বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৬

মেঘ মুক্ত রক্তিম গোধুলিতে
অন্ধদ্বীপের কোন সবুজ প্রান্তর পেরিয়ে
বেলা অবেলার অবলা কোন রমনী
ডুবন্ত সূর্যের পানে হাত বাড়িয়ে রয়,
একটু আলোর আশায়।
পৃথিবীর করোটি ভেদ করে
কিছু আলোকিত আঁধার,
সৃষ্টিকর্তা পাঠিয়ে দেয় তার ঠিকানায়।
সে আঁধারে তার শ্বেত কঙ্কন দেখা যায়,
তাঁকে কি আঁধার বলা ঠিক হবে?
অন্ধকার ভেদ করে পরিয়ে দিব শ্বেত কঙ্কন,
নীল বেনারসী শাড়ীতে ঢেকে দিব তোমার শ্বেত শুভ্র দেহ,
কামনাময় নিকষ রাত্রিতে চিনে নিব তোমার গ্রীবা।
তোমার গ্রীবা ছুঁয়ে আমায় উষ্ণতা দিয়ে
চন্দ্র-গ্রহণ কাটিয়ে রাহুকবল হতে মুক্তি পাবে
তোমার আমার ভালোবাসা।
নিসংঙ্গতার কাছে পরাজিত হব না তুমি ও আমি,
পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকি,
তোমার আমার মন-বিনিময় হলে
বাসনার চোখে তাকিয়ে রবো দু’জন,
প্রলয়ের ঠিক আগ মুহূর্তে হলেও হাত ছুঁয়ে দেখব।
চললেন তিনি
মৃত্যুর ঠিক আগে উপোসির বিষপানের মত...
এ এক অন্ধকার সময়,
উজানে ভৈরবীর সুর,
কাঁপা কাঁপা হাতে ডায়েরির পাতায় লেখা,
আগ্নেয়াস্ত্রের কোন দোষ ছিল না,
একলা একটা ল্যাম্পপোস্টের মত দাঁড়িয়ে,
নির্জনে এক সারমেয় জল দিয়ে গেল
নিষ্প্রাণ সরণিতে, অপেক্ষায় সময় শুধু,
এরপর অন্ধকার, আরও আরও অন্ধকার।
তোকে তো কত কে ভালোবাসে, বাসুক
তোর কোলে তো কত কে বসতে চায়, বসুক
তুই আমার ছিলি আছিস আর থাকবি, জানি
এরা তো দুদিনের, মধু ফুরালে চলে যাবে, মানি
আমি তোকে ভালোবাসিনা তুই সুন্দরী বলে
আমি তোকে ভালোবাসিনা তুই অহংকারী বলে
আমি তোকে ভালোবাসি তুই, তুই বলে
আমি তোকে ভালোবাসি তুই ভালোবাসতে শিখিয়েছিস বলে
তবুও, এই তবুও কেন জানি কুড়ে কুড়ে খায়
আপন হৃদয় মাঝে কেবলি ঘুরে বেড়ায়।.........
এখন আমার একলা আকাশ তেমন করেই কাটে
এক পশলা বিষাদ নিয়ে হৃদয় কোনে জোটে।
অন্ধকারে খুঁজে বেড়াই শিউলি ফোটা ভোর,
বাস্তবতার বিবেক পাখি দুঃখগ্রাসী মোর!
মেঠোপথে ছুটে যেতাম রঙিন ঘুড়ির মায়ায়,
কাশফুলের বন পেরিয়ে নীল আকাশের ছায়ায়।
কবে কখন আষাঢ়-শ্রাবণ ঝরেছিলো চোখে,
কেমন করে ভুলে থাকি নির্জনতার শোকে!
স্মৃতির ফ্রেমে আটকে থাকা প্রথম শিউলি ভোর
শরত এসে মনের কোণে বাঁধলো বাহুডোর!
চোখ ফেরাতে ব্যর্থ আমি হারাই নীলের ভিড়ে
সাদা মেঘের চিত্রকলা থাকতো আমায় ঘিরে!
ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু আলতো নরম পায়ে
ছুঁয়ে যেতাম অপার সুখে আমার আপন গাঁয়ে!
একলা আকাশ সেজে আছে দারুণ নীলে ঠাসা
আবেগ ভরা কন্ঠে শুনি শিউলি ভালোবাসা...
'একটু পরই আসছি তেড়ে কাঁপিয়ে গোটা বিশ্ব,
তোকে ছাড়া আমার ভূবন এক্কেবাড়েই নিঃস্ব।'
নীল আকাশে ভাসছে দেখি সাদা মেঘের ভেলা,
কালো মেঘের পাহাড় বলে জমবে এবার খেলা।
আসবে ?
একা সময় এলিয়ে দিতে পথের ধারে ?
কুড়িয়ে পাওয়া ধুলো আর আমার ভাবনারা
ছিলে কাটা বাসনের মত ছিটকে দেবে পৃথিবী,
আমাকে বুকে নিয়ে এক আড়ষ্ট সুখে
চোখ বুজোবে তুমিও... আমি দেখব,
আমি দেখব কী এক অসীম সুখ খেলা করে যাবে
তোমার বোজানো চোখের পাতায়।
নিমগ্ন ভাসানো সুখে তোমাকে আলিঙ্গন
সে সময়ে, যখন অবশ হয়ে আছো আমার ইশারায়।

কল্পিত চিত্রে তখন বাসন্তী রঙ,
আমি দেখেছি তুলির টানে মুরলী বিভঙ্গ
অযথাই মন্ত্রপাঠ... এসো আজ এক মরন-সুখ
ভাসাক তোমাকে স্বপ্ন সাগরে... আমার মতন।
এ এক জান্তব ইচ্ছে... তোমার বুকে
মাথা নুইয়ে শাসন করবে কলাবৃন্ত,
কেবল এক ঝলমলে সন্দেহ
জড়িয়ে দেবে আমার বুকে।
নিঃশব্দ সিঞ্চন এখন তোমার ইশারায়।
হঠাৎ বজ্রে থমকে গেলো
কোলাহল এই ধরা,
অলিগলি সবটা জুড়ে
অন্যরকম ক্ষরা।
যে আকাশে থাকতো ছুঁয়ে
অবাক চাঁদের হাসি,
চাঁদের বুকে লাগলো গ্রহণ
বাজলো দুঃখের বাঁশি।
দগ্ধ মনের উঠোন তবু
খোঁজে শীতল পরশ,
ব্যাপক বরর্ষা বাড়িয়ে দিলো
বিপুল সুখের হরষ!
হিজল গাছের ডালে বসে
ধরলো পাখি গান,
আউলা মনে যাচ্ছে খেলে
অপার সুখের বান।
মেঘ জমেছে আকাশ কোণে
বৃষ্টি এলো বলে,
গোধুলী লগ্ন হারিয়ে গেলো
কোন অজানায় চলে!
পথের ধারে ফুটে থাকা
কতো রঙিন ফুল,
দমকা বাতাস সঙ্গে নিয়ে
ফেললো নদীর কূল।
গোলাপি পাপড়ি-মোটা ম্যাড়ম্যাড়ে রং
সেই জবাটা নেই বাগানে
কমলা মেশা চন্দন রং
ম্যাচ করে গেছে আকাশের নীলে
এমন সকালে আকাশ থেকে
পুষ্প বৃষ্টি হতেই পারত
স্বপ্নের সাথে মাখামাখি করে
হলনা, শুধুই রুপোলী রোদে
দোলা দিয়ে গেল
মধুর সকাল আপন করে
জুড়িয়ে দেওয়া ঠাণ্ডা হাওয়া
চোখ দুটো খোলা আছে
উপরে আকাশ মেশা স্বপ্ন
শুধুই রুপোলী রোদে
ঠাণ্ডা হাওয়া বাগানের গাছে
দোলা দিয়ে ডাক দিয়ে গেল
ওরা নয় পঞ্চমুখী
গম্ভীর নয় একটুও.......

রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৬

রাত নিশিতে বৃষ্টি এলে
চুপটি করে থাকিস তুই।
তোরে ছাড়া মেঘলা আকাশ
একলা আমি কেমনে ছুঁই!!
রাত নিশিতে বৃষ্টি এলে
হাতটি মোর হাতেই রাখ।
মেঘলা আকাশ চোখে এঁকে,
উড়িয়ে দে পাখির ঝাঁক।
রাত নিশিতে বৃষ্টি এলে
হাত বাড়িয়ে থাকিস ছুঁয়ে।
হাজার বর্ষা রাত কাঁপিয়ে
যতন করে ঠোঁটের ভাজে।
রাত নিশিতে বৃষ্টি এলে
যত্ন করে রাখিস তুলে।
পদ্ম পুকুর থাকবে সেজে,
মনের কোণে বেহাগ বেজে!
ভুল বানানের চিঠি দিয়ে তোমায় প্রেম নিবেদন করবো,
না সামনে এসে কম্পন সুরে ভালবাসি বলবো ?
তোমার সাথে প্রথম আলাপনে কি শুনতে চাও ?
ভালবাসি, তুমি সুন্দর, না প্রিয়তম বলে ডাক ?
কি চাও তুমি, বলো ।
ভালবাসি,
প্রথমে তুমি বলতে চাও,
না আমার থেকে শুনতে চাও ?
কি চাও বলো ।
কি চাও তুমি ?
বর্ষার কদম ফুল নাকি বৃষ্টির দিনে
হাতে
হাত রেখে পথচলা,
খোপায় ফুল গেঁথে দিবো,
না শীতের দিনে গায়ে চাদর জড়িয়ে দিবো ?
কুয়াশার দিনে কুয়াশা ভরা ঘাসে পা মিলিয়ে হাটবে,
না নীল প্রজাপতির ডানা ধরতে
দু হাতের ছোঁয়া অনুভব করবে ?
কি চাও তুমি, বলো ।
পাশাপাশি ঘুমে মগ্ন হওয়া
নাকি আমি ঘুমিয়ে গেলে আমার নিশ্বাস শোনা ?
বলো, তুমি কি চাও ?
কি চাওয়াতে তোমার আনন্দ,
কি পাওয়াতে তোমার ভাল লাগা?
বলো,
আমি যে একটু শুনতে চাই ।
আকাশ ভরা শূন্যতা
আর একটা তারার
নির্বাণমুখী আলো
মুছে গেল চারিদিকে
একে একে সব আলো
ঝলসে উঠে নিভিয়ে দিল
অন্ধকারও গেল........
বুকের ভেতর ঝর্ণা হও
তোমাকে বইয়ে নেবো পাথর কেটে কেটে
হৃদ রক্তের জলে ধুয়ে।
পথের তৃষ্ণায় এক ফোঁটা জল হও
বুনবো তোমায় ক্রমাগত স্বপ্ন জালে
ব্যস্ত মাকড়সারমতো।
পথ ভালোবেসে কথা দাও
তুলে নিবো গন্তব্যে
পৌঁছে দবো ভালোবাসার স্বর্গোদ্যানে।
পরম মমতায় ভালোবেসে ছুঁয়ে দাও
তোমাকে রচিবো
গুচ্ছ গুচ্ছ মেঘে ডাকা রুপোলী তারায়।
শুধু এক বার পাশে এসে দাঁড়াও
মনের আঁধার দিয়ে শুষে নেবো
আলোকিত সূর্য হয়ে।
এক বার ভালোবাসি বলো
সব দুঃখ মুছে দেবো
শরৎতের হিমেল ঠাণ্ডা হাওয়ায়।
ভালোবেসে হাত ধরো
তোমাকে ফোটাবো চাঁদেরমতো
অসংখ্য তারার ভীড়ে
নৈঃস্বর্গের গাঢ় মগ্নতায়।
কারণসুধা যদি সহধর্মিণী হয়
জীবন কিন্তু পদ্ম পাতায় শিশির বিন্দু নয়
সুর যখন অ-সুর হয় তানপুরা ও নীরব রয়
যে পৃথিবীর সুন্দরী রমনী সেও কেন এমন হয় !
গোধুলীর হাওয়ায় ভেসে ভেসে
বার বার ফিরে আসে,
আপন মনে,
স্মৃতিরা আঁচল খুলে দেয়,
ধূসর পৃথিবীর ম্লান দুখগুলো
বার বার করা নাড়ে,
সেদিন শেষ সন্ধ্যায়,
কে যেন দরজায়,
এই বুঝি তুমি এলে।
ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির উৎসবে,
আকাশ ভরা মেঘ ছিল,
সেদিন শেষ বিকেলে,
চারদিকের মৌনতা ভাঙ্গে,
নিঃসঙ্গতার প্রবাহে চেতনার উপহাস।
যখন তোমায় খুঁজি, তুমি জানতে পারো ছায়া হয়ে,
এক বৃক্ষের মত জড়িয়ে থাকি তোমাকেই... মাথা থেকে পায়ে,
জড়িয়ে থাকি আসন্ন সময়ে প্রলম্বিত হতে...
দেওয়ালের পাথরেরা জানে কত তৃষ্ণা ছুঁয়ে গেছে কাল
সাধের শরীর হয়েছে বনস্পতি
একথা বিজাতীয় নয় উড়লে পালক
জানি জানি বলবে পরিণতি।
এই ফুল রাখলাম জোনাককথা ও সঙ্গমে
আর কত জ্যোৎস্না হলে ভাঙবে অভিমানে
জাপটে ধরেছি বলে ফিরে পাচ্ছি প্রাণ
সুন্দর এ অদৃশ্য স্নানে !
যাবো বলেই একটু একটু করে ফিরে আসি
যাবো বলেই ভরসার বুকে রাখি মুখ
যত দেনা হয়েছে দু’চোখে
সব সোনা করে দিও সুখ।
কৃষ্ণচূড়া জরুরি নয় আজ
সুরের উঠোন এখন উল্টোপথে
তীব্র হয়েছো ভীষণ
তুমি কি ছুটছো রথে?
ভীষণ জটিল নিয়ম এই পৃথিবীর
কীভাবে বলি বলো তো
যে ইচ্ছে তোমার মতো বকুল ও ব্যাকুল
সাদা আর কালো রঙে রেখেছি স্থির !
সুতোর টানে এতো টানাটানি
তবুও তোমাকে দেখি দূর দূরবীণ
এটা কি ঠিক মেঘলাদিনে বারেক আয়োজন,
বারবার চাওয়া ? বলবে ‘কি জানি!’
আমি দিন গুনি,
আমি মেঘ গুনি,
আমি তারা গুনি,
অমি ফুল গুনি,
আমি পাপড়ি গুনি,
গুনি সকাল বিকাল সন্ধ্যা রাত্রি।
আমি স্বপ্ন বুনি,
অনেক পথ পাড়ি দিয়ে,
ক্লান্ত শরীরে, বিষণ্ণ বদনে, এসে থামি
জীবনের অন্য এক দরজায়।
ভুল করে আমি এসেছিলাম এই শহরে,
নির্বাসিত নিপীড়িত জর্জরিত আহত
ঘাত প্রতিঘাতের জীবন আমার
অতীতের পড়ে থাকা স্মৃতিগুলো,
ফেলে আসে ছেড়ে আসা অতীতে ।
নতুন জীবনের হাতছানিতে
পথভুলো আমি পেয়েছিলাম
ভালোবাসা নামের অলৌকিক এক পথ।
অপেক্ষায় থাকা ভালোবাসার ঢালা সাজিয়ে
আমি গায়ে মেখে নেই তাঁর কিছু পরশ।
আমি ভিজেছিল‍াম ভালোবাসার সীমাহীন আবেগে।
চাঁদের পিঠে বাসরের ডালা নিয়ে,
জোৎস্না দিয়ে মালা গেতে,
ভালবাসার আবেদন, আয়োজনে,
আমি অপেক্ষায় ছিলাম।
পুরনো সব সম্পর্ক চুকে দিয়ে
মিলনের স্বপ্নে বিভোর
আমার নতুন মূল্যহীন জীবন।
আমি সঙ্গী পেলাম,
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস
সমাজ বিবর্জিত আজ,
সুখ নামের পাখিটা মূহুর্তে উরে গেল
স্বপ্নকামি আমিটি পরাজিত হই,
ভোরের সাথে বিদগ্ধ অনুভূতিগুলোর আলিঙ্গনে।
দেখি আকাশের নীল রং
একা একা বসে আনমনে।
যখন তোমায় খুঁজি, তুমি জানতে পারো ছায়া হয়ে,
এক বৃক্ষের মত জড়িয়ে থাকি তোমাকেই... মাথা থেকে পায়ে,
জড়িয়ে থাকি আসন্ন সময়ে প্রলম্বিত হতে...
জীবনটা আসলে তখনই সুন্দর
ছিল,,
যখন বুঝতাম না জীবনের
মানে কী....???
ছুটতাম না স্বপ্নের টানে,,,,
কাঁদতাম না কষ্টের কারনে.....।।
ভেসে ভেসে ঢেকে দিক আশ্চর্য বালিকার কথা
বলিনি মেঘের আড়ালে চুরি হোক ময়ূর পালক
খেয়ালে রাখা অমৃত সংহিতা ;
আঁকড়ে ধরে উড়ে যাচ্ছো ঝড়! অনেক বছর
কিছুটা দুপুর তুলে রেখে ফেরাতে চেয়েছো বারবার
খরচ যেটুকু হয়েছে সুখ লিখেছি অসুখ, তারপর?
শব্দহীন মধ্যাহ্নে মাছরাঙা জলতলে নিজেকে দেখে
তিরতির কেঁপে ওঠে জল, কোথায় অতল কে জানে
এই পৃথিবীর ঘরদোর!
রেখেছি বেঁধে গুল্মলতায় মাপিনি অযূত বহর !

বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৬

আমি ফের পাড়ি জমাই
ফেলে আসা স্মৃতির কোলাহলে।
আকাশের মাতাল মেঘগুলো বিজলী দিয়ে যায়,
আমার স্বপ্নে মায়াবী শিহরণ,
স্বপ্নকামী মনে সঙ্গী আমার স্বপ্ন বাসরে।
আমার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়।
দুঃস্বপ্নের ঘুন পোকাগুলো ক্রমাগত ডেকে যায়,
নিয়তি আবারও উপহাস করে
খিল খিলিয়ে হেসে উঠে।

ভীষন কষ্টে আছে আজ কষ্টরা,
সুখের অনুভুতিগুলো একা হয়ে নিশ্চুপে কেঁদেছে।
আমার চোখে জল দেখে,
অস্থির হয়েছিল শরতের গোধুলী লগন।
মনে নেই,
সেই শেষ কবে দেখা হয়েছিলো?
এক শরতের সন্ধ্যায়।
ছায়াকে সঙ্গী করে,
রাতের উল্কা,
একাকী ছুটে চলে।
যেখানে শুধু আঁধার আর আঁধার।
যদি দলপতি হতে না পারো
হয়ে উঠো শৃংখলিত সেনা ।
যদি রাজপথ হতে না পারো
হয়ে যেও কোন সরু পথ ।
তুমি যদি পাহাড়ের বুকে দেবদারু গাছ হতে না পারো
তবে হয়ে উঠো উপত্যকার কোন ঝোপ ।
তুমি ঝোপও যদি না হতে পারো
তবে হয়ে উঠো এক মুঠও ঘাস ।
নিজেকে খুঁজতে গিয়ে দেখি
আমি আদতে পদার্থের জমাটি সময়
যারা আগে-পরে শূন্যতায় মিশে আছে
শূন্যতারা সময়হীন পৌনপণিকতা বোধে
জেগে আছে চারদিকে
তুমি যাকে ডিপ্রেশন বল
আমি বলি মুহূর্তবোধ...
কোন এক অজানা কারণে
ভেঙে যেতে দিইনি যে লম্বা দড়ির ঝুলন,
সেখান থেকেই সজোর প্রত্যাঘাত,
ছিঁড়ে গেল বিদেশি নাইলন।
একটা দেশলাই খুজতে খুজতে
কেটে গেল আজীবন ।
এ বয়সে এসে.
বারুদ ধরাতে পারিনি কোন কাঠিতেই!!!!!
দোষী করবো না, করবো না তোমারে |
আমি নিজেরে নিজে করি ছলনা' ||
মনে মনে ভাবি ভালোবাসো,
মনে মনে বুঝি তুমি হাসো,
জান এ আমার খেলা-
এ আমার মোহের রচনা ||"...
"মাঝে মাঝে ডুব মারতে হয়...
আড়াল হতে হয়...
একটুখানি আড়াল হলেই কাছের মানুষ চেনা যায়...
দরজাটা খুলে রাখলে অনেক মানুষ আসে,
হিসাব রাখা যায় না...
দরজাটা আটকে ঝিম মেরে বসে থাকলেই
টুক টুক করে ক'জন কড়া নেড়ে খোঁজ করে,
ওটা ঠিকই গোণা যায় !!

তোমার হাসির সাথে সাথে হাসবে,
এমন মানুষের অভাব নেই...
তোমার কান্নার সাথে কাঁদবে
এমন মানুষেরও অভাব নেই...
তোমার চুপচাপ থাকার মূহুর্তে
তোমার মুখে হাসি ফোটাবে,
এমন মানুষেরই বড্ড অভাব...
আড়ালে তুমি কাঁদছো কিনা,
ঐটুকু খুঁজে নেওয়া আর বুঝে নেওয়ার
মানুষেরই বড্ড অভাব !!"
প্রসব যন্ত্রনার দোহাই দিয়ে,
আর কত খর্ব করবে?
নারী তোমার নারীত্বকে..
কাঠফাটা রোদ্দুরে ঘাম মেখে,
ছুটে বেড়ানো শহরের রাস্তায়..
একটা কোম্পানীর 'সিলেকশন'..
কঠিন চোখে চেয়ে থাকে বেকার মেয়েটা।।
দৃষ্টি অসহায়তার ধার ধারে না বলে,
অস্বীকার করবে তোমার নারীত্বের।।

বৃষ্টি রোদ মাথাই নিয়ে,
সেলসের মেয়েটা ফ্ল্যাটের দরজা কলিং বেল টেপে..
ফিনাইল সাবান রকমারী..
তিরষ্কারেও ম্লান হাসি মুখে,
নতুন কলিং বেলের খোঁজে..
তুমি ভাঙতে শেখোনি বলে কি..
অস্বীকার করবে,
তোমার নারীত্ব কে..
সীমানাতে যে যুবতী,
তন্দ্রাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে,
রক্ষা করে রাষ্ট্রের..
যুবতী,
তুমি নিঃস্বার্থ বলে,
অস্বীকার করবে?
তোমার নারীত্বের..
অসুস্থ মস্তিষ্ক যদি তোমায়,
বেআব্রু করতে চায়..
তুমিও তো একরোখা প্রতিবাদে,
আমার হাত ধরে রাখো কঠিন হাতে..
কয়েকটা ধর্ষকের উদাহরণে,
অস্বীকার করবে?
তোমার নারীত্বকে..
তুমি তো কখনো মাতা,কখোনো বন্ধু..
কখনো বোন ,কখনো প্রেমিকা, আগলে রাখো ভালোবাসায় পরম স্নেহে..
প্রসব যন্ত্রনার দোহাই দিয়ে,
আর কত খর্ব করবে তোমার নারীত্বকে??
হৃদয়ের রক্তক্ষরনে বেদনার জলচ্ছাস,
দ্বিপ্রহরের রাত্রি খুজেঁ পূর্ণিমার চাঁদ,
অন্ধকার রাত্রি হাত বাড়িয়ে রয়,
বিচুর্ণ বৈভব নৈঃশব্দিক দূরত্ব পাড়ি দেয়
কেউ একজন হাতরিয়ে পূর্ণিমা খুঁজে
তোমার হৃদ গলির আনাছে কানাছে,
এখন ও জোৎস্নায় খুঁজে তোমার স্নিগ্ধতা
যে তোমার ভালবাসায় চির অন্ধ।
অন্তহীন নীল সমুদ্রের নীচে চিরন্তন
নিঃস্তবতায় ঘুমিয়ে আছে প্রবাল।
কতইবা পথ পাড়ি দিলাম,
চারদিকে শুধু অনাদ জল, নীল আর নীল।
ইচ্ছা করে মনের গভীরে যতটুকু যেতে চেয়েছি,
তারচেয়েও বেশী গ্রাস করেছি।
বিস্ময়ের দ্রাঘিমা রেখা কখনো...
ভালোবাসার অক্ষ রেখায় মিল হয়না।
চোখের পাপড়িগুলো ক্লান্ত হয়ে
আমার ভাষা মেনে নেয়।
কথায় কথায় নেমে আসে রাত।
পথ হারিয়ে দিগন্তে ফেরি করি প্রভাতের কিছু রং
অন্তহীন নীল দরিয়ার ডেউয়ের ভাঁজে ভাঁজে
খুঁজে বেড়াই তোমার শরীরের রসায়ন।
আমি অমরত্বকে চাই
আর তাই চাই তোমাকে, প্রতি ক্ষনে
আদরে আদরে সোহাগী হাসিতে
মহাকব্যিক অন্ধকারে, ম্রিয়মান আলোয়
হাসিমাখা দুষ্টুমিতে।
শুধু তোমার জন্য
অমরত্বকে তাচ্ছিল্য করতে চাইনা
আমি আজীবন চেটেপুটে খাবো
জীবনের প্রতিটি আনাচ কানাচ।
শেষপাতে কিছু উচ্ছিষ্ট রেখে যাবো
আগামী জন্মের তরে
ফুরিয়ে না ফুরানোর ইচ্ছেটা, বাঁচিয়ে রেখে যাবো
ধরা নাই বা দিল, তেমন কোনো শব্দ
তেমন কোনো চিরকালীন প্রত্যয় ।
সত্যি বলেছিলাম আমি ,
সত্যি খুঁজে নেব তোমায় ঐ ঠিকানা বিহীন পথে ।
অপার ভালবাসায় সাজাবো তোমার স্বপ্ন আমার এই হাতে......
থেমে যাবে সময় আর সাথে রবে তুমি ......
কারণ ভালোবাসি তোমায়, আমি ...শুধুই আমি...

সোমবার, ২২ আগস্ট, ২০১৬

কোথায় কোনখানে আছে স্বস্তির নিঃশ্বাস?
মৌনতার চারপাশে শূণ্যতার আর্তনাদ।
অশুদ্ধতার মাঝে শুদ্ধতা সর্বনাশ,
অন্তহীন ঝড়ের দগ্ধ পূর্বাভাস।
পুষে রাখা হৃদপিন্ডে কষ্টের কথা.
যে মনেতে আছে জমা হাজার ব্যাথা।
না পাওয়ার হিসেবে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ,
সময়ের সাথে বদলে যায় বিবর্ণ জীবন।
ঠিকানা চেয়েছিলাম,
সে কোথায় থাকে?
খুজেছি আমার এই কুঁড়েঘরে,
সে কতটুকু উঁচুতে?
সে কত দূরে?
গলায় জোড় দিয়ে ডাকি,
ক্ষণে ক্ষণে ডাকি,
মনে মনে ডাকি,
সারাদিন ডাকি,
নিরবভাবে ডাকি,
সে কোনদিনও আসে না।
তৃক্ষ দৃষ্টি রেখে সারাদিন করি খেলা,
একটুকু ছায়াও তাকে স্পর্শ করা যায় না।
অসুস্থ নগ্ন বিবেকের অফুরন্ত জ্যোতি
বিবর্ণ হয় যত অনুভূতি।
অন্তরে ভেতরে বাহিরে এই কোন ফাঁকি।
[[ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিনিয়ত আমরা সাজিয়ে যাচ্ছি আমাদের জীবন ক্যানভাস....নানান রঙের ছবি এঁকে....কারো ছবি রঙিন....কারো রংহীন]]
“তোমার লেখা শেষ চিঠিটা
আজও পড়া হয়নি,
ধূলোয় মাখা সেই খামটা
আজও খোলা হয়নি,
আমায় তুমি ভুলতে চাও
এটাই লেখা জানি,
তবু তোমার লেখা শেষ চিঠিটা
আমার কাছে অনেক দামী।”
মৃত্যুর আগে
আরও একবার অভিশাপ দিয়ে যাও কবি
আমাদের মধ্যে যে বিষাক্ত শব্দ
বাসা বেঁধেছে
তা আবারও দগদগে ঘা হয়ে ফুটে উঠুক...
আকাশের সর্বোচ্চ সীমায়
মেঘ, বৃষ্টি, রোদ্দুর
আর প্রত্যয়ী শূন্যতার মত
জেগে আছে অবকাশটুকু...
আদতে যেখানেই যাই
দিগন্ত ঘিরে থাকে আমায়
ঘিরে থাকে আকাশ সীমার
প্রসঙ্গাতীত সব প্রহরগুলো...
প্রহর স্রোতময় সব সময়-বিন্দুরা লিখছে
পদার্থের রূপান্তর গাঁথা
তোমার তরল প্রবাহ, ঢেউ,
নিদারুন অবকাশগাঁথা...
" আমার যাবার বেলায় পিছু ডাকে,
ভোরের আলো মেঘের ফাঁকে ফাঁকে ||
বাদলপ্রাতের উদাস পাখি ওঠে ডাকি |
বনের গোপন শাখে শাখে, পিছু ডাকে'
ভরা নদী ছায়ার তলে ছুটে চলে-
খোঁজে কাকে, পিছু ডাকে'
আমার প্রাণের ভিতর সে কে থেকে থেকে,
বিদায়প্রাতের উতলাকে পিছু ডাকে ||"...
প্লাটফর্ম আজ যেন চিরকালীন সেই ফেরিঘাট
হাত পা ছড়িয়ে বসে আছি।
ফেরারী সন্ধ্যে
নামতে নামতে হারিয়েছে সাঁঝবাতি
গিরগিটি এক তারা নিয়মে নাম বদলায়
সকাল - সন্ধ্যায় নিয়মিত
শুধু সেই ডাউন ট্রেন এলোনা ফিরে
জানলায় নিয়ে তোমার উদাস চাউনি।

কৃষ্ণচূড়া ধুলোয় ঢেকে, রঙ হারিয়েছে
রোদ্দুর পোড়া ছাই , মেঘের হাতে হাত রেখে,
রাতের দরজায় কড়া নেড়ে যায় অবিরত ।
ডাউন ট্রেনের দরজায় তুমি নেই
হা পিত্যেশ মাখা গোধূলি, হলুদ ঘাসে এলিয়ে,
ডাউন ট্রেন কত এলো, তুমি ফিরলে না।
ভালবাসি বলেই তো পেতে চাইনি তোকে...
চাইনি এ উচ্চাকাঙ্ক্ষা মৃত্যু ডেকে আনুক সুন্দরের।
এ স্নানে আর ইচ্ছা বেঁচে নেই,
ছিটানো জলেই যে ভিজেছি মনে মনে।'
পূজারিণী আবার পিছু ফিরে, মিশে গেল বনান্তরে,
নদী তার গন্ধ এখনও পায়,
স্নাত হয় নিঃশ্বাসে, তবু নাগাল পায়না তার।
অন্য এক দিক... ভূমিকম্পের প্রস্তুতি,
পুজারিণী সদ্যস্নাত এলো চুলে মৃদু হেসে
নোনা শরীরে আহ্বান জানালো আলিঙ্গনের।
বনাঞ্চলে পূজারিণীর একক আগমন
সম্পর্কের বনাঞ্চলে তার অধিবাস।
এক লপ্তে সমস্ত দ্বিধাকে পিছনে ফেলে
হাঁটতে সেখায় পূজারিণী, গোপন সময়ে
কিম্বা নিকষ কালো অন্ধকারে,
বিজিত আর জয়ী তফাৎ খুঁজে ফেরে তার বুকে।
অবলীলায় জীবনের সুক্ষ্ম বোধ কাঁপিয়ে তোলে বুক।
তিরতির করে কাঁপতে থাকে ঠোঁট।
দূরবর্তী এক নদীর স্রোত, উচ্ছ্বল ঝরনার মত
ঝাপিয়ে পড়লো গায়ে, পূজারিণী ভিজল,
কিন্তু তার বসন ভিজল না।
কিছুকাল পরে নদী এসে দাঁড়ালো তার সম্মুখে,
আপাত ছলনায় স্মিত হাস্যে পূজারিণী অস্বীকার করল
স্রোতের আহ্বান... ছটফটে নদী বলেছিল
'এসো, আজ ভেজাই তোমায়, সম্পূর্ণ স্নানে।'
পুজারিণী উত্তরে বলল,
এসো আমাদের বীজ বুনি এই বনাঞ্চলে.....
অলি গলি দুপুর বেলায়
দূরে পাড়ি স্মৃতি র ভেলায়
ফুটেছে ফুল, ঝুলছে ডালিম
হয়নি পাওয়া এই হাতে
জুলু জুলু চোখে উঁকি
বেড়ার আড়াল পায়নি ফাঁকি
আগুন রঙের ডালিম ফুল আর
রোগা গাছের পোকা ডালিম
ছোট বেলার স্বপ্নতে

ঠোট দুটো কি বলে?
কামনায় শয্যা খুঁজে।
ভাষাহীন চোখ বুঝে,
দুটো হৃদয় যায় টলে।
সারারাতের রচনায় বাসরের পান্ডুলিপি.
আনন্দ ভালবাসায় ক্ষত বিক্ষত কুপি।
দূরত্বের ব্যবধানে জাগে শুন্য অনুচর.
তীব্র অন্ধকারে তাঁর আলোর অবসর।
প্রশস্ত বুকে শূণ্যতার দীর্ঘ উপখ্যান,
অপরূপ নিঃস্তবতায় পায় ভালোবাসার প্রান।
চিরকুমারী রাতের এইটুকু কি সান্তনা?
দূরত্ব কি বুঝে?
না ছোঁয়ার যন্ত্রনা?
সারারাত জিইয়ে রাখা বাসরের চাপে.
তৃষ্ণায় দুজনের দুটো ঠোট কাঁপে।
সারারাত পার করি জোনাকি তুলে.
অপলক চোখ গুলোর ক্লান্তি ভুলে।
তন্ন তন্ন করে খুঁজে ভালোবাসা সুদীর্ঘ রাত.
আমি তাঁর হাতে রেখে ছিলাম আমার ‍এই হাত।
ভাষাহীন ব্যাকরন খুঁজে এক জোড়া চোখ,
তাঁর দিকে তাকিয়ে ছিলাম অপলক।
সে নির্বাক,....আমি অবাক,..........
সূর্যোদয়ের সাথে জোৎস্নার অভিমান,
ঠাণ্ডা আগুনে হবে আজ দুজনের স্নান।
পথের মাঝে রেখে এলাম
কয়েকটা মাইলফলক,
তারা আমার হারানো প্রেমের
স্মৃতিচিহ্ন বহন করবে...
বর্ষা শেষে শরৎ আসে
নতুন ছবি চারিপাশে,
নীল আকাশে মেঘের দেশে
সাদা মেঘের ভেলা ভাসে।
পথের মাঝে হঠাৎ করে
আকাশ ভেঙে বৃষ্টি পড়ে,
মনের সুখে ছাতা ছেড়ে
বৃষ্টির ফুলে পকেট ভরে।
নদীর ঘাটে ঝাঁকে ঝাঁকে
নাইয়রিদের নৌকা হাঁকে,
নতুন বউয়ের ঘোমটা ফাঁকে
লজ্জারাঙা হাসি আঁকে।
কাশবনেতে হাওয়া খেলে
নদীর বাঁকে নৌকার পালে,
ইচ্ছে করে দৃষ্টি মেলে
সঙ্গী হতে মেঘের দলে।

শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৬

সময়ের স্রোত গুনে
তুমি আর অশ্রু ফেলো না,
কারণ, ঐ অশ্রুতে আমি সিক্ত হব না।
দীঘির স্বচ্ছ জলে হৃদয়টা ভিজিয়ে
স্মৃতিটুকু শ্মশানে রেখে এসো।
তুমি সবুজ হয়ে ফিরে যেও,
কখনো ভুল করে এই পথে এসো না।
তোমার জোৎস্নার ছায়া আমি হব না,
এই নয় আমার অভিমান,
এ হলো আমার ভালোবাসার নীরব প্রস্থান

যেটুকু পথ মাড়িয়ে তুমি চলে এলে
সেটুকু পথে ফিরে গিয়ে
যদি আমার দেখা না পাও
সেখানে এস থেমো,
নিরবভাবে কিছুটা সময় পার করো।
যে আকাশ আমাকে আশ্রয় দিল
তাঁর দিকে তাকিয়ে নিঃশ্বাস ফেল না
আমি খুব কষ্ট পাবো, তোমার নিঃশ্বাস শুনে।
একতাল মাটি মেখে বসেছি...
সূর্যের কড়া হয়ে ওঠবার আগে
সে প্রলেপ ধুয়ে দিতে বলেছিল কেউ।
আমি বুনটে শক্ত হয়ে বেঁধেছি নিজেকে,
বলেছি... রঙ দিও, রাঙ্গাও আমায়।
ফাঁকতালে তার গায়ের গন্ধ
করল আমায় কুপোকাত,
এখনও রেখেছি বেঁধে এই মনে
যেমন ভেবেছি সারারাত।
উজ্জ্বল এক কথার পালকে
মন ঘোরাফেরা বিদেশী নোলকে,
ঠকেও জেনেছি, বুকের ভিতরে
ভাললাগা আছে দিনরাত।
ভালো থাকা আজ থাক
আরো কিছুকাল খারাপ থেকে
বিরতির যতিচিহ্নে
আমি তোমাকেই চাইবো ।
তোমার চিবুকের
মেঘ কালো তিলের কাছে
হাত পেতে চেয়ে নেবো কলঙ্কের অহঙ্কার
তোমার অঙ্গুরী তে হীরক হ'তে চাওয়া
আমার হেয়ালীপনাকে রেখে যাবো
তোমার রুমঝুম পায়ের পরশে...
হেরেও জিতে নেবো আলতার বিশ্বাস
তোমার অবাক চাউনি নিয়ে
ঝরে যাবো কোনো একদিন
পাড়ের ছলাৎ ছলাৎ শব্দের কাছে
জেনে নেবো তোমার হাসির টুপটুপ
শব্দের ঠিকানা
আমার কবিতার খসরায়
তুমি আমার একান্ত কবিতা থেকো
দূর থেকে সুদূরে
ঝটপট ডানা্র শব্দে ধ্বনিত হব আমি
তোমার স্পন্দনে...
এক পা এক পা করে এগিয়ে যাওয়া স্বপ্নগুলো
স্বপ্নচূড়ায় এসে বাতাসে মিলিয়ে যেতে দেখেও বলতে হয়,,
আমি স্বপ্ন দেখি...
অনেক সময় কষ্টের পাহাড় মাথায় রেখেও
দাতে দাত চেপে বলতে হয়,,
ভালো আছি.......।।
বুক ফাটা কান্না চেপে টলমল করা চোখ জোড়া নিয়ে বলতে হয়,,
কই চোখে কিছু একটা পড়েছে হয়ত......।।
ডুবন্ত নৌকায় বসে আছি জেনেও বলতে হয়,,
আমার ভয় নেই......।।
নেমে যাচ্ছে জল, ভীষণ অশ্রুপাত
শিস দে যে পাখি, উজানে আসুক গান
তীরন্দাজ, ভূলোক রক্তে ভেজা
থামো, মিথ্যে তোর বাজিমাত!
হয়ে গেছে প্রতুল বৃষ্টিপাত
হাসনেহেনা রজনীগন্ধ্যা গোলপের রঙ
নিশানা করলেই হলো!
চাই নিশ্চিন্ত রাত।
উঁচিয়ে ধরেছো তীর
অন্য পথে আকাশের নীল মেখে পাখিরা
গান রেখেছে জারি
কথা ছিলো না আহূতির।
গুনগুন করে গাইতে গাইতে যে মানুষটা এগিয়ে গিয়েছিল
প্রলোভনের হাতছানি সরিয়ে,
সে আজ মঞ্চের ধারে অন্ধকারে গাঁজা বানায়।
আমি তার সঙ্গী হয়ে জেনেছি
স্বল্পতায় নির্লিপ্ত হলে জীবন বয়ে যাবে মরা খাতে।
জ্যামিতিক বেগে নেমে আসবে ত্রিভুজের ভূমে।

জেগে উঠি
উঠলেই মনে হয় জনান্তিকে একলা সময়
দাঁড়িয়ে থাকে গাছতলায়।
পথ হাঁটা, বয়ে চলা নদীর মতই।
গাছে থেকে যে ঝরে যাওয়া পাতাটা কুড়িয়ে নিলাম,
শুকোয় না, পচে যায় নিজস্ব আঙ্গিকে।
পাতায় পাতায় জালি কাটে তারই শিরা-উপশিরা,
অনিশ্চিত বিঘ্নতা বয়ে যাবার আগেই
ভেসে এল হড়পাই।
খুব ইচ্ছে করছে ভিজি, ভেজাই...
একসময় মিশে যাই চিনির ডেলার মত, মাটিতেই।
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে... আয়, আয় আয়
ঘরের থেকে ছুট্টে বেরোই
ভেজাতে আত্মায়।
অশরীরি - দের ছায়া রাতেও দীর্ঘতর
রোদ্দুর মুখ লুকায় যদি অভিমানে
দোষের কি হোতো !
হাসির আড়ালে আস্তিনের নীচে
ধারালো ছুরিকায় পিপাসা
মেঘলা আকাশ শাওনের আশা জাগাতে পারতো
হাসি না থাকলে বড়ো ভালো হোতো !

মৃতেরা বড্ড বেশী কথা বলে এখন
কথা না হলে বড়ো ভালো হোতো ।
ইচ্ছে আছে আজ খোলা ক্যানভাসে
লিখবো না না না...
অবুঝ মন
আলেয়ার পিছু পিছু ধায়
মাটিতে পা রেখে
রেহাই দাও...
এবার তফাৎ যাও...
আলোর গান লিখতেই যে চাই
তুমি সামনে এসে সব গুলিয়ে দাও
পূব আকাশ আজও মেঘের কালো ভেলা
জ্যান্ত কিছু মানুষ এখনো উজানে যায়
আমিও যেতে চাই...
স্রোত আর রক্তের কাব্য
পারলে লিখবো
নচেৎ এই হোক আমার শেষ লেখা।
ঝুলে থাকার অর্থ এই নয়
সব সত্যি বিক্রি হয়ে যাবে।
নীরব হয়েছো ভেবে
কিছু কথা রেখেছি অক্ষত
শরৎ মাস এসে গেলে পর
সব ফুল তোমাকে দেব রজনীগন্ধা করে
ঝুলে থাকা ভালো, থাকলে সংযত।

মুখোমুখি সত্য ঝুলিয়ে রেখো
দেখবে নদী হয়ে যাবে একদিন।
ঝুলে থাকা মানে ভেসে থাকা নয়
সমান্তরাল, সমর্পণও নয় কিছু
মনের ভিতর স্হির থেকে থেকে
গেছে ভুলে আগেকার রূপ
চোখের ভাষায় সে ছায়া উন্মুখ
কথারা গাঢ় হলে পর
ইজেলে রোদ এসে পড়ে
একবার নড়ে উঠলাম, স্থিতধীরা ম্লান হয়ে গেলো
হাজার বাতির আলোয় ফুটে উঠলো ফুল... আমার হাত ধরেই
উষ্ণতা আমার জন্য... কলকল করে কথা বলল সে,
তারপর... আরো অবাক করে আমায় বশ করে নিল, বৃতির ভিতরে।
দৃশ্যটা দেখতে দেখতে
ভুলে গিয়েছিলাম ফুল ফোটাবার কথা।
একলা, এক্কেবারেই একলা এদিকটা ঘুরতে ঘুরতে এসে
নিজেকে হারিয়ে ফেলেই মন দিয়েছি ......
অন্তরায় এসে কেদে ফেলল বুক,
দূরের আকাশ থেকে ডুকরে এলো কান্না।
আলাপের পর আলাপ জমালাম না-নড়া মানুষের সঙ্গে,
ওরা একলাই বলে, বলতেই থাকে, হাঁটতেই থাকে,
ছুটতেই থাকে, লাফাতেই থাকে, কখনো কখনো হাসতেও থাকে।
বোকার মত ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে রইলাম,
ওরা কেই দৃষ্টি বদলালো না, বিশ্বাস কর, কেউ না।
আর বোবা ফুলটা তখন আমার হাত ধরে অশরীরি আত্মীয়র মত হিমেল।
বিশ্বাসের মধ্যে লুকিয়া থাকা ঘাতক
যার ঠিকানা জানা নেই।
মনের লুকানো বাসনাগুলো একটু
অবলম্বন চাইছে
মেঘের ওপর আঁকা মেঘবালিকারা
তোমার ছোঁয়ায় মিলিয়ে গেল ....
এক একটি সময় হারিয়ে যাওয়া,
কিছু স্রোত ধরে রাখা ....
পাথর দিয়ে গুরো করা হলো
কয়েকটি শব্দ...!
হৃদয়ে রাখা একফোঁটা বৃষ্টির জল ,
দিকহীন হয়ে ঝরে পড়ছে...
বহুদিন দাগ না কাঁটা বোকা মানুষটা আজ সকালেই
মস্ত এক দাগ কেটে গেল।
অনন্ত সম্ভাবনার মুখে ছাই ঢেলে দিয়ে
এক অজ্ঞাত খাঁড়িতে পুঁতে এলো জাল।
সবুজ গালিচায় গুঁড়ো গুঁড়ো চার ফেলে দেখিয়ে দিল
ইতরের চেয়ে মনুষ্যেরা এখনও বুঁদ হয়ে থাকে
চিড়ধরা খামখেয়ালিপনাতেই।
একটা জ্বলন্ত মোমবাতি ফুরিয়ে যেতেই
সূর্যটা জলে উঠলো... কারো তোয়াক্কা না করেই।
মানুষটা স্বরহীন থেকে গুটিয়ে ফেলল জাল।
একমনে এবং একমনেই।
আজ কিছু লিখতে ইচ্ছে করচ্ছে
কিন্তু
কি লিখবো বুঝতে পারছি না
আজও সেই পুরনো সৃতি চরণ গুলো খুব মনে পড়ে
মনে পড়ে সেই তোমায়
হয়তোবা অনেক সুখেই আছ তুমি
জানিনা এখনও মনে পড়ে কিনা এই আমায়
তোমায় ভেবে কতো কিছুই না লিখতাম, এখন লিখতে পারি না
জানিনা কেনও এমনটা হল

তবে হ্যাঁ আমি লিখবো
আবার, লিখবো
কবিদের লেখার হাত যেমন কখনো থামতে পারে না
তারা কিছু না কিছু নিয়ে লিখে যায়
ঠিক, তেমনি করে আমিও লিখে যাবো
তোমায় নিয়ে যদি লিখতে নাইবা পারি
তবে,
ফুটপাতে শুয়ে থাকা শিশুদের নিয়ে লিখবো,
দুঃখিনী মায়ের কষ্টের কথাগুলো লিখবো,
গরীব পিতার কঠোর পরিশ্রমের
কাহিনী লিখবো
হ্যাঁ আমি লিখবো
তবুও আমি লিখবো
আমি লিখবো, সেই সব পিতা-মাতার কাহিনী
যারা একটা সময় সন্তানদের জন্য কিনা করেছে
অথচ আজ জীবনের শেষ মুহূর্তটা কাটাচ্ছে বিদ্ধাসস্রমে ।
হ্যাঁ আমি সেই সব কৃষকের কথা লিখবো
যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফোলায়
কারণ, শহরে বসবাসরতো এই অট্টালিকার মানুষ গুলো জানে না
কতো কষ্ট করে তারা জীবন কাটায় ।
পৃথিবী ও তার সুন্দরজ কে নিয়ে লিখবো
তবুও আমি লিখে যাবো
যতো দিন বাঁচবো, জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমি লিখে যাবো ।
অতীত স্মৃতিকে সাজিয়েছি শব্দহীন জোছনার মত।
শ্রাবনশেষে মেঠোপথে ছড়িয়েছি বৃষ্টির জল!
আমার উৎজ্জলিত চোখ ক্রমশ ঝাপসা হতে থাকে...
নিরাশার কালো ছায়া মিশে যায় দূরের আকাশে,
নব সভ্যতার আদলে ফোটে সহস্র বিপ্লবী মুখ!!
হৃদদেয়ালে অদ্ভুত শিলালিপির কারুকাজ
এ যেনো অন্যরকম সভ্যতার আবেদন!
বাস্তবতার রুঢ় সময় থমকে থাকে এখানে,
শতাব্দীর সব মানুষের আর্তনাথ চলে ভেতরে!
এরই মাঝে প্রবাহিত হয় অপূর্ব রক্তধারা।
শোকার্থ মানুষের আকুল নিবেদন বিরামহীন
কম্পনের ক্রন্দনে ঘুমন্ত জীবন জেগে ওঠে সহসা।
অস্পষ্ট জীবন দারুণ আবেগে ছুটতে থাকে,
কিছু মানুষ সমতার চেষ্টায় ক্লান্তিহীন।
প্রভাতের নদীর মত বয়ে যাওয়া অস্থির সময়,
নিযুত জানোয়ারের বিভৎস আর্তনাদ শুনবো বলে।
জাতির পিতার প্রতি আমার অকৃত্রিম শ্রদ্ধাঞ্জলি।।।
*******************************************
তুমি দিয়ে গেছ তোমার সোনার বাংলা
কিন্তু আমরা তোমার মনের মত
সোনার মানুষ হতে পারিনি..........
আমাদের এই অক্ষমতাকে ক্ষমা করো তুমি .....
সমগ্র বাঙালীদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলে তুমি......
আর সেই স্বপ্নের বাস্তব রূপ‍ায়িত করেছো তুমি......
কিন্তু তোমার দেওয়া প্রকৃত স্বধীনতা
আমরা আজও ছুতেঁ পারিনি....
ক্ষমা করো ক্ষমা করো আমাদের তুমি.....
কত প্রধানমন্ত্রী কত রাষ্টপতি
আসবে আর যাবে কিন্তু সমগ্র বাঙালীদের
জাতির পিতা একজনই রবে সে হলো
শুধু তুমি.....তুমি.....তুমি.....
সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙালীদের মহান নেতা

বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবর রহমান
আবার কবে আসবে ফিরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান,
আবার কবে উঠবে গড়ে মানুষের মাঝে বিশ্বাস!
আবার কবে দাঙ্গা বিদ্বেষ দূর হবে সমাজ থেকে
আবার কবে ফিরে পাবে কৃষকেরা তাদের শ্রমের দাম!
আবার কবে একজাতি মোরা ভিন্ন হবো না কেহ!
আবার কবে রচিত হবে বঙ্গবন্ধুর আভিধান-
আবার কবে ধনী গরিবের মাঝে থাকবে না কোন ব্যবধান!
আবার কবে শান্তির পাখী উড়বে নীলাকাশে
আবার কবে নবীন কুঁড়ি ফুটবে ছোট্ট ঘাসে !
আবার কবে প্রতিটি মানুষ ফেলবে স্বস্তির নিঃশ্বাস,
আবার কবে দেখবো মোরা ভাইয়ে ভাইয়ে স্নেহ,
আবার কবে বাংলাদেশটা চির শান্তিতে যাবে ঢেকে?
আবার কবে নতুন সূর্য উঠবে মোদের দেশে,
আবার কবে আকাশ বাতাস আনন্দেতে বাঁধবে নতুন সুর
আবার কবে নতুন পুষ্পে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হবে ভরপুর!
শ্রাবণের মেঘ উড়ে যায় অজানায়
নিঃসীম আঁধারে ডুবে চরাচর,
কষ্টগুলি জমা রাখি ছায়ার কাছে,
দ্বীপ নিভে যাওয়া রাতে।
দুঃখের পায়রারা ঝাঁকে ঝাঁকে
ঝাঁপ দেয় হৃদয়ের আকাশে,
বয়ে যায় বিরহী বাতাস প্রবল তান্ডবে।
নিষ্ঠুর বিষাদের কাঠ-ঠোকরা
খুবলে খায় মনের সব সঞ্চয়।
বুকের মধ্যে বৃষ্টি নামে
অন্ধকার স্তব্ধ রাত্রি জুড়ে।
দৃষ্টি ভরা শ্রাবণ বুকে
লাগেনা আর ভালো.
উথাল-পাথাল মন নদীতে
হঠাৎ চাঁদের আলো।
শ্রাবণ চোখে জেগে থাকে
সেই প্রেমিকের ক্ষণ.
বৃষ্টি ভেজা সবুজ ঘাসে
উদাস অবুঝ মন।
মনের সাথে একলা হৃদয়
পথই তার সেরা,
স্বপ্নবোনা নীলাভ চোখে
অবাক রাতে ফেরা।
মেঘে ঢাকা রাতের আকাশ
জোৎস্নার আলো কই!
মন ছোটে আঁধার পথে
অন্ধকার যেনো সই।
ভালো লাগেনা না আর
আগামী অসুখে নিশ্চিত জেনো
গাইবো অবেলার গান।
আরো দূরে মন ভাঙ্গাই, ভাসাই,
চিত্রলেখার টান।
বেহায়া বাঁশির সুরহীন তান
একলা আমিই ভৈরবী গাই,
তাথৈ তাথৈ...
ছন্দে মেলে না প্রাণ।
যা আছে তা অতি নগন্য -
ব্যথা যন্ত্রনা আর একাকীত্ব
যা শুধুই আমার-
তোমাকে সাজানোর সমস্ত অলঙ্কার
কেড়ে নিয়েছে সময় - ব্যাস্তবতা
তুমি কাব্য ও নও ভাষা ও নও
তুমি একান্তই বাস্তব - এযুগের বিষ্ময় !
আমার শব্দে সাজানো সাহিত্যের পর্ণ কুটিরে
তুমি বড় বেমানান,
আজ সংগ্রামের নতুন নাম সন্ত্রাস !
তোমাকে নিয়ে কাব্য করার
সময় কোথায় ?
ভাষা থাকলেও ছন্দের অভাব,
সে তো আধুনিক গদ্দ্যের দ্বারে মাথা কুঁড়ছে,
বাক্যের জগতে প্রস্ফুটিত প্রথম উচ্চারন তুমি,
তুমি উনবিংশ থেকে একবিংশ
পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে ধ্বংশ !
শতাব্দীর হাত ধরে হয়তো এগিয়ে চলবে
আরও বহু কোষ পথ দুর -।
তুমি কবির অকল্পনীয় কবিতা
নতুন করে তোমাকে সৃষ্টি-
তুমি শাশ্বত -তুমি চিরন্তন -
তুমি চিরকালের অন্তহীন সাথী।
ভালবাসা গাঢ় হলে
অনিবার্যতায় বয়ে যায়
বিচ্ছেদবোধ
সময় সন্তরণ তরঙ্গরঙ্গশালা...
তোমার উড়ানে আলো ছড়াল আকাশ
অন্যমনস্কতা...
মেঘলা আকাশের মতো তোমার মনের কোণেও কি মেঘ জমবে ?
ভেজা হৃদয় দেখে কি তোমার খুব কান্না পাবে ?
নাকি অবাক দৃষ্টিতে জানালার পাশে বসে একটু মিষ্টি হাসবে ?
আমার জানা নেই, সত্যি জানা নেই,
আজ সকালে যখন তোমার ঘুম ভাঙ্গবে
আর দেখবে তোমায় একটা মেঘলা আকাশ উপহার দিয়েছি,
তার সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর একটা ভেজা মন,
তোমার ভাল লাগা বা না লাগার কিছুই তো আমার জানা নেই ।
তোমার আমার মাঝের অদৃশ্য দূরত্ব
আমাকে বহুকাল তোমার কণ্ঠ শুনতে দেয়নি,
জানতে দেয়নি তুমি কোথায় আছো, কেমন আছো ।
তাই আজ সকালে যখন তোমার ঘুম ভাঙ্গবে,
আমি মনে মনে প্রার্থনা করবো তোমার দিনটি শুভ হউক,
শুধু তুমি একবার বলো, “আমি ভাল আছি ।
তোমার দেওয়া মেঘলা আকাশ দেখেছি,
কখনো বিস্ময়ে, কখনো আনমনে ।”

শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০১৬

কল্পনার রঙে আকাঁ রামধনুতে
স্বপ্নের ভেলা নিয়ে ভেসে যাই দূরে কোথাও
তোমার থেকে অনেক দূরে!
কতবার ভেবেছি -কিন্তু পারি কই!
এ যেন চুম্বকের সমমেরুর খেলা
মনের কারাগারে বন্ধি ইচ্ছে গুলো
অনবরত স্বাধীনতা খোঁজে-
তাই বন্ধি হয়েই থাক!!

তোমার অভিযোগের তীরগুলো
একে একে বিদ্ধ করে আমাকে,
মনের গভীরে অন্ধকারে ঢাকা ইচ্ছে গুলো
কেমন যেন একটা জটিল অঙ্ক,
ইচ্ছে করে সব ব্যস্ততা থেকে
নিজেকে সরিয়ে নিই অনেক দূরে,
অলিক অবান্তর অর্থহীন কথায়।
ঝড়ো বাতাসে উড়ে চলেছি -
শ্রাবনের বৃষ্টি ঝরা পাতার মত
এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে!
কখনো আছড়ে পড়েছি কঠিন পাথরে,
ক্লান্ত কিন্তু বিশ্রামের অবকাশ নেই!
ইচ্ছে আর অনিচ্ছের মাঝে
ঘড়ির কাঁটার মত টিক টিক করে চলেছি,
ছুঁইয়ে সুখে, ভরিয়ে বুকে, যন্ত্রণা যে ভরলি!
বল কি করে যন্ত্রণাতে সুখের এ বীজ বুনলি ?
দু-চোখে তোর জল কেন রে রুবি ?
আমায় এত দূরের কেন ভাবলি...?
গতিময় এই ব্যাস্তপথের পাশে
হীনমন্য কিছু নীচু বাড়ী, ঘাড় বেঁকিয়ে
আকাশ পানে চায়...
মেঘের বাড়ানো হাতে, রূপসী
উচ্চস্তম্ভের দাপট -
ভিজে কান্নার স্যাতসেতে বাতাসে
গুমড়ায় ভিজবার আশ।

আকাশ নেমে আসবে একদিন
বাতাস বাড়াবে হাত
নীচু বাড়ীর দেওয়ালে রূপসীর বিজ্ঞাপন
হেরে নত মুখে
তবু চেয়ে আকাশ পানে, যদি সে
বাড়ায় হাত।
নির্বীজ কিম্বা সে বহুবীজ
বৃথা এ প্রশ্নেরা আজ।
শুধু যেন, এখনও সে পর্দায়
এত জোর আছে,
সেই জোরে ঢাকবো তোমায়।
ছিন্ন হলে মন, সময়ের স্রোতে
সরণীও দ্বিধা হয়, দুই পথ দুজনের।
তবুও কি দ্বিধা হয় ?
যা থাকে, তা ভিতরেই থাকে
শাঁসের মতন।
বহুদূর, যন্ত্রণার পথ।
আগাম আহ্বান।
এস বুকে, মিলিত নন্দিত কম্পনে।
সবশেষে কোন এক সর্বনাশ
মোহময় পৃথিবীর এই এক খাঁজ
যেখানে হারায় সব,
ভাল থাকা প্রতীকী আবেশে।
আজ প্রতিটি ক্ষণ হৃদয়ে যে পরম সত্য অনুভব করলাম-
আমি শুধুই তোমার। সে শেষ ঠিকানা আমি পেলাম।
কখনই তা মিথ্যা হতে দিওনা, কখনই ছেড়না আর।
আজ আমার ভীষণ সুখী হাত দু’টো,
আর দৃষ্টি ঘুরিও না ঐ অদ্ভুত সুন্দর চোখজোড়ার,
সেখানে অপলক তাকিয়ে বৃষ্টির সাথে আমিও আনন্দ হয়ে ঝরেছিলাম!
তোমাকে ভালবাসি প্রচণ্ড-
এরচেয়ে কোনও সত্য আপাতত আর জানিনা!!
ভালবাসি তোমায়! -
কেনো জানি খুব কান্না পাচ্ছে! শূন্যতা, পূর্ণতা,
নির্ভরতা নাকি নিঃসঙ্গতার জন্য, জানি না।
শুধু বুঝতে পারছি বুকের ভিতরে
কোথায় জেনো লুকানো জায়গা থেকে
একদল অভিমান প্রচণ্ড কান্না হয়ে দু’চোখ ফেটে বেরুতে চাইছে।
তুমি কাছে নেই বলে শূন্যতা তার ইচ্ছে মত দেখাচ্ছে তার নিষ্ঠুর খেলা।
আমিতো তোমার বুকে মুখ লুকালেই বাঁচি এখন!
কিন্তু তুমি যে কত দূরে! বলতো!
আজ শেষ বিকেলের পাহাড় ছুঁয়ে ছুটে আসা
দমকা হাওয়ার জড়িয়ে দেয়া মেঘের মতো
ছোট্ট একটি ঘটনা আমার সব দ্বিধাকে উড়িয়ে নিয়ে গেলো!
বুঝলাম, মহাকাল যে হাস্যকর ক্ষুদ্র সময়কে “জীবন” বলে আমাকে দান করেছে।
সেই জীবনে তুমি-ই আমার একমাত্র মানুষটি,
যার পাঁচটি আঙ্গুলের শরণার্থী আমার পাঁচটি আঙ্গুল,
যার বুকের মাঝে লেগে থাকা ঘামের গন্ধ আমার ঘ্রাণশক্তির একমাত্র গন্তব্য।
যার এলোমেলো চুলে আমি-ই হারিয়ে যাবো।
আর আমি হারিয়ে যাবো ভালবাসতে বাসতে!!!
যার দুটো অদ্ভুত সুন্দর মধুভরা ঠোঁটের উষ্ণতা
আর তাই জীবনটা আজ ঠিক সেই অদ্ভুত ফুলগুলোর মতই সুন্দর,
যা দেখে আমি চমকে উঠেছিলাম।
আর তুমি আমায় পরম মততায় আলতো জড়িয়ে ধরে
তোমার ঠোঁটের সেই খুব মিষ্টি ছোঁয়ায় ভরে দিয়েছিলে
সেই পুরোটা পাহাড়ি বিকেল।
আর তখন সেই দূর পাহাড়ের দুষ্ট বাতাস এসে আমাকে চুপি চুপি
কানে কানে বলে দিলো, “তোমার পাঁজরের হারেই আমার এই দেহটি তৈরি,
যাকে স্বামী বলে!”।

বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০১৬

কতদিন বুকের মাঝে লুকিয়ে রেখেছি অতি যত্নে ভালোবেসে,
সময়ে অসময়ে মন হারিয়ে যেত পাতায় পাতায়!
তোমার একটা চিঠি পড়েছি শতবার
চিঠির প্রতিটি লাইন এখনো না দেখে
অবিরাম বলে যেতে পারি-কমা পুর্নচ্ছেদ অবধি!
চিঠি গুলো কেমন ধুসর হয়ে গেছে
টেবিলের এক কোনে পড়ে আছে অযত্নে,
জমেছে তিক্ততার রাশি রাশি ধুলো!
যেন গুনে ধরা কাঠর মত ভেঙে যাবে!
মুছে যাক ওই মিথ্যা শপথের অক্ষর গুলো,
চিন্তা গুলো থেঁতলে মারি এক এক করে
বিষাক্ত অক্টপাশের মত শোষণ করছে প্রতিনিয়ত!
ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়েছে শিরায় শিরায়
ইচ্ছে করে স্মৃতি গুলো খুঁচে খুঁচে রক্তাক্ত করে দেই.
এখন আমার একলা রাত একলা সন্ধ্যা একলা আকাশ ,
এখন আমি অনেকটাই বদলে গেছি বদলে দিয়েছো তুমি ।
রাতবিলাপে বুকের ব্যথায় আসেনা কোনো ভালোবাসারা,
তুমি ভালো আছো সুখে আছো আরো ভালো থেকো ।।
এখন আমি একাই আছি এখন আমার খবর কেউ রাখেনা ,
আমি আর আমার আকাশ এখন পাশাপাশি থাকি।
রাতের তারারা আমার সাথে কথা কয় আমায় গল্প শুনায় ।
তুমি তখন হয়তো ঘুমিয়ে থাকো ,
সুখবিলাশি ঘরে বড় শান্তির ঘুম এখন তোমার ।
এখন অনেক রাতে তোমাকে দরজা খুলে দিতে হয়না
আমি অফিস থেকে ফেরার পর।
আজ আমি বদলেগেছি অনেকটাই ,
বদলে দিয়েছো তুমি তোমার অহঙ্কার তোমার ঘৃণা ,
হয়তো মিশ্রিত একটা ভালোবাসা ছিল ,
খোরাক ছিলনা মনের ।
একটা অজানা বাতাস এসে আমায় উড়িয়ে নিয়ে যেত
এক অন্ধ বোবা পাহাড়ের গায় ।
আর তখন হারানোর ভয় আমার আরো তীব্র হত ।
আজ আমি তোমার থেকে হাজার যোজন দূরে ,
অথচ সেই ভয়টা আজও আছে ।
যদিও এমনটা হওয়ার কথা ছিলনা ।
এটা ওটা দু একটা কথা এই নিয়েই দিন যাপন ।
গৈাতম পাগলের সাথে তোমার খুব ভাব ।
আর সেই যন্ত্রণা টা ই আমার কবিতায়
নাটকে আমার শায়িত চোখের পাতায় ।
শো কেজে সাজিয়ে রাখা তার ছবিগুলো
আমায় পীড়া দিত। পীড়া দিত আরও অনেক কিছু ।
তোমার মনে আছে আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথাগুলো ?
আমার খুব খুব কষ্ট হচ্ছিল ,
বলেছিলাম সকালে তোমায় বাড়ি দিয়ে আসবো ,
কিন্তু তুমি আমার কথা শুনলেনা
আমায় একা ফেলে সেই তুমি চলে গেলে ।
আর ফিরে এলেনা ....জানি কোনদিনই আসবেনা
তবুও প্রতিক্ষা...........
রঙ বদলাতেই থাকে সময়ের সাথে সাথে
হৃদয়ের গভীরে থেকে যায় কিছু স্মৃতি
কিছু ভাগ করে নেওয়া যায়
আর কিছু বেদনার স্তুপ হয়ে
পড়ে থাকে মনের গভীর অরন্যে
খুঁচিয়ে মারে সময়ে অসময়ের বিভাজনে
ছায়ার মতো একাকীত্বের সঙ্গী হয়ে থাকে
হটাৎ না চাওয়া বৃষ্টির মতো!
না বলা সেই কথা গুলো বলার জন্য
আজও খুঁজে ফিরি তোমাকে !

ইচ্ছে করে ফেলে আসা শৈশবের মত হতে
কিন্তু চাবিটা যে সময়ের স্রোতে হারিয়ে গেছে!
আমার একলা আকাশ ভাবনার জগতে
জোসনা হয়ে শুধু তুমিই-
শুধু তোমার জন্য ইছে করে একলা থাকতে
সব যেন তোমার জন্য!
শ্রবনের কালো মেঘে গোটা শহরটা ডুবে গেছে
অন্ধকারটা এই গ্রাস করলো বলে-
দুটো শালিক তখনও ব্যাস্ত প্রেমে
সমাজের কোন বাধাঁ ওদের আলাদা করতে পারেনি
ওদের সহজ সরল ইতিহাস-
হয়তো কেউ কোনোদিন ভবিষ্যতেও পড়বে না
ওরা সময়ের সাথে থেকে যাবে চিরকাল অচেনাই!
ওরা সব দল বেঁধে যায় কত না আনন্দে
আমি একা বিরহের নিরালা ধারে
প্রতিদিন সুর্যটাকে ডুবে যেতে দেখি,
সেই পুরানো টেবিল ফুলদানী আজও পড়ে আছে
আর আছি আমি!
এত খুঁজি তোমাকে কই তুমি তো আসো না!
খুলে রাখি শরীরের রঙ
দু-বাহু ছড়িয়ে...
অনন্ত আহবান তোকে
নিভৃতে একাকী সফরে।
সমুদ্র আর আকাশ মিশে গেলে কী হয় !
অবিশ্রান্ত পথ চলায় সকল মৌনতা ভেঙে তোলপাড় ।
বত্রিশ বছরের লাশ কাটা ঘরে
যে প্রেম ঘুমিয়েছিলো যেন জেগে উঠলো আবার।
অনেকটা রাতের পরে পাহাড় কেটে কেটে ,
পাহাড়ের পরে নদী নদীর পরে সাগর ,
জীবন বয়ে নেওয়ার নূতন গান ।
খুঁজে পেয়েছিলো যেন দিশা হারানো নাবিক তার !
আজ আমার সাগর শুকিয়ে খরা ।
খরায় ভেসে আসে পচা লাশের গন্ধ ।
বাতাসে জীবনের বিষাদ ।
স্বপ্ন ভেঙে গেলে ঝলসানো চোখ,
সেই বত্রিশ বছরের লাশ কাটা ঘর,
ঘরের চাল ঢেকে পড়ে শকুনের ডানায়
সেদিন আমি সমুদ্রের গান শুনেছিলাম ।
সেই আমার প্রথম সমুদ্রের গান শোনা ।
মেঘরাশি ভেদ করে আকাশ যেন
নীচু হয়ে গিয়েছিলো সমুদ্রের বুকে ,
গা ভেসেছিলো তোমার ঢেউয়ে ,
বলেছিলে জীবনের আস্বাদ আকাশের নীল তারায় ,
ঝড় এসেছিলো , এসেছিলো তুফান সামাল সামাল।
জেনেছিলো পৃথিবীর মানুষ
আবেগ (ইমোশন) জিনিসটা সত্যিকার অর্থেই আপেক্ষিক অর্থাৎ এর স্থায়ীত্ব ব্যক্তিভেদে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে… যে ব্যক্তি তার আবেগ (ইমোশন) কে যত বেশি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সে ততটাই দু:খ কম পাবে তার ব্যক্তিগত অথবা সাংসারিক জীবনে… তাই বলে কি ইমোশন থাকতে হবে না??? অবশ্যই থাকতে হবে, আমরা বাঙ্গালী জাতি, আমাদের ইমোশন অনেক বেশী… আমাদেরকে সবাই ইমোশনাল জাতি বলে আখ্যায়িত করে… ভালোবাসা, এই শব্দের মানে অনেক রকম.. বিভিন্ন ধরনের ভালোবাসায় আবদ্ধ থাকি আমরা আমাদের এই ছোট্ট জীবনে… তবে ভালোবাসা বললেই আমরা বুঝি, একটা ছেলের সাথে একটা মেয়ের পারস্পরিক ব্যাপার স্যাপার.. ভালোবাসা মিছে আশা, বোকারা বলে প্রেম… আমার মনেও ভালোবাসার এই সূর্যটা উঁকি দেয় সর্বদা.. কিন্তু এই সূর্য তার ত্যাজদ্বীপ্ত আলোয় আমাকে আলোকিত করতে পারেনা, কারন আমার আকাশে মেঘের ঘনঘটা অনেক বেশী.. এই মেঘ কেটেও সূর্য উঁকি দেয় মাঝে মাঝে, যা ক্ষণস্থায়ী তার অস্তিত্ব
বিশ্ব যখন নিদ্রামগন, গগন অন্ধকার,
কে দেয় আমার বীণার তারে এমন ঝঙ্কার ॥
নয়নে ঘুম নিল কেড়ে, উঠে বসি শয়ন ছেড়ে--
মেলে আঁখি চেয়ে থাকি, পাই নে দেখা তার ॥
'অনুনয়' ব্যর্থ হয় অযথা অজুহাতে;
বিনয় বিফলে যায় আমিত্ব-আধারে___

সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০১৬

তুমি যখন নীল শাড়ীর আড়াল থেকে
শরীরের যৈাবনকে একটু একটু করে খুলছিলে,
অন্ধকার সরে গিয়ে অকস্মাৎ এক আলোকিত নক্ষত্র,
যেন ধুসর বিছানায় স্বর্ণালী বাগান,
তুমি হাত রেখেছিলে আমার উৎক্ষিপ্ত বাহুতে
আমি ঠোট জড়ালাম তোমার উদ্বেলিত পল্লবে,
ঠিক তখনই ডোরা-কাটা বিড়ালটা
মুখ বাড়িয়েছিল পর্দার ফাক গলে।

জোস্নার মৃদু আলোতে ও আমাদের ভেবেছিল
ইলিশ বোয়ালের এটো-কাঁটা।
পৃথিবীর নর-নারীরা যখন স্নানে নামে কামনার জলে
তখন ইলিশ বোয়ালের চেয়ে আরো কত নীলাভ উজ্জ্বল
দীর্ঘশ্বাস চেপে বিড়ালটা ফিরে চলে গেলো
এটো-কাঁটার খোঁজে অন্য কোথাও ।
তোমার কামাক্ত চোখ ছিল তার একমাত্র সাক্ষী
হৃদরক্তের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের সেই স্মৃতি ।

রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০১৬

বর্ষণ মুখর শ্রাবণ রাতের অবসান ঘটলো । প্রকৃতি সবুজ শাড়িতে ঠিক তোমারই মত নববধূ সাজে ধূসর মেঘের আবরণ সরিয়ে সকালের প্রথম রোদের সোনার কাঁকন হাতে বাইরে বেরিয়ে এল সলজ্জ চাহনিতে । কতশত অভিজ্ঞ চোখ সেদিন তোমাকে নিপুন ভাবে মেপেছিল যেন গোটা রাতের গল্প টা ওদের আগেই পড়া হয়ে গেছে । তোমার তন্দ্রা হীন লাল চোখে কে যেন দক্ষ শিল্পীর মত সুক্ষ্ম হাতে প্রথম সহবাসি যাপন চিত্রের নিখুঁত বর্ণনা এঁকে দিয়েছে । কলঘরে যখন নিজেকে উন্মুক্ত করলাম ,দেখি সারা শরীরে তোমার দেওয়া ভালবাসার চিহ্ণ । সুখানুভূতির এমন জ্বালা আমাকে সেই অচিন পুরের অন্দর মহলের স্থায়ী বাসিন্দা করলো । জল পরার শব্দের সঙ্গে আমার বুকে শিউলি ঝরার শব্দও পেলাম । শরীরের আনাচে কানাচে এই প্রথম কোন অপস্বরী নারীর – গন্ধ পেয়ে আবার জেগে উঠতে চাইলো আগুনের অজানা কলরব । কলঘরের আবছা অন্ধকারে অনুভূত হল আমার কঠিন ধাতুর নির্মিত অংশের কোন কোমল সিক্ত প্রদেশের অবাধ চলাচল । কান পেতে শুনি অদ্ভুত শব্দ আর শব্দহীনতার মোহময় মেলবন্ধন । হাত বাড়িয়ে ছোঁয়ার চেষ্টা করি। শিহরণ যখন প্রতি রোমকূপে খেলা করে
তখন শরীরের ব্যূহ ভেদ করে মন কে নিঃশব্দে বলি .........

ভালবাসার ডাকে আমার বুকে হাজার ঘুঙুরের ঝুমঝুম
ভালবাসার টানে আমার হৃদয়ে এসো আলোকিত করে।
জোনাকির মত হয়ে আলোয় আলোয় ভিজে
এসো ভালবাসা হয়ে যাই।
ভালবেসে একবার ডাক দাও
বর্ষার অপেক্ষা করবো না
পেখম মেলে দেব আমার বক্ষ জুড়ে
ভালবেসে একটিবার কাছে টেনে নাও
শিউলি হয়ে লুটিয়ে পরব তোমার হৃদয় মাঝে।
ভালবাসা কুড়তে কুড়তে যখন তুমি ক্লান্ত
তখন আবার ফুটে ওঠার সময় হবে আমার।
গানে গানে উঠুক ভরে,
ভগ্ন বীণার ছিন্ন তারে
ভাসুক স্মৃতির ভেলা,
আর আমারে খেলিও না তুমি
মিথ্যা প্রেমের খেলা।
সবুজ ঘাসে যখন বসে
ভাববো তোমার কথা
তোমার শরৎ ঝরিয়ে দেবে
একটি শুকনো পাতা ।
এই পৃথিবীতে ছিলেম যখন
আমার ছিলে তুমি,
নতুন পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিও
ক্যাকটাস মরুভূমি ।
চলতে চলতে ফুরিয়ে পথ
করেছিলে কতো মিথ্যা শপত,
মিথ্যারই হল জয়-
প্রেম যে আজ ভাঙ্গার খেলা
ভাবতেই ভয় হয়।।
আর একটা তুমি পৃথিবী দাও
যেখানে আমি একা,
দুই পৃথিবীর মিলন স্থলে
একফালি চাঁদ বাঁকা,
আর দিও এক শান্ত নদী
কভু সেখানে হারাই যদি
স্মৃতির সাগরে,
একটি কোকিল পাঠিয়ে দিও
তীরের কিনারে।
সময়ের রূপান্তর রেখায় জীবন আঁকছে
শব্দ /ঢেউ /শৈশব / রঙ
গুনগুন ঝনঝন...
আর
বাঁকে বাঁকে জেগে উঠছে
গল্প ক্যানভাস এর ইতি কথা.........
পাবার আসায় হাত বাড়ালাম,
তারপর -
বুঝলাম আমার জীবনের সবকিছুই মিথ্যে ভ্রম
পাহাড়ের বুকে থেঁতলে যাওয়া
আমার রক্তাক্ত দেহটা
আজ শ্মশান ঘাটের চিতায়
দাউ দাউ করে জ্বলছে
তোমার চোখের অলক্ষ্যে!!

গোলাপ ভেবে তুলতে গিয়ে-
কাঁটার আঁচড়ে
ছিঁড়ে যাওয়া হাতটা থেকে পেলেম
রক্তের গন্ধ,
আর অসহ্য যন্ত্রনা!
আমার এ হৃদয়ের তুচ্ছ প্রেমটাকে
অমর করব বলে-
এক চুমুকে পান করেছিলেম অমৃতের পাত্রটি,
তখন তো ভাবিনি;
ওতে ছিল বিষাক্ত গরল!
নীল সমুদ্র ভেবে ঝাঁপ দিয়েছিলেম
শান্তিতে একটু সাঁতার কাটবো বলে,
কিন্তু হায় রে!
এ তো দেখি-
শুষ্ক সাহারার ধূ ধূ করা মরু প্রান্তর!
ঐ পাহাড়ের চূড়ায় ঠেকে থাকা
বিকালের সোনালী সূর্যটাকে ভাবতাম তুমি!
অতিচেতন মন,এর নাম কিছুলোক জানলেও,
এই অতিচেতন মনকে জানতে পেরেছে কিছু লোক, তারা ঈশ্বর,
মনে যাদের ব্যাথা তারা বাইরের
অনুভূতি তে সারা দেয়, ভিতরের অনুভৃতি তারা সাড়া দেয় না,
ব্যাথাকে লুকিয়ে রেখে যারা হাসে,
বা তোমার ভাষায় চোখে লুকায়,
তারা আত্মপ্রবন্চক,
আমরা মানুষ, আমাদের মননশীলতা থাকবেনা,
ব্যাথাকে খুজবনা, অনেক বলেছি, আর বলব না,

শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৬

হঠাৎ ই একটা কাকের কর্কশ আওয়াজে
ভেঙে গেল সুন্দর দিবা স্বপ্নটা!
রুবী কাক-টাকে তাড়াচ্ছে-
আর একটা নতুন সকাল
দূরের আকাশটা একটু লালচে
গাছের ডালে ডালে পাখীদের কিচিমিচি
তখনো এলার্মটা বাজেনি
ঘুম ভেঙে গেছে

আধখোলা চোখে আকাশটা দেখছি-
রুবীর সেই পুরানো অভ্যেস
পুজার জন্য বাগানে সাদা ফুল তোলা
আর গুন গুন ক'রে রবি ঠাকুর।
সকাল মানেই আবার শুরু
জীবনের সংগ্রাম
সবাইকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে হবে
ছিনিয়ে নাও অধিকার
না হলে তুমি বাঁচবে না!
কি সুন্দর এই জীবন
কি যে তার দর্শন-
কিছুই বুঝবে না,
স্কুলের শিক্ষা, মহাপুরুষের বাণী
আর জীবনের আদর্শ
বাস্তবের গলিতে এসে
কেমন যেন মিথ্যে হয়ে যায়।
কিছুক্ষন পর রুবী বলল-
"কি হল এবার উঠবে তো?
তোমার দ্বারা কিচ্ছু হবে না
আজ অনেক কাজের চাপ
অথচ কোন হুস নেই
পড়ে পড়ে শুধু ঘুমাচ্ছো
তুমি পার ও বটে!"
আমি আলিস্যি নিয়ে বললাম -
হুমম! এই উঠব এবার।
সময় হল জয় আর পরাজয়ের বর্নণা
আদিগন্ত
অন্তরিক্ষময়...
বাস্তবের কঠিন ভোর তোকে একেবারে ধ্বংস করে দিল
লাল রঙা শাড়িতে হয়তো তোকে এতটা ভালো লাগতো না ,
কালো মেয়ের বেদনায় মুচড়ে ওঠা বুকে আমি মাথা পেতে দিতাম
তবু তো তোকে নিয়েই সত্যি হতো আমার স্বপ্নের ভোর ... ।
তোকে বাহুবন্ধনের মিলনডোরে বেঁধে
চেয়েছিলাম ভোরের কোকিলের ডাক শুনবো
টুপটাপ ফুল ঝরার সাথে মিলে যাবে
তোর – আমার ভালবাসার নিষিদ্ধ শব্দেরা ।
আর তোকে নির্বাসনের যন্ত্রণা দেব না ...
তোকে নিয়ে দ্বিপান্তরবাসি হবার অবাধ্য ইচ্ছেটাকে
খুন করেছি কাল অশান্ত রাতে; ফুলশয্যার নিদারুণ রাত
আমার ভোরকে করেছে কঠিন বাস্তব ।
তুই যে আমার কিশোরবেলার রূপকথা
তুই যে সেই কিশোরের চুরিকরা গোপনকথা
তুই ছিলি আমার সদ্য ফোটা যৌনতা
তুই-ই আমার অবুঝ রাতের ঘুমপাড়ানিয়া
আয় না শিউলি ঝরা ভোর হয়ে
হিমেল রাতের চুপকথা হয়ে
সন্ধ্যেবেলার আবছা ঘোরে, আবার
যেতে চাই তোকে নিয়ে নির্বাসনে ।
কাল ছিল এক অশুভক্ষণ, ছিন্ন হলাম
চেনা পরস্পরকে , তবু
দুটো হৃদয় দুই হয়ে উৎযাপন করেছিল
অশুভক্ষণের ফুলশয্যাকে ।

শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০১৬

আমি ই খুঁজে নেব তোমাকে, হে শান্তি
তুমি খুজবেনা আমাকে জানি
সুখের আগুন জ্বালিয়ে
কষ্টের গায়ে আগুন ধরিয়ে ভস্ম করে দেব
সুখ পাখি দাঁড়িয়ে দেখবে তামাশা
দৃষ্টির সীমা থেকে অনেক দূরে
ছুটে চলবো আগামীর আকাঙ্ক্ষায়
মধ্যরাতের আয়ত চোখের পাতা
আজকাল বিরহের জোছনায়
অতীতের ডায়রি খুলে দেখি
একটু একটু করে ক্ষত করতে শুরু করেছে
স্মৃতির গায়ে কামড় দিয়ে
টেনে হিঁচড়ে বের করে আনতে চাচ্ছে
মলিন মুখের আঙ্গিনাতে
অন্ধকার পাড়ি দিয়ে জেগে উঠি
তবুও খুঁজে ফিরি তোমায়, হে শান্তি....
তারপরেও অবিরাম ছুটে চলা শান্তির সন্ধানে
ছুটে চলেছি জীবন নামের ম্যারাথন দৌড়ে
প্রকৃতি নিজের হাতে সাজিয়েছে অনার্য মানুষ
অস্থির এই মন বড় অস্থির হয় বার বার
আজ ও আমি তোমাকে খুঁজে ফিরি
এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত, হে শান্তি...............
ছোঁবো তোমাকেই বলিনি শেকল
ইচ্ছাবিন্দুর হয়নি অধিবাস
ছেড়ে যাচ্ছি পুষে রাখা মায়া
যেটুকু জেগেছো বাসর থেকো অবিকল
রাত, যে আব্দারে ভেঙেছো নির্মাণ
কাজল দিয়েছো ধুয়ে
পাতার অসুখ জেনে স্থির চাঁদ
হারানো সখ্যতায় থেকো অনির্বাণ
অমুলক নয় বৃষ্টি ও প্লাবন
মেঘেরা পালায় ফেলে মন
কেউ যদি না বলে প্রেম
নদীকে দেখা তবু বারণ ?
স্পর্শদিনের ছায়া আরও কাঁদ
শ্রাবণের বেদনা-বিষাদে
প্রণয়ের সুখ জেনেছি কঠিন
তার চেয়ে ভালো অবসাদ
ধরো তেপান্তরের মাঠ, ধরো খলসেমারির বিল
দুপুর প্লাবনে ধানগাছ কথা, শন, নাটাগাছে ঝুলে থাকা রামায়ণ
এবং দুর্গা তুমি পুবালি বাতাস
অপু হয়ে আলপথ নিশানা নিরুদ্দেশে ছুঁয়ে যাচ্ছি বিশ্বাস
স্বপ্নময় একাকী বল্গাহীন হয়েছি দেখো কেমন বিলাস
তৃষ্ণার হাহাকারে কেঁদে ফেরে মন
বুকের ভেতর দূর্বার কালবৈশেখী ঝড়ে
নিজেকে নিজেই ভাঙ্গি আঘাতে আঘাতে
অন্ধকার নিমজ্জিত দুঃখ রাত্রিতে।
আলোকিত জীবনের দ্বার......
খুঁজতে খুঁজতে দুহাতে জড়াই অন্ধকার,
দুঃখের বোবা পাথর জীবনের দরজায় সাঁটা
আলোহীন জীবন নিয়ে শুধুই বেঁচে থাকা।
জীবন ‍আছে বলেই মৃত্যু অনিবার্য
একদিন সবাইকে মৃত্যুর স্বাধ গ্রহন করতে হবেই
তাই আমাদের সবার উচিত যারা মৃত্যু বরন করেছেন
তাদের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে তাদের অত্মার শান্তি কামনা করা
আর যারা বেচেঁ আছেন তারা যেন সুখী সুন্দর ও মঙ্গলময় থাকেন
পরম সৃষ্টিকর্তার কাছে এই আমাদের প্রার্থনা।
মন বাদ দিয়ে শরীর হয়না
ভালোবাসা ছাড়া মানুষ বাঁচে, সে বাঁচা যন্ত্রণা
মাঝে মাঝে ঘুম ভেঙ্গে যখন তোকে দেখি
ভালোবাসা জানান দেয় আমায় বন্যা বিধস্থ দু-আঁখি
আমার শোবার ঘরে হাজার জোনাকির আলো
মায়াবী বিচরণ সবকিছু করে দেয় এলোমেলো
কতটা ভালবাসলে মানুষ সুখী হয়
স্বপ্ন্বের মধ্যে এসে বলে যাস আমায়
তুই আমায় ভালোবাসিস সে আমার অহঙ্কার
তুই ওষ্ঠ রাখিস ওষ্ঠে সে আমার অলঙ্কার
লক্ষ কোটি রোমকূপ কেঁপে উঠে তোর ছোঁয়ায়
কেন্দ্রবিন্দুতে বান ডাকে অসময়
ভালবাসলে মন নিঃস্ব হবেই
মন নগ্ন হলে পরিপূর্ণতা পাবেই
তোর চোখে দেখেছিলাম নগ্নটা
সে আমার অন্তরের গহন গভীর নীরবতা
তোমার স্নানের জলে লুকোলে সূর্যছায়া
উঁকি দেয় তিতাস হাওয়া
অবগাহনে নুপুর খেলা
নিরালা বিজন সন্ধ্যাবেলা।
জেনেটিক রিফর্মেশন চলছে প্রজন্মে প্রজন্মে
হিংসায় উন্মত্ত মানব
আজ বুঝি বন্যদের চেয়েও বেশি হিংস্র,বর্বর!
প্রজনন চলছে তিরিক্কি বেগে এগিয়ে
বনের পশুরাও পড়ে গেছে পিছিয়ে,
জঙ্গলে আজ বৃক্ষ দুর্লভ
বদলে কংক্রিটের জঙ্গল করেছে অধিগ্রহন
তাতে বাস করে বাঘের চেয়েও হিংস্র প্রাণী!
বাতাসে সভ্যতার বিষ,
আকাশে অসহায়তার বাদল—
এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ছে
নানা অসুখের রক্ত চক্ষুর শাসন!
যারা শুধু অপর প্রজাতিই হত্যা করে ক্ষান্ত নয়,
তাদের দেখলে আজ আমার ভীষণ ভয় হয়,
ভয় হয়,ভয় হয়...
স্বপ্ন ভেজা চোখে
কষ্ট নদীর ঢেউ
আছড়ে পড়ে কূলে ।
অনন্ত কাল ধরে
ভেসে চলেছি মৃত্যু স্রোতে ।
তৃষ্ণার আগুনে পোড়ে দু’কূল,
দুঃখ নদী পোড়ে না।
বুক ভরা কষ্টের গন্ধরাজ
অবিরাম কষ্ট গন্ধ ছড়ায়।
নিকষ কালো রাতে
প্রতীক্ষার আগুনে পুড়ে।
নরম কাঁদা একবার পুড়ে যদি ইট হয়ে যায়, তারপর যতই পানি ঢালা হোক না কেন, তা আর গলে না | বরং ভারি ও শক্তিশালী হয়| মানুষের মনও ঠিক এ রকম,একবার কষ্ট পেলে এরপর শত আবেগেও তার কোন পরিবর্তন হয় না |