীবনভর।
শৈশব খুঁজি হৃদয় ভারাক্রান্ত কোন দুপুরে,
কিংবা সৃতির পাতায় খুঁটে খুঁটে হই দুঃখবিলাসী।
হয়তো মানুষ বলেই,
আবেগ আছে, অনুভুতি আছে, কষ্ট আছে।
মানুষ বলেই, আকাশ ছুঁতে ইচ্ছে করে।
মেঘেদের মেলায় হাড়িয়ে যেতে ইচ্ছে করে।
বৃস্টিতে ভিজি, সবুজ ঘাঁশের শিশির বিন্দুতে উল্লাস খুঁজি।

সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৫

যতোটা শব্দ বাঁচিয়ে রেখেছি নিরবে,
তাতে শুধু-ই ভালোবাসা লেখা আছে।
তাকে ভালোবাসি বলবো না,
কারণ সে ভালোবাসতে জানে না।
মাঝরাতের উষ্ণতায় ঘুম ভেঙ্গে
আবেগ ভরা বুক নিয়ে
আমি আর ভাববো না
বসন্তের কচি সবুজ পাতায়
প্রেম কাব্য লিখবো না আর।
অশ্রুসজল চোখে ভাঙ্গা হৃদয় নিয়ে
ভালবাসার পিছে ছুটবো না বলছি।
কোন আকার-ইঙ্গিতে এমনকি
মুখ খুলেও কথা বলবো না আমি

পুষ্প বিছানো হৃদয়টাকে কতটা ভালবাসি।

নক্ষত্রের এই আনাগোনা থেমে যেতো,তবে কেমন হতো !
এই যে আমি অন্য এক সময়ে দাঁড়িয়ে আছি
এ আমি অন্য কেউ
এখানে কি কেউ আছে যে কবিতা শোনাবে আজ রাতে?
আমি বদলে যেতে যেতে কেমন করে যেনো অনিবার্য ভাবে তোমার কাছেই ফিরে আসি
তুমি কি পারো আমায় একটি কবিতা শোনাতে
স্তব্ধ সময়ের কাছে আজ প্রশ্ন নেই উত্তর নেই
কেবল একটা ছায়ার দেয়ালে কিছু অস্পষ্ট জীবনরেখার আঁকিবুঁকি
এখানে কি কেউ আছে যে কবিতা শোনাবে আজ রাতে
থেমে যায় ঝড়
কেবল থেকে থেকে বিদ্যুৎ চমকে ওঠে দূর আকাশে
আর কবিতা শোনার এক আশ্চর্য আকুলতা বেড়ে চলে
এখানে কি কেউ আছে যে কবিতা শোনাবে আজ রাতে...
সন্ধ্যার নীলে ছায়াঘেরা বাড়িটা ছেয়ে যায়
শিরশির বাতাসে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির ছাট এসে ভিজিয়ে দিয়ে যায় সন্ধ্যার মুখ
চোখের কাজল লেপটে রাত নামে
মোমবাতির রহস্য ছায়ার দেয়ালে তাকিয়ে থাকে একমনে
কি ভাবে কি ভেবে ভেবে যায়
ঝরো হাওয়ায় সন্ধ্যার বুকে যেনো তোলপাড় ওঠে
শান্ত নদীর তীরে সন্ধ্যা তলিয়ে যায় রাত আঁধার জলে

এখানে কি কেউ আছে যে কবিতা শোনাবে আজ রাতে
জোছনা ভরা রাত আসেনা,
ফুলের বাগান আর হাসেনা
তেমন ভালো কেউ বাসেনা।
মেঘে ঢাকা চাঁদের মত
শেষ বিকেলে সুনীল টানেনা
হিম বাতাসে মন মানেনা,
মন কি চায় মন জানেনা
নীলাকাশে পাখি ওড়েনা,
হাতের উপর হাত পড়েনা
চোখের পলক আর সরেনা।
এখন সময় বিষণ্ন সন্ধ্যার মত
সময় এখন নেকড়ের আঁধারের মত
বুকের ভিতরের জ্বলে উঠা আলো
হয়তো নিভে যাবে ভালবাসাহীন
কার্বন ডাই অক্সাইডের দাপটে।
হয়তো আমার ভীরু মানসিকতা
আমাকে বঞ্চিত করলো

সুখের ছোঁয়া পেতে।

ধূসর বিকেল হলেই তুমি থাকবে চায়ের কাপে
ক্লান্তিগুলো রাখবে ঢেকে জটিল সকল চাপে!
দুঃখগুলো রাখব দূরে উড়িয়ে সুখের ঘুড়ি,
শক্ত হাতে ধরব লাটাই খেলব লুকোচুরি!
রাত্রি ছুঁয়ে জোছনা মেখে ঘুমহারানো চোখে
এক পলকে থাকব চেয়ে কেবা মোরে রোখে।
একটু পরেই রাত্রিটাকে ছিনিয়ে নেবে কেউ
মনের উঠোন ভরে আছে এক সমুদ্র ঢেউ।
ফুলের বনে মৈামাছি হয়ে ঘুরবে কুসুম গলি
জেনে রেখ তুমি আমার প্রথম ফোঁটা কলি।
হূদয়পুরে নামছে শ্রাবণ বইছে অঝোরধারা,
কেমন করে বাঁচব বল এই তোমাকে ছাড়া!
যদি ভালো না লাগে,
যাও হারিয়ে হেমন্তের ফুলের গুচ্ছের ঘ্রানে,
দুরন্ত মনে হৃদয়ের মাখামাখি খেলায় উঠো মেতে,
গাছের পাতা বৃষ্টির ছোঁয়ায় নতুন মুকুল মেলে,
প্রান খুলে উড়ো তুমি ইচ্ছের জগতে,
ঘুঙুর পায়ে বৃষ্টি নাচে, তুমি নাচো তারই তালে।

যদি ভালো না লাগে,
ফিরে এসো প্রভাতের ঐ প্রথম ভাগে,
সোনা রোদ্দুর অঙ্গে মেখে।
যদি ভালো না লাগে,
মধ্য দুপুরে ঝিলমিল জলে ,
কথা কও মাছরাঙার সনে,
উড়ে উড়ে যাও চলে,
সারি সারি ঐ সাদা বকের দলে।
যদি ভালো না লাগে,
আলতা মেখে নিজ পায়ে,
গাঙের জলে ভেলা ভাসাও আপন হাতে,
রাশি রাশি শাপলা তুলো হাসি মাখা মুখে।
যদি ভালো না লাগে,
ফিরে এসো আমার কাছে,
অপার ভালবাসায় তোমার প্রান জুড়াবে।
যদি ভালো না লাগে,
দেখো, রাতের আকাশে তারার ন্যায় জোনাক জ্বলে,
নিশাচরদের উড়াউড়ি,
চরকা কাটে দেখো চাঁদের বুড়ি।
জোছনা বাড়ির জোছনা হারায়,
মেঘের নেশায় চাঁদ ঘুমায়।
নেশার ঘোরে ফেলে আমায়,
মেতেছিস কানামাছির খেলায়।
প্রথম দেখার প্রথম নেশা,
জলসে যাওয়া চোখ পায় না খুঁজে দিশা।
চাঁদ দুলে কিসের ঘোরে,
জোছনা টলছে নেশায় পড়ে,
ভালবাসা রয়েছিস পড়ে মিথ্যে ঘুর্নিতে।
ঝিম ধরেছে মাথায়,
চোখে ভেসে উঠে তোর মুখটি,
যা ভরে রয়েছে মায়ায়।
আমি নাবিক যার নাই দিক,
মাতাল ঢঙে দুলছে নৌকার পাল,
কাটবে কবে তোকে দেখার শারাব ঘোর।
বকুল ঘ্রানের নেশায়,
হবে না আর দেখা বকুল তলায়,
দেব না গাঁথা বকুল তোর খোঁপায়।
আমার শব্দতো তোমার কর্ণকুহর ভেদ করার কথা নয়!
তোমার দৃষ্টিসীমা থেকে যোজন যোজন দূরে থাকা এই আমার
বেদনার নীলচে আলোকরশ্মিটা তোমার কর্ণিয়া ভেদ করে
রেটিনার কোন্ কোষেওতো পৌছানোর কথা নয়!
আমিতো তোমার আখিঁতে ঢেলে দেইনি
দু'ফোঁটা লোনা জল!
তবে কি করে বুঝলে প্রিয়তমা?
তবে কি তোমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়কে ছুঁয়েছে আমার দীর্ঘশ্বাস ?
তাই কি আমার জন্যে পাঠিয়ে দিলে এক আঁজলা প্রেম ?
আমিতো তোমার করতলে গুঁজে দেইনি
বিরহী শ্লোকের একটুকরো পংক্তি!
আমিতো বাতাসে ছড়িয়ে দেইনি
পুষ্পিত কষ্টের ঝাঁঝাল ঘ্রাণ!
যা কিনা বাষ্পিত হয়ে প্রবেশ করবে তোমার হৃদরন্ধ্রে।
হৃদয়ে থেকে থেকে স্মৃতিদের মৌন মিছিল আজ বড়ই ক্লান্ত।
অতপর...ক্লান্তহীন সামনে চলা পৃথিবীর রথে
প্রতিনিয়ত যুদ্ধরত হতভাগ্য জীবনের সাথে
নিয়তির নিষ্ঠুর বিষাক্ত ছোবল জ্বালা ধরায় বুকে
সূর্যের কোমল আলোয় দূর কুয়াশার ফাঁকে
তাকে দেখি...অস্পষ্ট আল্পনায় ভালবাসার সাঁঝে
ক্ষত-বিক্ষত আমি ছুটে চলি অফুরন্ত দিগন্তের মাঝে
হঠাৎ উধাও...ললাটে সূর্য শ্রান্ত নদীর জলে
গোধূলী রঙের শাড়ী পরে মেশো রাতের অন্ধকারে
ষোড়শী যৌবন, ছটফটে মন আমায় করে তাড়া
ভালবাসা যার চোখে দেখিনি তারই আহ্বানে
চলেছি ছুটে অজানা পথে অচিন খেয়া পাণে
থমকে গেছি ক্ষুধার্ত মন স্বপ্ন আছে চোখে
যে আমাকে ভালোবাসা চেনালো
যে আমাকে আলো-আশা চেনালো
সুখ-দুঃখ ছিঁড়ে যে চেনালো
জীবনের মানে,
তাকে আমি হৃদয়ে রাখি
তাকে আমি জীবনে চাহি
তাকে আমি কবিতায় বাঁধি
তাকে আমি ছবিতে অাঁকি
তাকেই আমি কণ্ঠে সাধি
সুরে আর গানে।

যে আমাকে আকাশ চেনালো
যে আমাকে নদী চেনালো
আঁধার ছিঁড়ে যে চেনালো
জোছনার রূপ,
তাকে আমি প্রিয়তমা মেনেছি
তাকে আমি অনেক ভালবেসেছি
তাকে আমি আকাশ বুঝেছি
তাকে আমি নদী জেনেছি
তাকেই ধরে আছি মনে
নির্বাক-নিশ্চুপ।
আমি পথ চলি, থমকে দাঁড়াই,
এক আকাশ মেঘ নিয়ে।
নিঃশ্ব হতে হতে এখনও,
দাঁড়িয়ে আছি সম্মুখে,
বিবর্ণ অবসন্ন বুকে।
জানি, দুজনের দেখা ভুল পথে,
আক্ষেপ আর বিলাপে।
থেমে যাওয়া হৃদপিণ্ডে,
আমি নত হই অবশ প্রানে,
সয়ে যাওয়া অপমানে।
জানি, তুমি আছো পাশেই
অস্তিত্বে, অহংকারে, নিরবে।
আমি অনুভব করি তোমাকে,
কতকাল ধরে ক্ষনে ক্ষনে,
এই থেমে যাওয়া, রুদ্ধ মনে।
জানি, তুমি আড়ালে থাকো,
তাকাও না আর ফিরে।
নিরব থাকো অভিমানে,
মন খারাপে, রাগে বা বিরাগে,
ভালবাসাহীন অনুরাগে।
বলবো না ভালোবাসার জন্য
কিছুটা সময় আমার পাশে থাকার জন্য
আবার নতুন করে আমার মনটা কে
ভাঙ্গার জন্য তুমি যে মন
ভেঙ্গে সুখ খোঁজে পাও
ফিরে এসো আমার ভাঙ্গা মনটা
আবার তোমাকে দিবো

যদি কোন দিন তোমার
অতীত কে ভুলে যাও
সেদিন ফিরে এসো আমি
মনে করিয়ে দেব তোমায়
কষ্ট তোমায় স্পর্শ করে
তবে চলে এসো পুরনো
ঠিকানায় আমায় পাবে
যদি কষ্ট কখনও পিছু ছাড়তে না চায়,
মনের বিসন্নতা চেপে রাখাটা
অনেক কষ্টের হয় তোমার জন্য
সেদিন ফিরে এসো।
বলবো না ভালোবাসো আবার
হৃদয় ভাঙ্গার খেলায় মেতে উঠবে তুমি
হয়তো কষ্ট পাবো কিন্তু তাতে কি
তুমি তো সুখী হবে ...
আমি না হয় আরেক বার
মেনে নিলাম কষ্ট গুলো
বিনিময়ে তোমায় তো আবার
সুখী দেখবো,
ভেবে নিবো তোমায় সুখী করার
এটা এক প্রাপ্যতা ...
দরজায় কড়া নাড়ার প্রবল বাসনা
উজ্জ্বীবিত মনে সাহসের ক্ষীণ আশা জাগে
ব্যবধানের প্রাচীর দৃশ্যমান
অসম প্রেমের স্বীকৃতির গ্রহনযোগ্যতা
তবুও নিতান্ত বয়সের কাছে মূখ্য শ্বাশত প্রেম।
আবারও সেই পুস্পকামিনীর শরীরী কায়া
সুরের ঝংকারে ঝংকৃত হাসি
মাতাল হৃদয়ে আগুন ধরায়।
হাতের মেহেদী
বাহুডোরে নতুন জীবন
পুস্পকামিনীর চোখভরা রঙ্গীন উল্লাস ।
যুগ যুগ পর আজও সে অস্পর্শা
আমার সেই অব্যক্ত ভালবাসার কাঙ্খিত পুস্পকামিনী।
হৃদয় বীণায় সুর তুলেছিল সেই পুস্পকামিনী
স্নিগ্ধ তনু সিক্ত করেছিল মরুভূমির প্রান্তর
সুরের মূর্ছনায় ঝংকৃত হাসি
কাঁপিয়ে দিত দুর্বল আত্মাটাকে।
চাঁদের জ্যোতি লেপ্টে দিয়েছে তার আঁখিপল্লব
শরীরের ভাঁজে ভাঁজে তীব্র মাদকতায় মাতাল ক্ষণ।
আবেগী শিহরণ জাগায় মনে
এক চিলতে নরোম রোদ মুখের উপর
সৌন্দর্যের স্বমহিমায় উদ্ভাসিত পুস্পকামিনী
মেলে ধরে নিজেকে দ্বিগুণ মাত্রায়।
বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারে প্লাবিত হতে চায় তপ্ত হৃদয়
জানান দিতে চায় অব্যক্ত ভালবাসার গভীরতা
আশা নিরাশার দোলাচলে শঙ্কিত মন
প্রাপ্তি নাকি অপ্রাপ্তি
মিলন নাকি বিরহ
প্রশ্নবিদ্ধ মন ভাবনার আকাশটাকে আরও ঘোলাটে করে।



আমি কি তলিয়ে যাচ্ছি কোনো অতল সমুদ্রে?
কি যায় আসে,
যদি আমি বৃক্ষ হয়ে আটকে পড়ি কোনো অরন্যে,
জানি কিছুই যায় আসবে না
যদি ঝিনুক হয়ে তলিয়ে যাই ওই অনীলে;
আমার দুঃখ, ব্যাথা, কষ্ট, ভালবাসা  

কিছুই আর আলোড়িত করে না আমাকে
আর কতটা পথ পারি দিলে পৌছব গন্তব্যে?
কতটুকু সইলে তবে শেষ হবে কষ্টের জালবোনা!
আর কত রাত পার হলে দেখব ভোরের আলো?
নাকি এখানেই শেষ হয়ে যাবে সকল পথ চলা!
এখানেই বুঝি থেমে যাবে সব,
জীবন এসে থমকে আছে যেখানে;
আমি আর এগুতে পারছি না,
জীবন আটকা পরেছে পাথর সময়ে।
আমার পা দুটো যেন
শেকড় হয়ে আটকে যাচ্ছে মাটির সাথে;

চারিদিকে কাঁচা শৈবালের গন্ধ...