শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৬

রবি ঠাকুরের কাছে যারা " কাব্যের উপেক্ষিতা "......
***************************************************
প্রাচীন সাহিত্যে প্রাবন্ধিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর " কাব্যের উপেক্ষিতা " প্রবন্ধে রামায়ণে লক্ষ্মনের স্ত্রী ঊর্মিলা , সংস্কৄত কাব্যের শকুন্তলার দুই সখী প্রিয়ম্বদা ও অনসূয়া , কাদম্বরী কাহিনীর পত্রলেখাকে কাব্যের উপেক্ষিতা বলেছেন। এইরকম বলার যথেষ্ট কারন আছে। যদিও তিনি নিজেই বলেছেন " জানি কাব্যের মধ্যে সকলের সমান অধিকার থাকিতে পারে না । "
তবু তাঁর মতে , রামায়ণে যে ভাবে সীতাকে প্রকাশ করা হয়েছে তার কনা মাত্রও ঊর্মিলার ভাগ্যে জোটেনি । " ঊর্মিলাকে কেবল আমরা দেখিলাম বধূবেশে ... ঊর্মিলা চিরবধূ নির্বাক কুণ্ঠিতা নিঃশব্দ চারিণী "। এমনকি রাম-সীতার সঙ্গে স্বামী লক্ষ্মণও যখন বনবাসে চলে গেল তখনও এই বধূর বিরহ কাতর মুখটি একবারের জন্যও দেখা গেল না । বনবাসে থাকার সময় ঊর্মিলার জীবনের শ্রেষ্ঠ বছর গুলি যে কিভাবে কাটছিল স্বামীহীনা হয়ে , রাজবধূর গলা দিয়ে রাজভোগ
নামছিল কিনা কিছুই জানা যায় না। প্রাবন্ধিক এখানে বলেছেন লক্ষ্মনের ভাতৄপ্রেম , রামের প্রতি আনুগত্য গৌরব গাথা হয়ে আজও ভারতে পূজিত হচ্ছে কিন্তু ঊর্মিলা তো নিজের চেয়েও বেশিটা স্বামীকে দান করেছিলেন......... কাব্যে তা একেবারেই লেখা হল না। সীতার অশ্রুজলে মুছে গেল ঊর্মিলার আত্মত্যাগ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন