রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

ওইখানে, ঠিক ওইখানেই ছিল তাঁর ঘর
ছানি পড়া দু’চোখ ঝাপসা হয়ে ওঠে-
কিছুই নেই এখন আর- ঘর, যৌবন কিংবা সময়!
মনে পড়ে একদা কেটেছে দিন-
সবুজ বৃক্ষের ডালে ডালে পাতায় কিংবা ফুলে;
রাত জাগা চাঁদের স্নিগ্ধ আলো বুঝতে পারে না এখন আর
হুক্কা হুয়া শিয়াল ডাকে দূরে কোথাও-
জানান দেয়- গভীর হয়েছে রাত!
বসন্ত আসে, আবার চলেও যায়; অগোচরে-
বৃষ্টি পড়ার শব্দ কান পেতে শোনে-
আহা! কি সময় ছিল সেগুলো
ভাঁজ পড়া কপালে চিন্তার রেখা- কখন ডুববে চাঁদ!
ফুরাবে সময়, শেষ হবে খেলা।
একদিন যৌবন ছিল, লড়েছে কত-
বানের সাথে, ঝড়ের সাথে
এখন শুধুই স্মৃতি, মনে পড়ে; ক্ষণে ক্ষণে
বুকের ভিতরে টের পায় ঢেউয়ের শব্দ -
কাঁপা কাঁপা পায়ে এসে দাঁড়ায়
ভাঙা পাড়ে-
ওইখানে ছিল তার ঘর, মাত্র কিছুকাল আগে-
মনে পড়ে; সব
ভাঙ্গনের খেলা দেখেছে কত এ দুটি চোখ!
ঝাপসা হয়ে আসে, বারে বারে;
ধূসর দৃষ্টি মেলে তাকায়
পার হয়ে গেছে সুদীর্ঘ কাল,
জীবন সায়াহ্নের এই বালুকা বেলায়
বয়ে যায় সময়, সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা করে রাত্রি গড়ায়
জীবনের চাকা ক্ষয়ে ক্ষয়ে থমকে দাঁড়ায়;
নিষ্ঠুর নিয়তি-
কুঁচকে যাওয়া চামড়ার ভাঁজে ভাঁজে খুঁজে ফিরে
ফেলে আসা দিন-
হারিয়েছে কত সাথীরে! কেউ প্রহর গুনছে আজ
তারই মত-
খুঁজে ফিরে উজ্জ্বল আলো; ওখানে আলো নেই!
মেঘলা আকাশ, ফ্যাকাসে, থমথমে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন