মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৬

নবান্নের ব্যস্ততায় ডুবে থাকে সারা দিন
একটি একটি করে ধান, সযত্নে তুলে আনে
টন টন করে উঠে বুকের বুকের স্তন
ধূলিমলিন দেহে তখনো খোকা -
হামাগুড়ি দেয় সারাটা উঠোন!
ঘরে ঘরে সোনালী নবান্ন
বিদীর্ণ বুকে পূর্ণ-জাগ্রত কৃষাণীর স্বপ্ন
অন্তরে অন্তরে নিবিষ্ট ভাওয়াইয়া সুর, ছন্দ
দূর বহু দূর ভেসে যাওয়া মধু পিঠার সুগন্ধ!
যৌবনের বৃথা রাখঢাক কৃষাণীর শতচ্ছিন্ন বসনে
কৃষাণের শ্রম-শুদ্ধ দেহে টগবগ করে প্রেম, তীক্ষ্ণ মননে
নবান্নের সোনালী খড়ে আঁচড়ে পড়া রোদ্দুর
ক্ষণকালের জন্য দূরে ঠেলে সমস্ত অভাব; দুর্মর প্রবণে
দু জনে ভাসিয়ে দেয় একটি প্রমত্ত দুপুর।
আঁচলে আগলে নেয় নাড়ি ছেঁড়া ধন
সাত সকালে হিম ধরা শীতে বাজে দন্ত কম্পন।
বারবার গলা টেনে দেখে ঊষার প্রান্ত
কুয়াশার ধূম্র কেটে সূর্য-মামা উঠবে কখন!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন