সোমবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৬

খুব বেশী চাওয়া ছিলোনা আমার
সামান্য কিছু হৃদয়ের ঋণে
গুছাতে চেয়েছিলাম জীবনের দীনতা,
তাও সইলোনা কপালে।

সচ্ছলতার মুখ দেখা হলোনা
ভালোবাসার আরশিতে,
দেনায় দেনায় এ জীবন
দেউলিয়া হয়ে গেলো।

যতোবার নিজেকে ফেরাতে চেয়েছি
তোমার স্মৃতির চারপাশ থেকে,
প্রতিবারই থেকে গেছি
তোমার চতুর্দিকে শূন্যতাকে ঘিরে।

আমার জীবন ভালোবাসাহীন গেলে
কিছুই হবেনা তোমার,
এই সত্য জানার পরও মন
ভালোবাসে তোমাকেই ঘিরে থাকা।
হৃদয়ের ক্ষতে বেদনার ছায়াসংসার,
বিচুর্ণ বৈভব নৈঃশব্দিক দূরত্ব পাড়ি দেয়
দ্বিপ্রহরের রাত্রিতে পূর্ণিমার চাঁদ,
কেউ একজন হাতরিয়ে পূর্ণিমা খুঁজে তোমার অলি গলি, আনাচে কানাচে,
এখন ও পূর্ণিমা খুঁজে তোমার স্নিগ্ধতায়,
জোনাকি মেখে হাত বাড়িয়ে রয়,
যে তোমার ভালবাসায় চিরকাল অন্ধ।
কতইবা পথ পাড়ি দিলাম,
তোমার স্নিগ্ধতার অলি গলি, হৃদয়ের কুঠুরীতে,
চারদিকে শুধু অগাদ জল, নীল আর নীল।
অন্তহীন নীল সমুদ্রের নীচে চিরন্তন নিঃস্তবতায় ঘুমিয়ে আছে প্রবাল।
কথায় কথায় রাত নেমে আসে কখনো কখনো,
চোখের পাপড়িগুলো ক্লান্ত হয়ে আমার ভাষা মেনে নেয়।
ইচ্ছা করে মনের গভীরে যতটুকু ঢুকতে চেয়েছি,
তারচেয়েও বেশী গ্রাস করেছি।
পোড়া মনে যতটুকু ক্ষত,
ভালবাসায় তা সারানোর ব্যর্থ প্রয়াস।
বিস্ময়ের দ্রাঘিমা রেখা, ভালোবাসার অক্ষ রেখায় মিল হয়না,
তবুও দুজনের অনেক চেনা জানা।
পথ হারিয়ে দিগন্তে ফেরি করি গোধূলির কিছু রং ।
অন্তহীন নীল সমুদ্রের প্রবালের ভাঁজে ভাঁজে খুঁজে বেড়ায়
তোমার শরীরের রসায়ন।
ভালবাসা সে তো ছোট্ট একটা শব্দ
কিন্তু তার ব্যাখা করে শেষ করা সম্ভব হবে না..
ভালবাসা মানে কাছে পাওয়া তা সঠিক না....
অনেকেই আছে যারা দুরে থেকেও ভালবাসে....
ভালবাসা মানে নোংরামি না....
ভালবাসা মানে যদি সে কাছে নাও থাকে তাহলে
তার অনুভুতিগুলো ফিল করা....
ভালবাসা মানে দিনে ১০০বার I love u
বলা তা না....
ভালবাসা হচ্ছে তাকে নিজের চেয়ে বেশি বিশ্বাস করা....
ভালবাসার মানুষের কাছে কিছু আশা করতে পারা যায় না...
বরং তার ছোট্ট গিফট গুলোকে অনেক বড় করে দেখা...
ভালবাসা মানে আবেগের বসে তাকে চুমু খাওয়া নয়
তার সাথে রুম ডেট করা তা না...
ভালবাসা হচ্ছে তার সবচেয়ে বড় বিপদের
সময় তার হাতে হাত রেখে বলা
"কিছু চিন্তা কর না সব ঠিক হয়ে যাবে"
ভালবাসা মানে তার একটু অবহেলায় তাকে ভুলে যাবে তা না
ভালবাসার মানে হচ্ছে তার জন্য সারাটা জীবন প্রতিক্ষা করা...
ভালবাসার মানে এইটা না যে দুইজন দুইজনকে ভালবাসতেই হবে
ভালবাসা মানে নিজেকে এমন কিছু করতে হবে যেন
সে নিজেই তাকে ভালবাসি বলবে...
ভালবাসা মানে যে শুধুই KFC তে খাওয়াতে হবে তাই না...
ভালবাসা হচ্ছে রাস্তার পাশে একপ্লেট ফুচকা ভাগাভাগি করে খাওয়া..
ভালবাসা মানে তার সম্বন্ধে সব সময় পজেটিভ চিন্তা করা...
ভালবাসা মানে তার সাথে সারাজীবন এক ছাদে কাটিয়ে দেয়া নয়....
ভালবাসা মানে হচ্ছে তার এক ঝলক দেখার জন্য ঘন্টার পর
ঘন্টা অপেক্ষায় থাকা....
ভালবাসা মানে তার একটা মুচকি হাসি দেখে নিজেকে
পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি মানুষ মনে করা....
যে আকাশ আমাকে আশ্রয় দিল
তাঁর দিকে তাকিয়ে নিঃশ্বাস ফেল না
আমি খুব কষ্ট পাবো, তোমার নিঃশ্বাস শুনে।
আমার প্রহর গুনে
তুমি অশ্রু ফেলো না,
কারণ, ঐ অশ্রুতে আমি সিক্ত হব না।
কখনো ভুল করে এই পথে এসো না।
দীঘির কাক চক্ষু জ্বলে পা টা ভিজিয়ে
স্মৃতিটুকু শ্মশানে রেখে এসো।
তুমি সবুজ হয়ে ফিরে যেও,
তোমার সবুজের ছায়া আমি হব না,
আমার প্রহর গুনে
তুমি অশ্রু ফেলো না।
যেটুকু পথ মাড়িয়ে তুমি চলে গেলে
সেটুকু পথে ফিরে এসে যদি আমার দেখা না পাও
আরেকটু সামনে অগ্রসর হলে,
উচু টিলার উপর যেখানে শুকনো খেজুরের ডাল পোতা আছে,
সেখানে এস থেমো,
নিরবভাবে কিছুটা সময় পার করো।
এই আমার নয় অভিমান,
ভালোবাসার নীরব প্রস্থান।

শনিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৬

একটা সত্য শুধু জেনে যাও
আমার নিঃসঙ্গ রাতের আকাশে
যে খসে পড়া তারাটা দেখে
জীবনে প্রথম আমি কষ্টে কেঁদেছিলাম,
সেটাই ছিলে তুমি ।
আমার ভুলেই আমৃত্যু নির্বাসন আমার
জীবনের প্রথমই দেখেছি
ছদ্মবেশী সুখের কোকিল,
আর শুনেছি ভুল গান,ভুল করেই
দেখেছি ভালোবাসার হৃদহীন কপতটা।
তোমার কাছে কিছুই লুকাইনি আমি
দিবালোকেরমতোই মেলে ধরেছি
জীবনের সব সত্যকে,
আমার দুঃসহ কষ্টের প্রান্তরে
তোমার চেতনার বৃষ্টি ঝরুক চাইনা।
আমার নিজস্ব স্বপ্নহীন আঁধারে
আমি কোন চাঁদ চাইনা,
আসলে আমার কোন স্বপ্নের রাত নেই
আমার কোন সুখময় দিন নেই,
আমি আঁধারেই খুঁজি জীবনের রূপ।
ভালোবেসে হিসেব করিনি
পানির দামে বেঁচে দিয়েছি জীবন,
আমার বুকের নীচে কঙ্কাল হয়ে
পড়ে আছে মরা চাঁদ,
যার আলোয় তুমি জীবনের মুখ দেখতে চাও।
গলায় জোড় দিয়ে ডাকি,
নিরবভাবে ডাকি,
মনে মনে ডাকি,
ক্ষণে ক্ষণে ডাকি,
সারাদিন ডাকি,
অন্তরে ভেতরে বাহিরে এই কোন ফাঁকি।
সে কতটুকু উঁচুতে?
একটুকু ছায়াও স্পর্শ করা যায় না।
তৃক্ষ দৃষ্টি রেখে সারাদিন খেলা করে,
নিজেকে চাবি আটা খেলনা গাড়ি মনে হয়।
সে কতটুকু দূরে?
সে কোনদিনও আসে না।
সে কোথায় থাকে?
আছে কি তাঁর কোন খবর?
ঠিকানা চেয়েছিলাম,
খুজেছি আমার কুঁড়েঘরে,
কতটা অসহায় কোন কূলে আমি?
কখনো কি তার একটুকুও ভাল লাগে নি?
যে বুকেতে জমানো হাজার ব্যাথা,
পুষে রাখা হৃদপিন্ডের কষ্টের কথা।
বিবর্ণ হয় যত অনুভূতি,
অসুস্থ নগ্ন বিবেকের অসুস্থ জ্যোতি।
সময়ের সাথে বদলে যায় বিবর্ণ জীবন,
না পাওয়ার হিসেবে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ।
অন্তহীন ঝড়ের দগ্ধ পূর্বাভাস,
শূণ্যতার আর্তনাদে মৌনতার চারপাশ।
অশুদ্ধতার মাঝে শুদ্ধতা সর্বনাশ।
কোথায় কোনখানে আছে স্বস্তির নিঃশ্বাস?
জীবন-যুদ্ধে পরাস্ত সৈনিকের বিলম্বিত ভাগ্য গণনা
আজীবন জিইয়ে রাখা দাসত্বের যাতনা।
মিথ্যের আকাশে বহুরূপী ঘুড়ি,
উড়িয়ে চলে শুধু মিথ্যের বহর।
শ্রাবণের অঝোর ধারায়
ভিজেনা ধুলোময় বুকের আগুন,
বুকের পাঁজর বেয়ে ঝরে পড়ে পুঁজ
অতৃপ্তি আর করুণার অনলে পুড়ে
জেগে থাকি নিঃসঙ্গ একা একা,
অবহেলায় মরে যাওয়া ভালোবাসা
মাথা তুলে দাঁড়ায় না।
তুমি পাশে নাই ভাবলে
প্রলয়ের ঝড় উঠে বুকের বাগানে
সমাজ সংসার মিথ্যে তুচ্ছ মনে হয়,
দহন আর অতৃপ্তির অগ্নি ছাড়া
মনে হয় কিছুই নেই জীবনে।
ভালোবাসার বিস্তৃর্ণ সবুজ বৃক্ষের
শাখা-প্রশাখায় তোমার অনুপস্থিতি
আমাকে উন্মাদ করে দেয়।
অপরিচ্ছন্ন সভ্যতায় তোমার বিপন্ন বিবেকে ভাসে তাঁর প্রান
তোমার পাপে অভিশপ্ত তাঁর জীবন,
তোমাকে অশান্ত পৃথিবী জয় করে দেয়া,
কিংবা তোমার সুখের জাল বুনন,
এই শুধু তাঁর কাজ।
তাঁর নিঃশ্বাসের হাওয়ায় দুলছে তোমার নরম শয্যা।
তোমার তরেই কি শুধু বিকিয়ে দিবে তাঁর যত আছে সব!
বিবেকহীন পৃথিবীতে অবিবেকের কেন এই মোহ উৎসব?
আমি জানি, তোমার চোখ কখনো ভিজে না,
ওখানে এক ফোটাও অশ্রু নেই,
লোভ আর রক্তের নেশায় মত্ত তোমার চোখ,
হিংসা কিংবা প্রতিহিংসা নয়,
তোমার চোখ দেখে শুধু বিত্ত, বৈভব।
গলিত লাশ গুলো তোমার দিকে তাকিয়ে রয়।
তাঁরা কখনো তোমার শত্রু ছিল না,
তুমি কখনো তাদের নাম জানলে না,
কখনো জানলে না কি তার পরিচয়?
হয়ত কখনো দেখনি তাঁকে,,,,,,,,,,,,,,,,
এ ভাবেই চলে জীবন,হয়তো চলবেই
সোনালী স্মৃতির কিছু কোমল পালক
রেখে একদিন আমিও ছাড়বো
অতৃপ্ত জীবনের সবুজ মায়া।
নিয়তিটুকুই ভাগ্যে বর্তে ছিলো আমার
তারপর চলে যাওয়া শুধুই ব্যর্থতা নিয়ে,
একা একা অসীম অজানায় যেখানে
আমার কবিতার বিষণ্ণ শিশির ঝরে পড়ে।
মাঝে মাঝে কি নিয়ে কবিতা লিখবো
ভাষা খুঁজে পাইনা,
মনে হয় সব বুঝি হারিয়ে ফেলেছি
তবু শূন্য মগজ-মেধা নিয়ে কলম ধরি।
ভয় হয় আজ কিছুই হবেনা
মনের মতো কিছুই হয়না,
তবু লিখি এই আশায়
হয়তো একদিন কাংখিত কিছু হবে।
আসলেই কি হয়?হয়েছে?হবে??
হিসেব করিনা,জানি হবেনা,
হয়নি কখনও
তবু খড়-কুটো কুড়িয়ে পথ চলা।
না হওয়ার চেতনা আজ বৃষ্টি নামায় বুকে
‘হবেনা কিছুই’ এই ঘন দীর্ঘ শ্বাসের
কালো মেঘ আমার আকাশ থেকে
আকাশে প্রলম্বিত হয় কেবল ।
এক জীবনে কতোটা হারায় মানুষ
জানিনা,শুধু জানি হারানোর নেশা
আমায় বার বার আচ্ছন্ন করে
আমি পেতে গিয়ে ফের হারাই
নিজেকে হারিয়ে খুজি।
তীব্র অন্ধকারে তাঁর আলোর অবসর
দূরত্বের ব্যবধানে জেগে শুন্য অনুচর।
দূরত্ব কি বুঝে, না ছোঁয়ার যন্ত্রনা?
চিরকুমারী রাতের এইটুকু কি সান্তনা?
প্রশস্ত বুকে শূণ্যতার দীর্ঘ উপখ্যান,
সূর্যোদয়ের সাথে গোধূলির অভিমান।
ঠাণ্ডা আগুনে আজ দুজনের স্নান,
অপরূপ নিঃস্তবতায় পায় ভালোবাসা প্রান।
আনন্দ ভালবাসায় ক্ষত বিক্ষত কুপি,
সারারাতের রচনায় বাসরের পান্ডুলিপি।
আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে ছিলাম অপলক,
ভাষাহীন ব্যাকরন খুঁজে এক জোড়া চোখ,
আমি তাঁর হাতে রেখে ছিলাম হাত
ভাগ্য রেখায় তন্ন তন্ন করে খুঁজে ভালোবাসা সুদীর্ঘ রাত।
সে নির্বাক,
আমি অবাক,
দুজনের অপলক চোখ গুলো ক্লান্তি ভুলে ,
সারারাত পার করি জোনাকি তুলে।
তৃষ্ণায় দুজনের দুটো ঠোট কাঁপে,
সারারাত জিইয়ে রাখা বাসরের চাপে।
পা দুটো যায় টলে,
ঠোট দুটো কি বলে?
ভাষাহীন চোখ বুঝে,
শান্তিরা শয্যা খুঁজে,
দেহ কোমল নিথর,
ভাষাহীন হয় স্বর
অবশেষে ফালগুনীর
শীতল দেহ।

বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৬

আমার আজকাল কি হয়েছে
কিসের এক অজানা আকর্ষণ
আমাকে আমার জগতে
সব কিছু ভুলিয়ে দিচ্ছে।
আমার সাজানো চারপাশ
লন্ড-ভন্ড হাস্নাহেনার ঝাড়
যতো কাছে সব ততো দুরত্বের
পর্দা ঝুলিয়ে দিয়েছে সমাজ,প্রকৃতি।
আজকাল মন বড় বেশী
উচাটন থাকে হাতের কাছের
দরকারী জিনিসগুলির কথা
বেমালুম ভুলে যাই।
বুকের ভেতর ফেলে আসা
দুরন্ত শৈশবের
টিনের চেরাগটি হঠাৎ করেই
ঢিপ ঢিপ জ্বলতে থাকে।
চোখে চশমা পরেই
ঘরময় খুঁজে বেড়াই
আয়নার সামনে গিয়ে হেসে ফেলি
ভুল করা সলজ্জ কিশোরের মতো।
পাঁজরের হাড়ে হাড়ে
মরুর লু হাওয়ারমতো
অদ্ভুত এক সাদা কষ্ট
অবিরাম করতালি বাজায়।
দীঘির কাক চক্ষু জ্বলে পা টা ভিজিয়ে
স্মৃতিটুকু শ্মশানে রেখে এসো।
তুমি সবুজ হয়ে ফিরে যেও,
তোমার সবুজের ছায়া আমি হব না,
আমার প্রহর গুনে
তুমি অশ্রু ফেলো না।
এই আমার নয় অভিমান,
ভালোবাসার নীরব প্রস্থান।
যে আকাশ আমাকে আশ্রয় দিলো
তাঁর দিকে তাকিয়ে নিঃশ্বাস ফেল না
আমি খুব কষ্ট পাবো, তোমার নিঃশ্বাস শুনে।
যেটুকু পথ মাড়িয়ে তুমি চলে গেলে
সেটুকু পথে ফিরে এসে যদি আমার দেখা না পাও
আরেকটু সামনে অগ্রসর হলে,
উচু টিলার উপর যেখানে শুকনো খেজুরের ডাল পোতা আছে,
সেখানে এস থেমো,
নিরবভাবে কিছুটা সময় পার করো।
আমার প্রহর গুনে
তুমি অশ্রু ফেলো না,
কারণ, ঐ অশ্রুতে আমি সিক্ত হব না।
কখনো ভুল করে এই পথে এসো না।

মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৬

গোপন প্রেমের মহানন্দা ভিড়িয়ে দিতাম কোনো এক সুখম উপকুলে
তোমার কারুকর্মের দোয়াত ছুঁয়ে অতি প্রাচীন কলমে
রুদ্ধশ্বাসে লিখতাম প্রতিদিন হৃদ-প্রেমের কবিতা
বোনা যেত আরো কিছু স্বপ্ন সীমাহীন বিপুল আকাশে
সময়টা জানা গেলে একটা হীরের আঙটি গড়াতাম তোমার অনামিকা মেপে
কৈলাস শৃঙ্গের হিমবাহ ভেঙ্গে আরেকটি ব্রহ্মপুত্র দিতাম গড়িয়ে বঙ্গোপসাগরে

রাজসিক অপচয়ে বড় নিঃশব্দে ফুরিয়েছে জীবনের সব উপার্জন
পথ চলতে কখনো তবু হাত চলে যায় মনের পকেটে
সিকি আধুলির মত ঝনঝনিয়ে কাঁদে এখনো খুচরো কিছু সময়
বিকেলের “যাই যাই” রোদে প্রলম্বিত ছায়া দিগন্ত ছোঁবার আগে
জীবনের বাকী পথটুকু মাপা গেলে বেশ হত!
জীর্ণ প্রাসাদটা ঘুরিয়ে দিতাম অজানু, --সুবর্ণ কোনো নগরীর দিকে
নিভৃতের সেই বাগান বাড়ীতে প্রতিশ্রুত চুনকাম সেরে
দক্ষিণের বারান্দায় ফোটাতাম দোলনচাঁপা, রজনীগন্ধা আর কাঠবেলী;
তোমার প্রিয় সব সাদাপরী ফুল বাতাসে তুলতো সুনিপুণ ঢেউ...........
শিশিরে ভিজে যায় অন্ধকার,
নীল সমুদ্রের দেশে ভাসমান এক জনশূন্য দ্বীপে
নোঙ্গর ফেলে এক জীবনের তোমার আমার ভালোবাসা।
আমাদের ভালোবাসা,
এখানে কুল পায়, দিক পায়।
আজ আমাকে কে ফেরাবে?
আজ আমাকে কে থামাবে?
এই দ্বীপের নাম দিলাম ‘ফালগুনী’।
সারারাত জেগে জেগে তোমার গোপন অন্ধকারে,
এঁকেছিলাম একটি ভোরের ছবি,
চোখে ও শরীরে এঁকে দিলাম মেঘ বৃষ্টি ঝড়,
সারাদিন রূপ দেখে দেখে তোমার খুলে রাখা,
কবিতার খাতায় চষে বেড়িয়েছি।
তোমার কাব্যিক শরীরে,সমুদ্রের ঢেউ উঠে।
কে ফেরাবে আমায়?
এই সৈকতে আমার চক্ষু স্থির,
তোমার চোখে চোখ রেখে
চোরাবালিতে যদি পা ফসকে যায়,
কে বাঁচাবে আমায়?
তবুও, আজ আমি ফিরে যাবো না।
তোমার দু’চোখে রৌদ্রের আভা,
বুক জুড়ে তোমার শুধু ফুল আর মধু,
কুমারী শরীরের রস,
লোভ হয়, খুব লোভ হয়,
কে থামাবে আমায়?
নীল নক্ষত্রের দেশে,..................
এ পিঁপড়েদের কোন দেশ নেই রাজা নেই
মৃত্যুর অনন্ত স্রোতে ভেসে যেতে
এক একটা পিঁপড়ের জন্ম হয়,
অসময়ে কবরবাস হয় মৃত্যুর দ্বীপে।
এদের বিশাল অংশ পিষে যায়
এদের বিশাল অংশ পুড়ে যায়,
তবু অক্ষত -অধরা থাকে;
নেপথ্য বিষবৃক্ষের-শিকড়।
ওরা জানেনা ওরা অবাঞ্চিত
ওরা জানেনা ওদের বাঁচার অধিকার নাই,
ওরা জানেনা এই খাবারের লোভ
ওদের মরণের কারণ হতে পারে।
ওরা জানেনা ওরা আবর্জনা
খাবারের লোভে বানের জলে
দিক্ চিহ্নহীন ভেসে যেতে পারে
এক জগত থেকে অন্য জগতে।
আমি আজ মানুষ দেখিনা
শুধু দেখি দল বেঁধে,
পুড়ে যাওয়া পিষে যাওয়া
মরে যাওয়া লাল পিঁপড়া।
বড় বেশী খাবারের লোভ ওদের
খাবারের আশায় গ্রাম থেকে শহর,
সারা দেশ চষে বেড়ায় ওরা
একমুঠো খাবার একটা গর্ত থাকার।
বাড়ে কীট পতঙ্গ, ভীমরুলের আনাগোনা।
বাড়ে প্রতীক্ষা।
ভালোবাসা মুক্তি পায় না।
ধুকে ধুকে ক্ষয় হয় তাঁর শ্বাসনালী,
নিষ্প্রাণ হয় ভালোবাসা।
ভোর হতেই আবার কীট পতঙ্গ, ভীমরুলের দল,
আবার শুরু করে।
প্রতীক্ষায় যায় রাত দিন সপ্তাহ মাস বছর,
আমার ভালোবাসার চারিপাশে
কীট পতঙ্গরা ডানা ঝাপটায়,
ভীমরুল ঘোরে পালে পালে,
বাগানের হাত থেকে ফসকে যায় ফুল।
সূর্যাস্তের ক্ষণিক সময় নেওয়া
জ্যোৎস্নার বাগানে জোনাকির আত্মহত্যা,
চাঁদের জীবন নক্ষত্র বিতাড়িত করে,
সারারাত নির্ঘুম চোখ মেলে রয়েছি প্রতীক্ষায়।
আমি, শেষ গোধূলি বেলায়।
স্বপ্নের বিষাক্ত রঙে মিথ্যেরা গড়ে,
নরকের যাতনাময় প্রাসাদ,
ছিঁটকে পড়া জীবনে কিসের আস্বাদ?
অন্তহীন পথ শেষে দাঁড়িয়ে আছি
ভুল শুধরে নিলে আর কি থাকে বিবাদ?
ফিরে এসো, ফিরে এসো
না হয় সাথে নাও,
দুই হাত বাড়িয়ে আছি অনন্তকাল,
ফিরে এসো, তুমি ফিরে এসো,
অপেক্ষায় আমি,
প্রথম গোধূলি থেকে শেষ সকাল।
তোমার সমস্ত শরীরে উছলে পড়া
অবাধ্য জোয়ারের বিচিত্রতায়
সূর্য কাঁপছে, সূর্য কাঁদছে।
চাঁদ ফেটে জানিয়ে দিচ্ছে পূর্ণিমার অস্তিত্ব;
জ্যোৎস্নার লাগামহীন জোয়ারে
ভেসে যাচ্ছে প্রকৃতি।
আর আমার শুন্য বুকে শ্বাসের ঘাটতি।
নীলাভ আকাশ ফেটে অঝোর ধারায় ঝরছে নীল
বাতাসের জঞ্জাল দূরে সরিয়ে,
গুনে গুনে শ্বাস নিচ্ছে খরা পীড়িত হাওড় বিল।
তোমার গন্ধ শুকে কাটিয়ে দিতে পারি সুদীর্ঘ রাত
বিশুদ্ধতায় পাড়ি দিতে পারি সুদীর্ঘ পথ।
ফিরে এসো, ফিরে এসো,
আর অপেক্ষা নয়,
আকাশ কাঁদছে আজ সব অশ্রু দিয়ে,
ফিরে এসো, ফিরে এসো,
এই পৈাষে শিশিরের জলোচ্ছ্বাসে ।
অশান্ত ঢেউয়েরা ফণা তুলে,
শরতে সবুজ পাতার ক্রন্দন,
মেতে আছে সবে অশান্ত খেলায়,
অন্তবিহীন পথ পাড়ি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।
ফালগুনী শুধু তোমারী জন্য আমি আমি অমি ।।
স্বাধীনতা পেতে রক্ত আমি দিয়েছিলাম একাত্তরে।
আমার রক্তে পেয়েছিলে ক্ষমতা,মনে করে দেখ রাজা,
তোমার বিলাস করতে পূরণ আমার আজ লাশ সাজা।
চারবেলা সাইরেন বাজিয়ে চলবে তোমার গাড়ী,
আমি কেমন প্রজা তোমার,এ কাজটুকু যদি না পারি!
চাওয়া পাওয়া নেই কিছু যদি পড়ে তোমার চোখ,
পতাকাটা অর্ধেক নামিয়ে দিয়েযদি পার, করো একটু শোক।

একটা প্রাসাদের স্বপ্ন তোমার বড় নির্মম প্রাসাদ,
আমি পারি করতে পূরণ তোমার বিলাসি স্বাদ।
আলো ঝলমল করা ভিতর চাকচিক্য দেয়াল জুড়ে,
চোখ হবে অন্ধ সবার, তোমার প্রাসাদের সুরে।
সেই রকম প্রাসাদ হবে,লাগবে ইট, বালি, চুন ,
লাগবে আমার শ্রম ঘাম লাগবে কিছু খুন।
এর পরে প্রাসাদটাকে করতে আরও শক্ত,
লাগবে আমার মা, বোন লাগবে ভাইয়ের রক্ত।
রক্ত গড়িয়ে পড়ছে দেখ আরও রক্ত কি লাগবে?
রক্তে দিতে প্রান পণ প্রজা তোমার লড়বে।
রক্ত ক্ষুধা, রক্ত সুরা,তোমার প্রকাণ্ড চাওয়া,
ঘুম নেই কারো, রক্ত খুঁজো,চাই প্রাসাদ পাওয়া।
ব্যস্ত রাজা, ব্যস্ত রানী, ব্যস্ত নেতা মন্ত্রী,
রক্ত খুঁজতে ঢাক ঢোল,মন্ত্র বাজায় যন্ত্রী।
প্রাসাদ হবে, প্রাসাদ হবে,কত রক্ত খাবে?
আমার রক্ত বিনিময়ে,প্রাসাদ তুমি পাবে।
রক্তে মাখা হবে সিমেন্ট,বালিতে, সুরকি, ইটে
উঠবে গড়ে প্রাসাদ বাড়ী ঘাম ঝরানো পিঠে।
প্রাসাদ পেলে, রক্ত পেলে ক্ষমতার জোরেশোরে.............
যন্ত্রনায় ককাচ্ছি অভূক্ত সাদা বিছানায় পড়ে,
পাঁজরের তলায় উল্টে যাচ্ছে কবিতার সৌরস্থাপনা।
শেষ পংক্তি ছাড়া ছাড়া মনে পড়ে ঠিক যেনো
আমার খুড়িয়ে চলা বর্তমান জীবন
ঝড়োরাতে ভেসে যাওয়া খড়-কুটোরমতোন।
আজ ঘুম থেকে উঠে দেখি মাটির মূ্র্তিরমতো,
আঘাতে আঘাতে ভেঙ্গে গেছে আমার কবিতার প্রতিমা।
মৃত্তিকার সুপ্ত উর্বরতারমতো মনে করার চেষ্টা করি,
প্রথম পংক্তি ভুলে গেছি প্রথম না বলা প্রেমেরমতো।
মাঝ পংক্তি ধূসর মরুরমতো ঝলমলে মরিচিকা,
এই আছে এই নাই ভীষণ ধাঁধাঁর গভীর আঁধার।
সেই শেষ পংক্তিই শুনতে চায় এক পাগল কবি,
আমি তাকে বলি যতো টুকু মনে পড়ে ঠিক এমন।
'সময়ের আবর্তে বদলে গেছে সব কিছু,
হয়তো বদলে গেছো তুমি.........
আমি কিন্তু আজও অনাবাদী শব্দচাষী।''
বুকের ভেতর পাড় ভাঙ্গার শব্দ দীর্ঘশ্বাসের ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ,
নিঃশ্বাসের নিচে জমা রাখি অব্যক্ত দুঃখ।
তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকা কি দূর্বিসহ
কষ্টের তা বুঝাতে পারিনি কোন দিন।
কি করে এতোটা পাষাণ হলে
তুমিতো আমার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলে,
একবারও ভাবোনি মরন হতে পারতো আমার।
যতটুকু বলি তারও শত গুন অকথিত থাকে
নিষ্ঠুর স্তব্ধতাকে ছুঁয়ে।
দেহের অংগ অপসারিত হলে সবাই দেখে
অথচ জীবনের বিশাল অংশ নিয়ে নির্দ্বিধায়
নীরবে কেটে গেলে জীবনের নাট্যমঞ্চ থেকে
অভিনেতারমতো বিজিত হেঁটে গেলে বসন্তের দেশে,
শূন্য দৃশ্য পটের হাহাকার একবারও ছোঁয়নি তোমায়।
হে আমার শিশিরের নম্রতা কি করে এতো পাষাণ হলে?
আমাকে করলে নাক্ষত্রিক মমতার নিঃসঙ্গ আকাশ।
তোমার একান্ত আস্তানায় ফিরে যাবার শ্বাশ্বত সত্য
আমাকে খুব বেশী অস্থির করে তুলে নিজের ভূবনে।
ভয়াল জনহীন অন্ধকারে থোকা থোকা জোনাক পোকারমতো
জ্বলন্ত কষ্টগুলির আগুন একবারও দৃষ্টি কাড়েনি তোমার।
তোমার দু’হাত একবারও ছুঁয়ে দেখেনি ভয়াল শূন্যতা,
অথচ এই হাতে হাত রেখে সাগরপাড়ি দেবার
দূর্দমনীয় ইচ্ছা ছিলো আমার।
কি নির্মম নিষ্ঠুরতায় মনিহারা ফণিরমতো
মূল্যহীন করে দিলে দুরভিগ্রহ ধরাতলে।
এ চোখে চোখ রেখে যখনই বলো চলে যাবে,
বেদনার অন্তিম আর্তি বেজে উঠে অস্তিত্বের সমস্ত তন্ত্রীতে।
কত তৃষ্ণা বুকে ধরে, কতনা প্রহর গুনে গুনে,
প্রতীক্ষার দেয়ালটিতে ছিলাম বসে
হৃদয়ে হা হা কার, শূন্যতার দীর্ঘশ্বাস,
আঁখি কোণে কতনা জল ফেলে ;
অথচ তার আমার কুটির ছিল পথের এপাড়-ওপাড়ে।
একই আকাশ, একই জমিন, একই রাজপথ, বাজার-ঘাট...
ডিঙ্গাতে নেই, পেরুতে নেই, দুয়ারে নয় ঠক ঠক,
ঘোষিত অনধিকার প্রবেশ নিষেধ ১৪৪ ধারার রেড-এর্লাট
মনে হয়, আমি যেন অভিশপ্ত মানুষ এক
কোনো দুঃখ মরে না যার
কুয়াশায় দাগ কেটে যায় আলো,
হারানোর ইচ্ছা অনিচ্ছায়
খুঁজে ফিরি নিষিদ্ধ ইরেজার।
সারাবেলা অন্ধকার বুকে বসে থাকি
সকাল দুপুর অহেতুক কেটে যায়,
জমে ওঠে ঘাসফড়িং প্রজাপতি
কোনো এক বিকেল বেলায়।
টের পাই সে জেগে আছে
ঘুম চোখে তাকায় বারবার
বুকে ভালোবাসা নিয়ে সেও অপেক্ষায়
তার গল্পটা কেউ জানে না, হিসেবি সময়।
সব মানুষেরই একান্ত বিকেল থাকে,
থাকে ধুলো ওড়া গোধূলি, দুপুর
চড়ুইভাতি, কানামাছি স্মৃতি
কিংবা মধ্যরাতের কাঙ্ক্ষিত সুর।
যে পাওয়া যোজন যোজন দুরত্বে উজ্জ্বল
আমি তার স্বাদ পেতে চাই,
যে পাওয়া নৈকট্যে উজ্জ্বল
আমি তারও স্বাদ পেতে চাই।
নিজেকে সঁপে দিয়েছি তোমার মাঝে
তুমি আমার জন্মাবধি অপেক্ষার অণল
আমি কেবল তোমার দিকেই সদা ধাবমান।
জীবনের সকল প্রতিক্ষার উপমাকে ব্যর্থ করে
তোমাকেই শেষ গন্তব্য জেনে ভাসাই
জীবনের প্রদীপ মৃত্যুর উৎসবে।
তুমি আমার শেষ ঠিকানা,
হৃদয় খুঁড়ে খুঁড়ে তোমাকে খুঁজে ফিরি,
নৈকট্য-দুরত্বের পরিমাপ নির্ণয় করি ।
হাওয়ায় ভাসে বিমূর্ত সকাল,
শ্মশানে ছাই হয় সুখের রাত্রি,
কিভাবে আকার দিই?
যা কিছু আকারে ভুল ছিল,
চন্দবিন্দু, মাত্রা, কমা, কোনকিছুই অবশিষ্ট নেই,
ঘষা মাজা করে যতই বিশুদ্ধ করি,
খসে পরে শুধু কিছু খড়।
প্রতিমার ব্যথা,
আমার কথা,
প্রতিমার পিপাসা,
আমার আশা,
দিন রাত্রি সময়ের প্রবাহে
কখনো কখনো নিদারুন দাবদাহে,
কাদামাটি শুকনো হয়ে
ফাটলের অবকাশে,
তুমি সরল, কি তুমি গরল,
তুমি সুখী, কি তুমি দুঃখী,
বেদনার পরবাসে, নির্বাসনে আমি।
এই কষ্টের চাদর জড়িয়েও আমি তোকে ভালোবেসে যাই
আর এভাবেই সেই কষ্টগুলোও একসময় ভালোলাগায় পরিণত হয়.....
আর সেই কষ্ট কষ্ট সুখের মাঝেই যেন এক অদ্ভুদ ভালোলাগা
আর ভালোবাসার স্পর্শ খুঁজে পাই- তাই তো...... !
সবাই আমাকে তোকে ভুলে যেতে কত কারন দেখায়
কিন্তু আমি তোকে মনে রাখার একটাই কারন তাদের দেখাই-
আমি তোকে আজও ভালোবাসি সত্যি ভালোবাসি......
তাই তো এত কিছুর পর ও তোকে ভালোবাসে যাই- !
পারি না সেই সব কিছু ভুলে যেতে.........
প্রতিটাক্ষণ তুই আমাকে জড়িয়ে রাখিস......
কষ্ট নামক ভালোবাসার চাদরে ...।
সেই চাদরে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে খুব কষ্ট হয়--
খুব কষ্ট হয়, কতবার ভেবেছি ভুলে যাবো...
কিন্তু পরক্ষনেই এমন কিছু ঘটে যে ......
আমি আরও বেশি করে তোর ভাবনায় জড়িয়ে যাই--!
তোকে ঘিরে থাকা কিছু সুখ,
কিছু ভালোলাগা..........
কিছু নীরবতা কিছু উদাসীনতা.........
কিছু কষ্ট কিছু অপেক্ষা......
এসব কিছুই আমাকে এমন ভাবে...
ভাবিয়ে তোলে যে আমি সেই ভাবনা থেকে বের হতে পারি না ...!
কতটুকু হিসেবের পর পাওয়ার দুঃখ বেদনা পরিমাপ করা যায়?
অন্তর জ্বালিয়ে পুড়ে ছাই হলে কি
শুদ্ধ হয়?
ফুলের সৌরভের ছোঁয়া লাগেনি বলে কি
বিমর্ষ হয়ে যাবে জীবন?
স্বপ্নের কষ্টপীড়নে হৃদয়ের চোখে জল,
জীবনটা ধীরে ধীরে রুক্ষ হচ্ছে।
ডুবেছে দুর্দশার আঁধারে, ডেকেছে বৈষম্যের চাদরে,
বৈষম্যতার বাঁধভাঙা বিলাপে চাদর হারায় তাঁর অস্তিত্ব।
ইচ্ছের আকাশে আজ আর্তনাদের বজ্রকম্পন,
উঁই পোকার মত জীবন নিয়ে,
কেটে চলেছি দরজা, জানালা, বই, খাতা, পেন্সিল।
চাঁদের পৃষ্ট ধূসর হয়ে যায়,
ধীরে ধীরে সরে যায় পৃথিবী থেকে আরো সূদুরে।
যাযাবরের সাথে সমঝোতা!
বিবেকহীন বর্বরতা, সমতার দুর্বলতা,
কষ্ট বিলাসে, ভোগ তালাশে, ভাসছে রুক্ষ জীবন,
নিরাপদে ধ্যানমগ্ন হয়ে, কষ্ট নেয় তাঁর পদ্মাসন।
অন্ধকার ভেদ করে আগুন,
উষ্ণতা নামবে অঝোর ধারায়
কষ্ট হবে, খুব কষ্ট হবে।
এই সভ্য সমাজে,রাজনীতির কোলাহলে
প্রতিক্ষণেই মুখে যত বলি সন্ধির প্রলাপ,
সভ্য মনের ভিতর জমা রেখে হাজারো পাপ।
গ্রহণ কালের দুবৃত্ত সময়গুলো সব কিছু নষ্ট করে দিয়ে
বিষাক্ত নোংরামিগুলো সমাজের সভ্য শ্রেণীতে আসন পেতে বসেছে।
মনের অভিসন্ধি বুঝতে বুঝতে আর কত বিবেক খুন করব?
হে সভ্য সমাজ, তোমাকে বুঝতে পারিনি,
বুঝি না, কোন কালে বুঝব? তা জানি না।
সভ্যতার চাদরে ডেকে রেখেছে প্রতারনার তরতাজা দেহ।
নতজানু বিবেকের পা চুষে চুষে
লুকোচুরি খেলে যায় সভ্য সমাজ।
মুখ ও কথার ব্যবধানে সংকটে সমাজ, সংকটে জাতী?
অনেক দূরে চলে এসেছি।
পুষিয়ে রাখা অবাঞ্ছিত বিবেক, মানবতা
যুগ যুগ ধরে এলকোহলের গ্লাসে বন্ধি।
অবিশ্বাসীদের বিশ্বাস করে
ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রাঙিয়ে দিয়ে
লালা গালিচা বানিয়েছি সভ্যদের জন্য।
তাদের মুখ ও কথায় দেখি তাদেরই সব অবদান ।
নির্বোধ,
তোমার এই হতাশা ভুলে গিয়ে অন্যভাবে,
চল দেখি এই পৃথিবীটাকে,
তোমায় দেখে মনের মাঝে আজ আমার প্রশ্ন জাগে,
তবে কি সবই ভুল?
মন্থর গতিতে বয়ে চলা নদী আমার মতোই একা
অব্যর্থ হাহাকার ছুঁড়ে শূন্য তীরের দিকে।
নদী কি কখনো ভালোবাসে?
আমার মতো এমন করে,
তারও কি স্বপ্নহীন
রাত-দিন?
বুকের ভেতর অদৃশ্য নদী বয়ে যাচ্ছে
এক কষ্টের ঢেউ অবিরত ভাঙ্গছে দুকূল
আঘাত আঘাতে রক্তাক্ত করছে।
ঢেউয়ের তাণ্ডব নৃত্যে ভেঙ্গে যাচ্ছে
হৃদয়ের ডাল পালা।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে এর স্রোতের নীচে
ডুবতে ডুবতে পাল্টে দিই
আমূল আমাকেই।
বসন্তের দুরন্ত বাতাসে রিরহের পায়রা
বুকের ভেতর পাখা ঝাঁপটে মরছে ,
ডেকে নিয়ে যাচ্ছে হিমযুগে।
শেষ রাতে অদ্ভুত স্বপ্নে কার সোনার তরী ছুঁয়ে যাচ্ছে
আমার দ্বগ্ধ জীবনের বিবর্ণ উপকূল ।
নিঃসঙ্গ নদী কূলে দাঁড়িয়ে থাকি
একা অসীমেরপানে চোখ মেলে,
সময়ের ঘড়ি বেজে যায় বিরতিহীন।
গাঙচিলের আর্তচিৎকার ছাড়া আর কিছু নাই,
ভয়াবহ নিস্তব্ধতায় একাকার সব।
ডুবন্ত জীবনে নিঃশ্বাসহীন ফুসফুস পূর্ণ হচ্ছে
দুঃখের অক্সিজেনে।
তুমি কি আমাকে একটু ভালোবাসা দিবে ?
আমার বাকী জীবন তোমার সুখের ছায়ায়-
কল কল শব্দে কাটিয়ে দিবো,
তোমার বুকের কথা দিয়ে একটা কবিতা লিখব-
কবিতার শিরোনাম হবে তুমি,
আমি কালি হয়ে তোমার গাঁয়ে লেগে থাকবো।

আমাকে তোমার বুকে একবার মাথা রাখতে দিবে ?
তোমার বুকের না বলা কথা গুলোকে শাসন করবো !
কান পেতে তোমার বুকে শুয়ে থাকবো,
আর দুটি চোখ বন্ধ করে তোমাকে নিয়ে স্বপ্নের দেশে যাবো।
তুমি কি আমাকে তোমার অবশিষ্ট কিছু সময় দিবে ?
তোমাকে নিয়ে একটা লংড্রাইভে যাবো ?
অচেনা কোন নদীর কূলে দুজনে মিষ্টি হাওয়ায় দোলবো !
তোমার এলো চুলের চঞ্চলতা আমাকে ছুঁবে,
আর আমি তোমাকে ছুঁয়ে স্বর্গ আনবো ?
তুমি আমাকে আকার দাও
আমি রূপ পাল্টাই।
আমি তোমাকে ভালোবাসা দিই
এই সবকিছুর বিনিময়ে নয়,
নিজের বিনিময়ে।
আকাশে থাকুক যত মেঘ,
সাগরের যত থাকুক উত্তাল ঢেউ,
বাতাস যত থাকুক মাতাল,
ভালোবাসার ভালোবাসা পেয়ে,
তুমি যখনই আস ফুলের মতন,
বাতাসে ওড়ায়ে তোমার আঁচল,
কাজল কালো দু’চোখের পাপড়ি মেলে দিয়ে
দীর্ঘ এক নিঃশ্বাসে।
আমি জানি, তুমি তাঁর চেয়েও উত্তাল হও,
যখন আমার সাথে তুমি প্রকৃতি দেখ।
আমার দু’চোখ নিয়ে গেল তোমার দু’চোখ!
তুমি পথ দেখালে আমি পথিক হই,
তুমি সাহস দিলে আমি বীর হই,
তুমি কাব্য দিলে আমি কবি হই,
তুমি সুর দিলে আমি গায়ক হই,
তুমি ছোঁয়া দিলে আমি জাগ্রত হই,
তুমি আলো দিলে আমি সকাল হই,
তুমি ছায়া দিলে আমি শীতল হই,
তুমি রাত দিলে আমি জোনাকি হই,
সকালে, দুপুর, বিকাল, সন্ধ্যা, রাত্রি
নিজেকে সপে দিই তোমার পানে, তোমার হাতে।
আমাকে কেবল পুড়ায়না পবিত্রও করে।
তোমার কাছে কিঞ্চিত প্রত্যাশা মেলে ধরি
অথচ তুমি ভেসে যাও বিপরীত স্রোতে
কানাকড়ি দিতেও কার্পণ্য তোমার।
এক শীতরাতে পত্রহীন শূন্য বৃক্ষের ডালে
রাত জাগা এক হলুদ পাখি ডাকে
তৃষ্ণার আগুনে আকণ্ঠ পুড়ে পুড়ে।
অশান্তির আগুনে যদি পুড়াও দুঃখ নাই
তোমার মতো কে আর এমন
ভালোবেসে পুড়াতে পারে।
নৃত্যের ঝংকারে রাতের নির্জনতা ভেদ করে
আমাকে অস্থির করে তুলে,
ক্লান্তিহীন নাছোড় সে হলুদ পাখি
সব কিছু উপেক্ষা করে এক টানা ডেকে যায়
আমার ঘুম-জাগরণ স্বপ্নের ভেতর।
প্রতি ডাকে কণ্ঠে তার কষ্টের বীণা বাজে।
অদ্ভুত আঁধারে ডুবে যায় সব,
তবু সে ডেকে ডেকে কণ্ঠে রক্ত ঝরায়।
বোকা পাখি বুঝে না ফাগুন বাতাস
গ্রহণ করেনি তাকে।
অগ্নিময়তার মেঘলোকে একা একা
কতো অগ্নি প্রহর পুড়ে পুড়ে গিয়েছি
বিচ্ছিন্ন জনহীন দ্বীপের মতো,
তুমি আর কতোটা পুড়াবে আমায়!
পৃথিবীর অন্তিম মুহূর্ত অবধি
কণ্টকাকীর্ণ সমস্ত প্রান্তর পেরিয়ে,
তোমার কাছেই পুড়তে আসবো।
প্রাণোচ্ছ্বল হৃদয়ের মর্মমূলে
মৃত্যুর অধিক এ দহন,