বর্ষণ মুখর শ্রাবণ রাতের অবসান ঘটলো । প্রকৃতি সবুজ শাড়িতে ঠিক তোমারই
মত নববধূ সাজে ধূসর মেঘের আবরণ সরিয়ে সকালের প্রথম রোদের সোনার কাঁকন হাতে
বাইরে বেরিয়ে এল সলজ্জ চাহনিতে । কতশত অভিজ্ঞ চোখ সেদিন তোমাকে নিপুন ভাবে
মেপেছিল যেন গোটা রাতের গল্প টা ওদের আগেই পড়া হয়ে গেছে । তোমার তন্দ্রা
হীন লাল চোখে কে যেন দক্ষ শিল্পীর মত সুক্ষ্ম হাতে প্রথম সহবাসি যাপন
চিত্রের নিখুঁত বর্ণনা এঁকে দিয়েছে । কলঘরে যখন নিজেকে উন্মুক্ত করলাম
,দেখি সারা শরীরে তোমার দেওয়া ভালবাসার চিহ্ণ । সুখানুভূতির এমন জ্বালা
আমাকে সেই অচিন পুরের অন্দর মহলের স্থায়ী বাসিন্দা করলো । জল পরার শব্দের
সঙ্গে আমার বুকে শিউলি ঝরার শব্দও পেলাম । শরীরের আনাচে কানাচে এই প্রথম
কোন অপস্বরী নারীর – গন্ধ পেয়ে আবার জেগে উঠতে চাইলো আগুনের অজানা কলরব ।
কলঘরের আবছা অন্ধকারে অনুভূত হল আমার কঠিন ধাতুর নির্মিত অংশের কোন কোমল
সিক্ত প্রদেশের অবাধ চলাচল । কান পেতে শুনি অদ্ভুত শব্দ আর শব্দহীনতার
মোহময় মেলবন্ধন । হাত বাড়িয়ে ছোঁয়ার চেষ্টা করি। শিহরণ যখন প্রতি রোমকূপে
খেলা করে
তখন শরীরের ব্যূহ ভেদ করে মন কে নিঃশব্দে বলি .........
ভালবাসার ডাকে আমার বুকে হাজার ঘুঙুরের ঝুমঝুম
ভালবাসার টানে আমার হৃদয়ে এসো আলোকিত করে।
জোনাকির মত হয়ে আলোয় আলোয় ভিজে
এসো ভালবাসা হয়ে যাই।
ভালবেসে একবার ডাক দাও
বর্ষার অপেক্ষা করবো না
পেখম মেলে দেব আমার বক্ষ জুড়ে
ভালবেসে একটিবার কাছে টেনে নাও
শিউলি হয়ে লুটিয়ে পরব তোমার হৃদয় মাঝে।
ভালবাসা কুড়তে কুড়তে যখন তুমি ক্লান্ত
তখন আবার ফুটে ওঠার সময় হবে আমার।
তখন শরীরের ব্যূহ ভেদ করে মন কে নিঃশব্দে বলি .........
ভালবাসার ডাকে আমার বুকে হাজার ঘুঙুরের ঝুমঝুম
ভালবাসার টানে আমার হৃদয়ে এসো আলোকিত করে।
জোনাকির মত হয়ে আলোয় আলোয় ভিজে
এসো ভালবাসা হয়ে যাই।
ভালবেসে একবার ডাক দাও
বর্ষার অপেক্ষা করবো না
পেখম মেলে দেব আমার বক্ষ জুড়ে
ভালবেসে একটিবার কাছে টেনে নাও
শিউলি হয়ে লুটিয়ে পরব তোমার হৃদয় মাঝে।
ভালবাসা কুড়তে কুড়তে যখন তুমি ক্লান্ত
তখন আবার ফুটে ওঠার সময় হবে আমার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন