শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০১৬

আজ প্রতিটি ক্ষণ হৃদয়ে যে পরম সত্য অনুভব করলাম-
আমি শুধুই তোমার। সে শেষ ঠিকানা আমি পেলাম।
কখনই তা মিথ্যা হতে দিওনা, কখনই ছেড়না আর।
আজ আমার ভীষণ সুখী হাত দু’টো,
আর দৃষ্টি ঘুরিও না ঐ অদ্ভুত সুন্দর চোখজোড়ার,
সেখানে অপলক তাকিয়ে বৃষ্টির সাথে আমিও আনন্দ হয়ে ঝরেছিলাম!
তোমাকে ভালবাসি প্রচণ্ড-
এরচেয়ে কোনও সত্য আপাতত আর জানিনা!!
ভালবাসি তোমায়! -
কেনো জানি খুব কান্না পাচ্ছে! শূন্যতা, পূর্ণতা,
নির্ভরতা নাকি নিঃসঙ্গতার জন্য, জানি না।
শুধু বুঝতে পারছি বুকের ভিতরে
কোথায় জেনো লুকানো জায়গা থেকে
একদল অভিমান প্রচণ্ড কান্না হয়ে দু’চোখ ফেটে বেরুতে চাইছে।
তুমি কাছে নেই বলে শূন্যতা তার ইচ্ছে মত দেখাচ্ছে তার নিষ্ঠুর খেলা।
আমিতো তোমার বুকে মুখ লুকালেই বাঁচি এখন!
কিন্তু তুমি যে কত দূরে! বলতো!
আজ শেষ বিকেলের পাহাড় ছুঁয়ে ছুটে আসা
দমকা হাওয়ার জড়িয়ে দেয়া মেঘের মতো
ছোট্ট একটি ঘটনা আমার সব দ্বিধাকে উড়িয়ে নিয়ে গেলো!
বুঝলাম, মহাকাল যে হাস্যকর ক্ষুদ্র সময়কে “জীবন” বলে আমাকে দান করেছে।
সেই জীবনে তুমি-ই আমার একমাত্র মানুষটি,
যার পাঁচটি আঙ্গুলের শরণার্থী আমার পাঁচটি আঙ্গুল,
যার বুকের মাঝে লেগে থাকা ঘামের গন্ধ আমার ঘ্রাণশক্তির একমাত্র গন্তব্য।
যার এলোমেলো চুলে আমি-ই হারিয়ে যাবো।
আর আমি হারিয়ে যাবো ভালবাসতে বাসতে!!!
যার দুটো অদ্ভুত সুন্দর মধুভরা ঠোঁটের উষ্ণতা
আর তাই জীবনটা আজ ঠিক সেই অদ্ভুত ফুলগুলোর মতই সুন্দর,
যা দেখে আমি চমকে উঠেছিলাম।
আর তুমি আমায় পরম মততায় আলতো জড়িয়ে ধরে
তোমার ঠোঁটের সেই খুব মিষ্টি ছোঁয়ায় ভরে দিয়েছিলে
সেই পুরোটা পাহাড়ি বিকেল।
আর তখন সেই দূর পাহাড়ের দুষ্ট বাতাস এসে আমাকে চুপি চুপি
কানে কানে বলে দিলো, “তোমার পাঁজরের হারেই আমার এই দেহটি তৈরি,
যাকে স্বামী বলে!”।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন